ETV Bharat / state

পর্যটকদের ভিড়েও একা মির জাফরের নিমকহারাম দেউড়ি

কথিত আছে মির জাফরের প্রাসাদেই সিরাজ়কে খুন করা হয় ৷ সেই অপবাদ আজও বয়ে চলছে ভগ্নপ্রায় এই প্রাসাদ ৷ স্থানীয়রা নাম দিয়েছেন নিমকহারাম দেউড়ি ৷ তারা ঢিল ছোড়ে এই প্রাসাদে ৷ থুতুও ছেটানো হয় দেউড়িকে লক্ষ্য করে ।

Hazarduari
নিমকহারাম দেউড়ি
author img

By

Published : Jan 1, 2020, 11:20 PM IST

Updated : Jan 3, 2020, 7:12 PM IST

মুর্শিদাবাদ, 1 ডিসেম্বর : লালবাগের জাফরাগঞ্জে মির জ়াফরের প্রাসাদ ৷ এখন পরে রয়েছে অবহেলায় । নিমকহারাম দেউড়ি নামেই এখন এলাকার লোকেরা চেনে এই প্রাসাদকে । বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে মিরের নির্দেশে এই প্রাসাদের ভিতরেই খুন করা হয় ৷ পর্যটকদের এমনই বোঝান স্থানীয় গাইড ও টাঙ্গাচালকরা । তবে ইতিহাসবিদদের একাংশের মত, সিরাজ়কে বন্দি করে এখানে রাখা হলেও খুন করা হয়েছে হীরাঝিলে, যার একটা বিশাল অংশ এখন ভাগীরথীতে তলিয়ে গিয়েছে ।

হাজারদুয়ারি, কাটরা মসজিদ সহ একাধিক স্থান পুরাতত্ত্ব বিভাগ অধিগ্রহণ করলেও মির জাফরের বাড়ি অধিগ্রহণ বা সংস্কারে হাত লাগায়নি কোনও সরকার । প্রাসাদের দেউড়ি ভগ্নাবস্থায় এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে । মির জাফরের পরিবার ভিতরের মসজিদটি নিজেদের তাগিদে সংস্কার করলেও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বাকি সব কিছুই । নিমকহারাম দেউড়ি নাম নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাসাদের মূল প্রবেশপথ ।

সিরাজ কি সত্যিই খুন হয়েছিলেন এখানে ? কী বলছেন ইতিহাসবিদরা ?

1757 সালের 23 জুন পলাশির যুদ্ধে সিরাজ়ের পরাজয়ের পর বাংলার মসনদে বসেন সৈয়দ মির জা়ফর আলি খান । তার আগে তিনি ঔরঙ্গজ়েবের কাছে দিল্লি থেকে মুর্শিদাবাদ আসার হুকুমনামা পান । পিতামহ হুসেন নাজা়ফি ইরাকের নাজা়ফ অঞ্চলের আধিবাসী ছিলেন । মুর্শিদাবাদ এসে মির জাফর জাফরিগঞ্জে প্রায় 51 বিঘা জায়গার উপর ইরাকের স্থাপত্যশৈলীতে বিরাট প্রাসাদ নির্মাণ করেন । কথিত আছে, পলাশির যুদ্ধে পরাজয়ের পর বাংলা-বিহার-ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লা সপরিবারে জলপথে পাটনা পালাচ্ছিলেন । বর্তমান ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থেকে তাঁকে বন্দী করে মুর্শিদাবাদ আনা হয় । রাখা হয় মির জা়ফরের জাফরাগঞ্জের প্রাসাদের একটি আস্তাবলে । মির জাফরের পুত্র মিরনের নির্দেশে সিরাজকে হত্যা করে মহম্মদি বেগ । মহম্মদি বেগের সেই ছুড়িটিও হাজারদুয়ারি মিউজ়িয়ামে সংগ্রহীত রয়েছে ।

