মুর্শিদাবাদ, 16 এপ্রিল: টানা প্রায় তিনদিন ধরে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই ৷ এখন মূলত বিধায়কের দুটি মোবাইলের রহস্য উদঘাটনই পাখির চোখ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকদের ৷ এই ঘটনার মাঝেই নতুন মোড় ৷ রবিবার সকালে হঠাৎই দেখা যায় বিধায়কের বাড়ির সামনে এসে হাজির হয়েছেন জেলা পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মাহে আলম, ব্লক সভাপতি রবিন কুমার ঘোষ, ব্লকের সহ সভাপতি শামসের দেওয়ান এবং মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জানে আলম । হঠাৎ কেন সাত সকালে বিধায়কের বাড়িতে এলেন তাঁরা ? যদিও জেলা নেতৃত্বের দাবি, জীবনকৃষ্ণ নিজেই তাঁদের ডেকে পাঠিয়েছিলেন ৷
এদিন জানতে চাওয়া হলে প্রথমত জেলা নেতৃত্ব এই বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি । একাধিকবার প্রশ্নের পর মাহে আলম জানান, তাঁকে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা ডেকে পাঠিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, দলের কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্যই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে । তবে জেলার নেতাদের সাফাই শুনে হতবাক সকলেই ৷ এও কি সম্ভব ! যেখানে শুক্রবার দুপুর প্রায় 12টা থেকে সিবিআই বিধায়কের বাড়িতে । নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তের পাশাপাশি টানা তল্লাশিও চলছে বিধায়কের বাড়ি ও আশপাশের এলাকায়, সেখানে খোদ বিধায়ক সিবিআইয়ের চোখে ধুলো দিয়ে কী করে তাঁদের ডেকে পাঠালেন ?
আরও পড়ুন : জীবনকৃষ্ণের বাড়ি লাগোয়া জঙ্গলে মিলল 6 ব্যাগ !
অন্যদিকে বিধায়কের মোবাইল খুঁজতে কালঘাম ছুটেছে সিবিআইয়ের ৷ পুকুর থেকে জল সেচ করে বের করার পর কাদা পলি ঘেটে সকালে একটা মোবাইল উদ্ধার করলেও অপরটি এখনও অধরা । সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে হঠাৎ তৃণমূলের নেতৃত্বদের বিধায়কের বাড়িতে আগমন রহস্য আরও ঘনীভূত করছে । সকলের মধ্যে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট লক্ষণীয় ছিল । লেবাররা জানায়, রীতিমত কাদা পলি তুলতে গিয়ে তাদের হাতে ব্যথা হচ্ছে ৷ সকালে একটি মোবাইল উদ্ধার হলেও প্রায় দুপুর দেড়টা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি আরেকটি মোবাইল । এরপরও একটি প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে ! এত ঘণ্টা জল ও পাঁকে মোবাইল থাকার পর আদৌ কি সম্ভব হবে সেটা থেকে তথ্য উদ্ধার করা ! এখনও আরও একটি মোবাইল রয়েছে পাঁকের মধ্যে । এত ঘণ্টা অতিবাহিত হয়ে গেল একটা পুকুরকে ঘিরে । এখন পাখির চোখ হয়ে উঠেছে বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার 'সাত কড়ি স্মৃতি ভবন' ।