রঘুনাথগঞ্জ, 13 অগস্ট: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বাড়ি বাড়ি রেখে যাওয়া হয়েছিল সাদা থান কাপড় ৷ এবার 'দুয়ারে বোমা' । একটি নয়, একাধিক বাড়ি ও দোকানের দরজার সামনে পাওয়া গেল তাজা বোমা । রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার বানিনগর এলাকায় । ঘুম চোখে বাড়ির সদর দরজা খুললেই চক্ষুচড়ক গাছ এলাকাবাসীদের । বোম থেকে ছড়িয়েছে তীব্র আতঙ্ক । পুলিশ দেরিতে আসার অভিযোগ তুলে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা ৷ ঘটনায় অভিযোগের তির রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দিকেই । কে বা কারা বোমা রেখে গেল, তদন্তে নেমেছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ ।
আতঙ্কিত বাসিন্দা স্বপ্না দাস বলেন, "আমার কাকি শ্বাশুড়ির বাড়িতে বোমা পাওয়া গিয়েছে ৷ ফোন করার পর দুঘণ্টা হয়ে গেলেও পুলিশ আসেনি ৷ আমরা আতঙ্কে রয়েছি ৷"
স্থানীয় বাসিন্দা সায়নদীপ দাস বলেন, "পুলিশে ফোন করা হলে রাতে এসে বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায় ৷ সকাল থেকে ফের ফোন করা হলে পুলিশ আসেনি ৷ পুলিশ না আসায় আমরা রাস্তা অবরোধ করি ৷ মমতা সরকার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দুয়ারে বোমা প্রকল্প চালু করেছে ৷"
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই এলাকায় হুঁশিয়ারি পোস্টার পড়েছিল শাসকদলের পক্ষ থেকে । এবার পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পর দরজায় দরজায় বোমা রেখে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে । মুর্শিদাবাদে এবার বাম কংগ্রেস জোট তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে একাধিক পঞ্চায়েত বোর্ডের দখল নিয়েছে । রঘুনাথগঞ্জ-1 ব্লকের বহু পঞ্চায়েত বাম কংগ্রেস জোটের দখলে । পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের হুঁশিয়ারি পোস্টার কাজে দেয়নি বলে স্থানীয়দের দাবি । তাই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের পরেই বাড়ির দুয়ারে বোমা রাখার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন! আগের রাতে এলাকা থেকে উদ্ধার 70টি বোমা
এ দিন দুটি বাড়ির বারান্দায়, দরজায় ও একটি দোকানের সামনে কে বা কারা একাধিক বোমা রেখে পালিয়ে যায় । পরিবারের লোকজন সকালে দরজা খুলতেই বোমাগুলি তাদের নজরে আসে । খবর দেওয়া হয় রঘুনাথগঞ্জ থানায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ । বোমাগুলি নিস্ক্রিয় করার প্রক্রিয়াও শুরু করে তারা । পঞ্চায়েত ভোটের আগেই এই এলাকায় বাড়ির দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টার পড়েছিল । সেই পোস্টারে লেখা ছিল, তৃণমূলকে ভোট না দিলে ফল ভালো হবে না । শাসকদলের সমর্থকদের এই হুঁশিয়ারি পোস্টারে নির্বাচনের আগে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল । যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ অস্বীকার করে । গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ ।