বহরমপুর, 12 মার্চ: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের জন্য আপাতত লোকসভার বিরোধী দলনেতা পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীকে। তাঁর জায়গায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এআইসিসির হুইপ তথা পঞ্জাবের সাংসদ রভনীত সিং বিট্টুকে। তারপর থেকেই এবিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো শুরু হয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলিতে। এবার সেই বিষয়ে মুখ খুললেন অধীরবাবু। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত থাকব আমি। অথচ সংবাদমাধ্যমের তরফে বলা হচ্ছে যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনাকে তৃণমূলের পক্ষে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা বলার জন্যই নাকি কংগ্রেসের তরফে আমাকে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরানো হয়েছে।
লোকসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে গতকালই সরানো হয় অধীর চৌধুরীকে। সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, লোকসভার বিরোধী নেতার পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে খবর ছড়ানো হচ্ছে। আমরা সংবাদমাধ্যমকে বিশ্বাস করি। যে কোনও খবর প্রকাশের আগে সেই খবরের সত্যতা যাচাই করে নেওয়া উচিত। l তা না হলে সাধারণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহত হওয়ার ঘটনাকে শাসকদল তৃণমূলের সাধারণ মানুষের কাছে ভোট আদায়ের অস্ত্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্যও কামনা করেন লোকসভায় সদ্য অব্যাহতি পাওয়া বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: ভোটের দায়িত্বে অধীর, আপাতত লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা রভনীত
অধীরবাবু আরও বলেন, সোনিয়া গান্ধির নির্দেশে তিনি লোকসভার বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। আমার বিরোধী দলনেতার পদের নিচে রয়েছেন ডেপুটি লিডার, তার নিচে রয়েছেন চিফ হুইপ, তারও নিচে রয়েছেন আরও দুজন হুইপ। এই পাঁচজনের কমিটিই সরকারের উপর নজর রাখে ও প্রয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধিতা করে থাকে।