মির জা়ফরের বিশ্বাসঘাতকতা এবং তাঁর প্রাসাদে সিরাজ়কে খুন করার জন্যই এই বাড়িটিকে ঘৃণার চোখে দেখেন স্থানীয়রা । নিমকহারাম দেউড়ি নাম দিয়ে ঢিল ছোড়া হয় ৷ থুতুও ছেটানো হয় দেউড়িকে লক্ষ্য করে । তবে ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, সিরাজ়কে খুন করা হয়েছিল ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত হীরাঝিল প্রাসাদে । ইতিহাসবিদরা দাবি করলেও মির জাফরের প্রাসাদ 'নিমকহারাম দেউড়ি' নাম ঘোচাতে পারেনি ।

মুর্শিদাবাদ, 1 ডিসেম্বর : লালবাগের জাফরাগঞ্জে মির জ়াফরের প্রাসাদ ৷ এখন পরে রয়েছে অবহেলায় । নিমকহারাম দেউড়ি নামেই এখন এলাকার লোকেরা চেনে এই প্রাসাদকে । বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে মিরের নির্দেশে এই প্রাসাদের ভিতরেই খুন করা হয় ৷ পর্যটকদের এমনই বোঝান স্থানীয় গাইড ও টাঙ্গাচালকরা । তবে ইতিহাসবিদদের একাংশের মত, সিরাজ়কে বন্দি করে এখানে রাখা হলেও খুন করা হয়েছে হীরাঝিলে, যার একটা বিশাল অংশ এখন ভাগীরথীতে তলিয়ে গিয়েছে ।

হাজারদুয়ারি, কাটরা মসজিদ সহ একাধিক স্থান পুরাতত্ত্ব বিভাগ অধিগ্রহণ করলেও মির জাফরের বাড়ি অধিগ্রহণ বা সংস্কারে হাত লাগায়নি কোনও সরকার । প্রাসাদের দেউড়ি ভগ্নাবস্থায় এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে । মির জাফরের পরিবার ভিতরের মসজিদটি নিজেদের তাগিদে সংস্কার করলেও ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বাকি সব কিছুই । নিমকহারাম দেউড়ি নাম নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাসাদের মূল প্রবেশপথ ।

সিরাজ কি সত্যিই খুন হয়েছিলেন এখানে ? কী বলছেন ইতিহাসবিদরা ?

1757 সালের 23 জুন পলাশির যুদ্ধে সিরাজ়ের পরাজয়ের পর বাংলার মসনদে বসেন সৈয়দ মির জা়ফর আলি খান । তার আগে তিনি ঔরঙ্গজ়েবের কাছে দিল্লি থেকে মুর্শিদাবাদ আসার হুকুমনামা পান । পিতামহ হুসেন নাজা়ফি ইরাকের নাজা়ফ অঞ্চলের আধিবাসী ছিলেন । মুর্শিদাবাদ এসে মির জাফর জাফরিগঞ্জে প্রায় 51 বিঘা জায়গার উপর ইরাকের স্থাপত্যশৈলীতে বিরাট প্রাসাদ নির্মাণ করেন । কথিত আছে, পলাশির যুদ্ধে পরাজয়ের পর বাংলা-বিহার-ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লা সপরিবারে জলপথে পাটনা পালাচ্ছিলেন । বর্তমান ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থেকে তাঁকে বন্দী করে মুর্শিদাবাদ আনা হয় । রাখা হয় মির জা়ফরের জাফরাগঞ্জের প্রাসাদের একটি আস্তাবলে । মির জাফরের পুত্র মিরনের নির্দেশে সিরাজকে হত্যা করে মহম্মদি বেগ । মহম্মদি বেগের সেই ছুড়িটিও হাজারদুয়ারি মিউজ়িয়ামে সংগ্রহীত রয়েছে ।

মির জা়ফরের বিশ্বাসঘাতকতা এবং তাঁর প্রাসাদে সিরাজ়কে খুন করার জন্যই এই বাড়িটিকে ঘৃণার চোখে দেখেন স্থানীয়রা । নিমকহারাম দেউড়ি নাম দিয়ে ঢিল ছোড়া হয় ৷ থুতুও ছেটানো হয় দেউড়িকে লক্ষ্য করে । তবে ইতিহাসবিদদের একাংশের দাবি, সিরাজ়কে খুন করা হয়েছিল ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত হীরাঝিল প্রাসাদে । ইতিহাসবিদরা দাবি করলেও মির জাফরের প্রাসাদ 'নিমকহারাম দেউড়ি' নাম ঘোচাতে পারেনি ।

