কান্দি, 5 এপ্রিল : কান্দিতে চলল গুলি । গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন এক কংগ্রেস কর্মী । অভিযোগের আঙুল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে । ওই কংগ্রেস কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । দুষ্কৃতীরা এক বিজেপি সমর্থকের দোকানে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ উঠেছে ৷ দু'টি ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় কান্দি শহরের আলুপট্টি এলাকায় । দোষীদের শাস্তির দাবিতে রাতেই কান্দি থানায় কংগ্রেস-বিজেপি সমর্থকরা একযোগে ধর্নায় বসেন । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।
আপও পড়ুন: ভোট মিটতেই উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুর, গ্রেফতার 14
রবিবার রাতে চলতি বিধানসভা ভোটের দেওয়াল লেখার পর লোহাপট্টির একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন কংগ্রেস কর্মী চঞ্চল বারিক ৷ অভিযোগ, এইসময় তাঁর ওপর হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ৷ আরও অভিযোগ, ঘটনাস্থানে চার রাউন্ড গুলি চালানো হয় ৷ গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় প্রাণে বাঁচেন কংগ্রেস কর্মী । অন্যদিকে, ঘটনাস্থানের অদূরে এক বিজেপি সমর্থকের দোকানেও হামলা হয় ৷ দোকানের গেট ভেঙে দেওয়া হয় ৷ দুই ঘটনাতেই অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে । পরে ঘটনার খবর পেয়ে কান্দি থানার পুলিশ ঘটনাস্থানে আসে ৷ এরপর কংগ্রেসের প্রার্থী সফিউল আলম খান ও বিজেপি প্রার্থী গৌতম রায়ের নেতৃত্বে দুই দলের কর্মী-সমর্থকেরা একযোগ কান্দি থানায় বিক্ষোভ দেখান । থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । ঘটনার তদন্তে নামলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ ।
বিদায়ী কংগ্রেস বিধায়ক তথা বিধানসভা ভোটের প্রার্থী সফিউল আলম খান বলেন, "কংগ্রেস করার অপরাধে আমার দলের ছেলেকে মারধর করা হয়েছে । তাঁকে লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয় । আমরা দোষীদের গ্রেফতারির দাবি জানিয়েছি ।"
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ৷ কান্দি বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘বলছে গুলি চালানো হয়েছে ৷ এই ধরনের ঘটনা সমর্থন করি না ৷ সিসিটিভি ফুটেজ় দেখে দোষীদের চিহ্নিত করার দাবি জানাচ্ছি ৷’’