বহরমপুর, 17 অক্টোবর: ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তিন জনের যাবজ্জীবন সাজা হল । মঙ্গলবার বহরমপুর ফাস্ট এডিজে এজলাসের বিচারক মঞ্জুশ্রী মণ্ডল এই সাজা ঘোষণা করেন । 2018 সালের 30 মে বিহার থেকে পরিবারের সঙ্গে বহরমপুরে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন এক তরুণী । বহরমপুরের খাগড়াঘাট স্টেশনে নামেন তাঁরা । রাতে স্টেশনের প্লাটফর্মে ছিলেন । রাত দেড়টা নাগাদ ওই তরুণী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে নির্জন জায়গায় যান । অভিযোগ সেই সময়ে তাঁকে তিনজন দুষ্কৃতী তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে । শারীরিক নির্যাতনের জেরে সেখানেই অচৈতন্য হয়ে লুটিয়ে পড়েন ওই তরুণী । পরদিন সকালে তাকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয় । 25 দিন পরে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়। এই মামলাতেই এদিন রায়দান হল ৷
পাঁচ বছর পর এই ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হওয়ায় খুশি মৃতার পরিবার । যদিও নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাজাপ্রাপ্তরা । দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে জুলফিকর আলি জানিয়েছে,পুলিশ তার কোনও মেডিক্যাল পরীক্ষা না-করেই এই তদন্ত চালিয়েছে ৷ তাদের বিনা কারণে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে দোষী সাব্যস্ত এই তিন ব্যক্তি ৷ বিচার মেলেনি বলেই তাদের দাবি ৷
আরও পড়ুন: হরিশচন্দ্রপুরের পর বাসন্তীতে মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, পরিচয় জানতে তদন্তে পুলিশ
2018 সালের 30 মে এর ওই ঘটনার পরেই বহরমপুর থানায় খুনের মামলা দায়ের করে মৃতের পরিবার । এক এক করে ঘটনায় জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ধৃতদের পুলিশি হেফজতে নিয়ে ট্রায়াল শুরু হয় । এদিন দোষী সাব্যস্ত তিনজনের নাম হল সাদেখ শেখ, জুলফিকর আলি ও রাহুল শেখ। ছ জন চিকিৎসক-সহ মোট 15 জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর সোমবার তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন বিচারক । মঙ্গলবার তাদের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক ৷