বড়ঞা, 28 জুলাই: মহিলা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক কোয়াক ডাক্তারকে রাস্তায় গণপিটুনি এলাকাবাসীর । শুক্রবার ওই চিকিৎসকের চেম্বারেও বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতা । এদিন ঘটনাটি ঘটেছে বড়ঞা থানার অন্তর্গত আন্দি হাইস্কুলের সন্নিকটে এক হোমিও এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের চেম্বারে ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল নাগাদ এক মহিলা চিকিৎসা করাতে যান ওই চিকিৎসকের কাছে । পেটে ব্যাথার সমস্যা ছিল তাঁর ৷ অভিযোগ, সেই সময়ে চিকিৎসার নামে বিভিন্ন ভাবে ওই মহিলাকে স্পর্শ করেন ওই কোয়াক ডাক্তার । অস্বস্তি বোধ হলে মহিলা তার প্রতিবাদ করেন ৷ এরপর তাঁর পরিবারের লোকেরা সেখানে গেলে ঝামেলা শুরু হয় । এরপর বিষয়টি জানতে পেরে এলাকাবাসীও চড়াও হয় ওই ক্লিনিকের উপর ৷
এলাকাবাসীর বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরেই ওই কোয়াক ডাক্তারের নামে অভিযোগ ছিল । অনেক মহিলাই চিকিৎসা করতে এসে দ্বিতীয়বার আর ওই চিকিৎসকের কাছে আসেন না ৷ নাম খারাপের ভয়ে এতদিন কোনও মহিলা প্রতিবাদও করেননি । অভিযোগ, শুক্রবার এক মহিলা চিকিৎসা করাতে এলে তাঁর সঙ্গেও খারাপ আচরণ করেন ওই কোয়াক ডাক্তার । এরপরেই ওই চিকিৎসকের উপর চড়াও হয় এলাকাবাসী ৷
আরও পড়ুন: মাথার টিউমারের অস্ত্রোপচার বাড়িতে ! শিলিগুড়িতে গ্রেফতার ভুয়ো চিকিৎসক
বড়ঞা থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে । যদিও পুলিশের সামনেই মারমুখী হয়ে ওঠে জনগণ । মানুষের ক্ষোভের হাত থেকে বাঁচাতে এবং দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ওই অভিযুক্ত কোয়াক ডাক্তার বিমল মণ্ডলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। যদিও চিকিৎসক শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তাঁর দাবি, ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে ৷ ওই মহিলা মাথা যন্ত্রণা ও তলপেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে তাঁর কাছে চিকিৎসা করানোর জন্য এসেছিলেন বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত ৷ তাঁর দাবি, সেসময়ে চেম্বারে আরও মহিলা রোগী ছিলেন ৷