হরিহরপাড়া, 24 ডিসেম্বর : মৃত্যুর পাঁচ বছর পর বিচার পেলেন মুর্শিদাবাদের দুই বাসিন্দা মসলেম বিশ্বাস ও তাঁর ছেলে মনিরুজ্জামান বিশ্বাস ৷ দুই ব্যক্তিকে 2015 সালে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করেন দুষ্কৃতীরা ৷ ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় মসলেম বিশ্বাসের ৷ পরদিন হাসপাতালে মৃত্যু হয় মনিরুজ্জামানের ৷ হাসপাতালে ভরতি থাকাকালীন অভিযুক্তদের নামে জবানবন্দি দেন মনিরুজ্জামান ৷ তারপরই থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় অভিযোগ ৷
অবশেষে মৃত্যুর পাঁচ বছর পর সুবিচার পেলেন মসলেম ও মনিরুজ্জামান ৷ 2015 সালের নয় জুন হরিহরপাড়ার ঝাঁজা ব্রিজের দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হন মসলেম ও তাঁর ছেলে ৷ আজ সেই জোড়া খুনে গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত ব্যক্তির যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল বহরমপুর চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা আদালত ৷ খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত অপর দুই ব্যক্তি পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ । সাজাপ্রাপ্ত দুই অভিযুক্তের নাম আনসার মণ্ডল ও রকেট মণ্ডল ।
আরও পড়ুন : সিস্টার অভয়া খুনে 2 দোষীসাব্যস্তের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
2015 সালের নয় জুন রেজ়েস্ট্রি অফিস থেকে মটর বাইকে ফিরছিলেন মসলেম ও মনিরুজ্জামান ৷ গ্রামে ঢোকার আগে হরিহরপাড়ার ঝাঁজা ব্রিজের কাছে তাঁদের পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। মটর বাইক থেকে দুইজনকে নামিয়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় ৷ ঘটনাস্থানেই মৃত্যু হয় মসলেম বিশ্বাসের ৷ হাসপাতেলে ভরতি করা হয় মনিরুজ্জামানকে । কিন্তু পর দিন সকালেই মৃত্যু হয় মনিরুজ্জামানের ৷ তবে, হাসপাতালে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার সময় চার দুষ্কৃতীর নাম পুলিশকে জানায় মনিরুজ্জামান ।
আরও পড়ুন : যুবক খুনে 3 জনের যাবজ্জীবন
তারপরই, আনসার মণ্ডল, রকেট মণ্ডল, সামসূল মণ্ডল ও বিমান মণ্ডলের নামে হরিহরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের পরিবার। দু'দিনের মধ্যেই আনসার ও রকেটকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সামসুল ও বিমান এখনও অধরা। গতকাল চারজনকেই দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আজ খুন ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখায় দোষী সাব্যস্ত ওই ব্যক্তিদের যাবজ্জীবন সাজা শোনান বিচারক। পাশাপাশি পলাতক অপর দুই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। আদালতের এই রায়ে খুশি মৃতের পরিবার।