বহরমপুর, 25 নভেম্বর: নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম খুনের ঘটনায় নওদা থানায় দশজনের নামে অভিযোগ দায়ের করলেন মৃতের পরিবার । দশজনের এই তালিকায় নাম রয়েছে তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের ভাগ্নে সফিউর জামান শেখ ওরফে হাবিব শেখের । এফআইআর কপিতে চার নম্বরে নাম রয়েছে নওদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি হাবিব শেখ ওরফে সফিউর জামান শেখের নাম (Nadia TMC Leader Killed) ।
একইসঙ্গে এই তালিকায় নাম রয়েছে মুর্শিদাবাদের আরও এক ব্যক্তির, তার নাম ফিরোজ শেখ । ফিরোজ শেখ হাবিব শেখের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত এলাকায় । অভিযুক্তের তালিকায় বাকি আটজন নদিয়ার বাসিন্দা । নওদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে । তবে এখনও কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা যায়নি (FIR against relative of TMC MP in Naoda murder case) ৷
আরও পড়ুন: গুলি করে ও বোমা মেরে নওদায় তৃণমূল নেতাকে খুন, অভিযোগ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুষ্কৃতীদের গুলি ও বোমার আঘাতে নওদার জামালপুরে খুন হন নদিয়ার করিমপুরের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি তথা নারায়ণপুর 2 গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম । এই খুনের ঘটনায় আগেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছিল ৷ নদিয়ার বিধায়ক তাপস সাহা স্পষ্টভাবেই এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন । মুর্শিদাবাদ লোকসভার তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের ভাগ্নে এই খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ (TMC Leader Killed in Murshidabad) ৷
জানা গিয়েছে, ইট ভাটার মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই এই দুই তৃণমূল নেতার মধ্যে চাপান উতোর চলছিল ৷ ইট ভাটার ব্যবসায়িক গোলযোগের কারনেই কি এই খুন, সেই প্রশ্ন উঠছে ৷ পাশাপাশি, দলীয় কোন্দল নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন । এদিন এফআইআর কপিতে হাবিবের নাম থাকায় সেই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছে । মোট যে দশজনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে তাদের মধ্যে 2 জন মুর্শিদাবাদের । বাকিরা নদিয়ার বাসিন্দা । এই খুন প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান বলেন,"আইন আইনের পথে চলবে । পুলিশ সঠিক পদ্ধতি মেনেই অপরাধীদের গ্রেফতার করুক ৷" প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, টাকা ও ইট ভাটার দখলকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