মুর্শিদাবাদ, 4 মে: বহরমপুর কলেজ ছাত্রী খুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছল ফিঙ্গারপ্রিন্ট ফরেন্সিক প্রতিনিধিরা ৷ বুধবার দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা ৷ 5 সদস্যের দল নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছেন ৷ সেই সঙ্গে সুশান্ত চৌধুরীকে 10 দিনের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ ৷ জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার শবরী রাজকুমার (Berhampore College Student Murder) ৷
জানা গিয়েছে, কলেজ ছাত্রী সুতপাকে খুনের আগে রেইকি করেছিল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী ৷ খুনের পর পালাবার পথ সহজ করতে বার দু’য়েক এলাকা রেকি করেছিল। এমনকী কোনও পথে পালাবে, সে রাস্তাও আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিল। পাঁচিল টপকে পালাতে পাঁচিলের হাত দুয়েক অংশের পেরেক আগেই বেঁকিয়ে পালানোর রাস্তা সহজ করেছিল। শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীকে ভয় দেখাতে সঙ্গে রেখেছিল নকল ডামি পিস্তলও । মিনিট পনেরো ধরে অপারেশন চালিয়ে পুর্ব পরিকল্পিত রাস্তা দিয়েই বেরিয়ে যায় সুশান্ত চৌধুরী। এমনই তথ্য উঠে এসেছে তদন্তে । স্থানীয় বাসিন্দারাও সেই কথাই বলছেন ।
সোমবার সন্ধ্যায় প্রায় শ’খানেক মানুষের চোখের সামনে কলেজ ছাত্রী সুতপার উপর এলোপাথাড়ি ছুড়ি চালায় সুশান্ত। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর এলাকা ছাড়ে অভিযুক্ত। আগে থেকে রেকি করেই পালানোর রাস্তা পরিষ্কার করে রেখেছিল । পাঁচিলের পেরেক বেঁকানো থাকায় সহজেই পাঁচিলে উঠে ঝাঁপ মারে । এরপর দুটি গাড়ি পরিবর্তন করে পালানোর চেষ্টা করে ৷ তবে শেষ রক্ষা হয়নি। সামশেরগঞ্জের নাকা পয়েন্টে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে অভিযুক্ত ৷ তিন ঘন্টার মধ্যে মূল অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ উদ্ধার করে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ।