বহরমপুর, 22 মে: সমস্ত হাসপাতালকে গিলে খেয়েছে দালালরাজ। লুটে খাওয়ার জন্য রোগী কল্যাণ সমিতির মাথার উপর বসানো হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। মদন মিত্রের পর স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে সুর চড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পাশাপাশি সোমবার বহরমপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে অধীর চৌধুরী বলেন, "বাজি তৈরির নামে কারখানাগুলিকে তৃণমূল কংগ্রেস বোমা তৈরির কারখানায় রূপান্তরিত করেছে। ওই বোমায় একদিন বাংলাকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবে।"
এসএসকেএমের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে মদন মিত্রের বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। যদিও 24 ঘণ্টার মধ্যে 360 ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে নিজেকে সেফ সাইটে নিয়ে আসার কৌশল অবলম্বর করেছেন মদন মিত্রের। মদন মিত্রের সুরে সুর মিলিয়ে এবার রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে মুখ খুললেন অধীর চৌধুরী। এদিন তিনি বলেন, "গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। পরিকাঠামোর অভাব। চিকিৎসা করাতে এলেই শহরে রেফার করা হচ্ছে। সেখানেও একই অবস্থা।"
অধীরবাবু আরও বলেন, "এরপর সেইসব রোগী পাঠানো হচ্ছে পিজিতে। সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিই এখন দালালদের দখলে। দালালরাজ গিলে খেয়েছে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিকে। মানুষকে বাধ্য হয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির উপর ভরসা করতে হচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিও লুঠ করছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির মাথার উপর রোগীকল্যাণ সমিতিতে বসানো হয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তারা নিজেদের মতো করে হাসপাতালগুলি চালাচ্ছে।"
আরও পড়ুন: এসএসকেএমের মতোই রামপুরহাট মেডিক্যালে দালালরাজ, ভাঙতে উদ্যোগী শতাব্দী
পাশাপাশি এগরার পর মহেশতলায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে তিনজনের মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের দিকেই আঙুল তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। অধীরবাবু এ প্রসঙ্গে বলেন, "এত বারুদ কোথা থেকে আসছে? কীসের প্রয়োজনে আসছে? দু'একটি উৎসব অনুষ্ঠানে এত বাজি লাগে না। তাহলে এত বারুদে কী হচ্ছে? আসলে বাজি কারখানার নাম করে তৃণমূল বোমা কারখানা তৈরি করে রেখেছে। এই বোমায় একদিন বাংলাকে ধ্বংস করবে।"
উল্লেখ্য, এসএসকেএম কাণ্ডে মদন মিত্রের অভিযোগের পর রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে দালাল রাজের অভিযোগ তুলেছেন শতাব্দী রায় ৷ তা ভাঙতে রবিবার বিকেলে তিনি একটি বৈঠকও করেন বীরভূমের সাংসদ ৷