ETV Bharat / state

Sand Smuggling: কুয়ো নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন, প্রশাসনের দিকে অভিযোগের তির বিজেপির

কুয়ো নদীতে সক্রিয় বালি মাফিয়া রাজ চলছে ৷ প্রশাসনের মদতে এই কাজ হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির ।

Sand Smuggling
বালি মাফিয়া
author img

By

Published : Apr 9, 2023, 4:58 PM IST

কুয়ো নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

মুর্শিদাবাদ, 9 এপ্রিল: মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার অন্তর্গত আঙ্গারপুর ব্রিজ থেকে 150 মিটারের মধ্যে রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ । বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে কুয়ো নদী হারাতে বসেছে তার নাব্যতা ৷ এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের । যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বালি মাফিয়াদের ভয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি । দিনেরবেলা প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাদের নাকের ডগায় বালি কাটার ঘটনায় সরব হয়েছেন শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধী শিবির ।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম এই ঘটনার পক্ষপাতী নন বলে জানান এবং তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন । পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে প্রশাসনের উপর দায় চাপিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রশাসনের একাংশের মদতেই বালি মাফিয়ারা কুয়ো নদী থেকে অবাধে এরকমভাবে দিনের আলোয় বালি কাটছে । ঘটনায় বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য আবারও সামনে আসছে মুর্শিদাবাদে । রাজ্য সরকারকে সরাসরি চোর বলে সম্বোধন করেন বিজেপি নেত্রী বিনীতা রায় । তিনি বলেন, "সরকার কাটমানি খাচ্ছে ৷ প্রশাসনও কাটমানি খাচ্ছে । সরকারের মদত পেয়ে প্রশাসন দুর্নীতিবাজদের আশকারা দিচ্ছে । তাতে তারা বেআইনিভাবে নদী থেকে বালি তুলছে ।"

ভরতপুর-1 ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, নদীর বাঁধ থেকে 150 মিটারের মধ্যে বালি তোলা হচ্ছে । প্রশাসনকে এ বিষয়ে বহুবার বলা হয়েছে । প্রশাসনের কাছে এর আগে অভিযোগ করা হয়েছিল ৷ তখন তিনি নিজে গিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখেন । এক্তিয়ার বেঁধে দেওয়ার পরও আঙ্গারপুরের কুয়ো ব্রিজের পাশ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালি তুলছেন আগরওয়াল নামক এক ব্যবসায়ী । অবৈধভাবে মূলত বাঁধের এক থেকে দেড়শ মিটারের মধ্যে এবং নদীর পার লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে এই ব্যবসায়ী বালি তুলছেন বলে অভিযোগ ।

তিনি আরও জানান, যেভাবে বালি তুলছেন তাতে আগামিদিনে বর্ষার সময় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই তিনি আবারও এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিএলআরও'র কাছে আগরওয়ালের নামে অভিযোগ নথিভুক্ত করবেন বলে জানিয়েছেন । দক্ষিণ বিজেপি জেলা সম্পাদক অপূর্ব দাস জানান, এই রাজ্য সড়কটি কান্দি থেকে কলকাতার যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম । যাতায়াতের সময় সকলেই দেখতে পান এলাকাটি । তারপরও সেই এলাকা কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী পক্ষ ।

আরও পড়ুন: মাঝ গঙ্গায় রমরমিয়ে চলেছে অবৈধ বালির কারবার, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের

কুয়ো নদীতে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন

মুর্শিদাবাদ, 9 এপ্রিল: মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর থানার অন্তর্গত আঙ্গারপুর ব্রিজ থেকে 150 মিটারের মধ্যে রমরমিয়ে চলছে অবৈধভাবে বালি তোলার কাজ । বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে কুয়ো নদী হারাতে বসেছে তার নাব্যতা ৷ এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের । যদিও এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বালি মাফিয়াদের ভয়ে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে চাননি । দিনেরবেলা প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাদের নাকের ডগায় বালি কাটার ঘটনায় সরব হয়েছেন শাসকদল থেকে শুরু করে বিরোধী শিবির ।

তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম এই ঘটনার পক্ষপাতী নন বলে জানান এবং তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন । পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে প্রশাসনের উপর দায় চাপিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রশাসনের একাংশের মদতেই বালি মাফিয়ারা কুয়ো নদী থেকে অবাধে এরকমভাবে দিনের আলোয় বালি কাটছে । ঘটনায় বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য আবারও সামনে আসছে মুর্শিদাবাদে । রাজ্য সরকারকে সরাসরি চোর বলে সম্বোধন করেন বিজেপি নেত্রী বিনীতা রায় । তিনি বলেন, "সরকার কাটমানি খাচ্ছে ৷ প্রশাসনও কাটমানি খাচ্ছে । সরকারের মদত পেয়ে প্রশাসন দুর্নীতিবাজদের আশকারা দিচ্ছে । তাতে তারা বেআইনিভাবে নদী থেকে বালি তুলছে ।"

ভরতপুর-1 ব্লক সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, নদীর বাঁধ থেকে 150 মিটারের মধ্যে বালি তোলা হচ্ছে । প্রশাসনকে এ বিষয়ে বহুবার বলা হয়েছে । প্রশাসনের কাছে এর আগে অভিযোগ করা হয়েছিল ৷ তখন তিনি নিজে গিয়ে বিষয়টা খতিয়ে দেখেন । এক্তিয়ার বেঁধে দেওয়ার পরও আঙ্গারপুরের কুয়ো ব্রিজের পাশ থেকে দীর্ঘদিন ধরে বালি তুলছেন আগরওয়াল নামক এক ব্যবসায়ী । অবৈধভাবে মূলত বাঁধের এক থেকে দেড়শ মিটারের মধ্যে এবং নদীর পার লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে এই ব্যবসায়ী বালি তুলছেন বলে অভিযোগ ।

তিনি আরও জানান, যেভাবে বালি তুলছেন তাতে আগামিদিনে বর্ষার সময় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই তিনি আবারও এই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিএলআরও'র কাছে আগরওয়ালের নামে অভিযোগ নথিভুক্ত করবেন বলে জানিয়েছেন । দক্ষিণ বিজেপি জেলা সম্পাদক অপূর্ব দাস জানান, এই রাজ্য সড়কটি কান্দি থেকে কলকাতার যাওয়ার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম । যাতায়াতের সময় সকলেই দেখতে পান এলাকাটি । তারপরও সেই এলাকা কীভাবে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে যায়, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী পক্ষ ।

আরও পড়ুন: মাঝ গঙ্গায় রমরমিয়ে চলেছে অবৈধ বালির কারবার, ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রশাসনের

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.