Intro:ছবি বাইট পিটুসি RAP এ দিয়েছি। Body:মুর্শিদাবাদ - লালবাগের জাফরাগঞ্জে মীরজাফরের প্রাসাদ এখন ভগ্নদশায় পরে রয়েছে। প্রাসাদের প্রবেশদ্বার বা ফটকের পোশাকি নাম এখন নিমকহারাম দেউড়ি। পর্যটনকদের এমনটাই বোঝান স্থানীয় গাইড ও টাঙ্গা চালকরা। শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদৌল্লার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেই তাঁকে এই প্রাসাদের ভিতরে মিরনের নির্দেশে মহম্মদি বেগ খুন করে বলেই কথিত আছে। তবে ইতিহাসবীদদের একাংশের মত সিরাজকে বন্দি করে এখানে রাখা হলেও খুন করা হয়েছে হীরাঝিলে যার বিশাল অংশ এখন ভাগীরথীতে তলিয়ে গিয়েছে।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশির যুদ্ধে সিরাজের পরাজয়ের পর বাংলার মসনদে বসেন সৈয়দ মীর জাফর আলি খান। তার আগে তিনি ঔরঙ্গেজেবের কাছে দিল্লি থেকে মুর্শিদাবাদ আসার হুকুমনামা পান। পিতামহ হুসেন নাজাফি ইরাকের নাজাফ অঞ্চলের আধিবাসী ছিলেন। মুর্শিদাবাদ এসে মীরজাফর জাফরিগঞ্জে প্রায় ৫১ বিঘা জায়গার উপর ইরাকের স্থাপত্যে বিরাট প্রাসাদ নির্মান করেন। কথিত আছে পলাশির যুদ্ধে পরাজয়ের পর বাংলা বিহার উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উ-দোল্লা স্বপরিবারে জলপথে পাটনা পালাচ্ছিলেন। বর্তমান ঝাড়খন্ডের রাজমহল থেকে তাঁকে বন্দি করে মুর্শিদাবাদ আনা হয়। রাখা হয় মীরজাফরের জাফরাগঞ্জের প্রসাদের একটি আস্তাবলে। মীরজাফরের পুত্র মীরনের নির্দেশে সিরাজকে হত্যা করে মহম্মদি বেগ। মহম্মদি বেগের সেই ছুড়িটিও হাজারদুয়ারি মিউজিয়ামে সংগ্রহীত রয়েছে।
মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতা এবং তাঁর প্রাসাদে সিরাজকে খুনের জন্যই এই বাড়িটিকে ঘৃনার চোখে দেখেন স্থানীয় মানুষ ও পর্যটক। নিমকহারাম দেউড়ি নাম দিয়ে পর্যটকরা ঢিল ও থুথু ছোড়েন দেউড়ি লক্ষ্য করে। মীরজাফরের এই বাড়ির বর্তমান কেয়ারটেকারও একই বিশ্বাসে বিশ্বাসি।
তবে ইতিহাসবীদদের একাংশের দাবি, সিরাজদৌল্লাকে খুন করা হয়েছিল ভাগীরথীর পশ্চিমপাড়ে অবস্থিত হীরাঝিল প্রাসাদে। ইতিহাসবীদরা দাবি করলেও মীরজাফরের প্রসাদ নিমমহারাম দেউড়ি নাম ঘোচাতে পারেনি। হাজারদুয়ারি, কাটরা মসজিদ সহ একাধিক স্থান পুরাতত্ত্ব বিভাগ অধিগ্রহন করলেও মীরজাফরের বাড়ি অধিগ্রহন বা,সংস্বারে হাত লাগায় নি কোন সরকার। প্রাসাদের দেউড়ি ভগ্নাবস্থায় এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে। মীরজাফরের পরিবার ভিতরের মসজিদটি নিজেদের তাগিদে সংস্বার করলেও বাকি সব কিছুই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। নিমকহারাম দেউড়ি নাম নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাসাদের মূল প্রবেশপথ ।Conclusion:কপিটা এখানে দিলাম
Last Updated : Jan 3, 2020, 7:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.