বহরমপুর, 8 সেপ্টেম্বর: রাজ্যপাল বিজেপি পার্টির মুখপাত্র হিসেবে বক্তব্য রাখছেন । আসলে রাজ্যপাল আর মুখ্যমন্ত্রী দুটি সার্কাস দল । আর দুজনেই সেই সার্কাস দলের জোকার । বাংলার মানুষ সেই সার্কাস দেখছেন । শুক্রবার বহরমপুর জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাত নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । পাশাপাশি ধূপগুড়িতে বাম-কংগ্রেস জোটের ভরাডুবি নিয়েও সাফাই দিলেন তিনি । অধীরের সাফাই, "ওই আসন নিয়ে আমরা কখনও আশাবাদী ছিলাম না ।"
আজ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে । তার আগেই কার্যত পরাজয় মেনে নেন বাম-কংগ্রেস জোটের অন্যতম কারিগর তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী । তিনি বলেন, "লোকসভা নির্বাচন দেশের নিরিখে হয় । বিধানসভা নির্বাচন, পৌরসভা বা পঞ্চায়েত নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনগুলি আলাদা আলাদা নিরিখে হয় । ধূপগুড়িতে আমরা কখনওই শক্তিশালী ছিলাম না। তাই জেতারও লক্ষ্য আমাদের ছিল না । ওই আসনটি বিজেপির দখলে ছিল । বিধায়কের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের কেউ মনোনয়ন পেয়েছেন । সিমপ্যাথি ভোট পাবেন এটাই স্বাভাবিক । আমরা ওই আসনে জয়ের আশাবাদী ছিলাম না । সাগরদিঘি উপনির্বাচনে আমরা জয়ে আশাবাদী ছিলাম । ফলাফলও তাই হয়েছে । ধূপগুড়িতে আমরা কোনওদিনই শক্তিশালী ছিলাম না। তবে লড়াই ছাড়া কোনও আসন আমরা ছাড়তে রাজি নই, তাই প্রার্থী দিয়েছিলাম ।"
আরও পড়ুন: 'এটা বিল নয় প্রস্তাব, তাই রাজ্যপাল অনুমোদন না দিলেও বাংলা দিবস উদযাপন আটকাবে না'
পাশাপাশি রাজভবনে উপাচার্যদের ধরনাকেও তীব্র কটাক্ষ করেন অধীর চৌধুরী । তিনি বলেন, এই রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কোনও আলোচনা হয় না । ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে সরকারের কোনও পদক্ষেপ নেই । এ দিকে, এক ধাক্কায় বিধায়কদের ভাতা বৃদ্ধি করা হল । আর এখন শুরু হয়েছে নতুন সার্কাস । রাজ্যপাল এক সার্কাস দলের জোকার আর মুখ্যমন্ত্রী আর এক সার্কাস দলের জোকার ।
জি-20 শীর্ষ সম্মেলনের নৈশভোজে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় উষ্মাপ্রকাশ করেছেন লোকসভার বিরোধী নেতা । তিনি বলেন, "মোদি মনে করেননি তাই আমন্ত্রণ জানাননি । বিনা আমন্ত্রণে তো যেতে পারি না । মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি আমন্ত্রণ জানানো উচিত বলে মনে করেছেন । মুখ্যমন্ত্রীও মনে করেছেন যাওয়া উচিত । তাই যাচ্ছেন ।"