মুর্শিদাবাদ, 20 জুন: মনোনয়নপত্র দাখিল প্রক্রিয়ার প্রথমদিন থেকেই মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার বড়ঞা বিডিও অফিসে কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়নের শেষ ধাপ সম্পন্ন করার কাজ করতে এলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা ফাইল নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় বড়ঞা বিডিও অফিসের সামনে ধরনায় বসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী ৷
অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পেশের পর থেকেই তা প্রত্যাহারের হুমকি আসছিল শাসক দলের তরফ থেকে ৷ এদিন বি-ফর্ম জমা দিয়ে প্রতীক নেওয়ার কাজ করতে বিডিও অফিসে এসেছিলেন কংগ্রেস কর্মীরা ৷ সেই সময় তাঁরা ভিতরে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ৷ সেই সময়ে কংগ্রেস প্রার্থীদের হাত থেকে ফাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতিরা ৷ পুলিশের উপস্থিতিতেই এই কাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস কর্মীদের।
ঘটনার কথা জানতে পেরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বড়ঞা বিডিও অফিসের সামনে গিয়ে ধরনায় বসেন। কেন কংগ্রেসের নেতৃত্ব ও কর্মীদের মারা হয়েছে ? প্রতিবাদে ধরনায় বসেন তিনি। বহরমপুরের সাংসদের অভিযোগ, "প্রশাসনিক কর্তাদের জানিয়ে আমরা এখানে এসেছি। তারপরও কেন বঞ্চিত করা হচ্ছে নির্বাচন থেকে। মনোনয়ন করতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ নির্বাচন করতে দেওয়া হচ্ছে না তার প্রতিবাদেই ধরনা।"
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত মামলায় বারবার দৃষ্টি আকর্ষণ করায় বিরক্ত হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি
তিনি আরও জানান, বিডিও অফিস সর্বসাধারণের। এখন নির্বাচন জারি হওয়ায় প্রার্থীরা মনোনয়নের পর এবার বি-ফর্ম জমা করতে এসেছেন দলের প্রতীক পাওয়ার জন্য। তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনীরা পরিকল্পিতভাবে এমন করেছে। মঙ্গলবার প্রতীক পাওয়ার শেষদিন জেনে প্রথমে ব্যরিকেড করে আটকানোর চেষ্টা করা হয় কংগ্রেস কর্মীদের। এরপর গাড়িতে হামলা করে কাঁচ ভেঙে দেওয়া হয়। এত বাধা পেরিয়ে বিডিও অফিসে আসলেও সেখানেও হার্মাদবাহিনীরা ফাইল প্রার্থীদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। বিরোধী পক্ষ যাতে না-থাকে সে কারণেই এমন পরিকল্পনা বলে অভিযোগ অধীর চৌধুরীর। এই ঘটনার পর বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়ন করা হয়েছে এলাকায়। পুরো বিডিও অফিস চত্বর মুড়ে ফেলা হয়েছিল।