বড়ঞা, 10 ফেব্রুয়ারি : ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল সেতুটি ৷ দাঁড়িয়ে আছে আজও, তবে ভেঙেছে স্বাস্থ্য ৷ বন্ধ হয়েছে যান চলাচল ৷
শের শাহের তৈরি বাদশাহি সড়ক এখন বদলে পরিণত হয়েছে 7 নম্বর জাতীয় সড়কে । 34 নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প পথ হিসাবে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা এই বাদশাহি সড়ক । এই সড়কের উপরই বড়ঞা থানার করালিতলায় রয়েছে ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয় এই লোহার সেতুটি ৷ দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে এই সেতু । গত চারমাস ধরে সেতুর উপর দিয়ে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ, গতিবেগ বেঁধে দেওয়া হয়েছে 20 কিলোমিটার ৷ এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ । ঘুরপথে যেতে তাদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্তি ভাড়া ,পাশাপাশি লাগছে বাড়তি সময়ও । 3 টনের অধিক ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করায় ভারী গাড়িগুলিকে 30-40 কিমি ঘুরপথে যেতে হচ্ছে গন্তব্যে পৌছানোর জন্য৷
জরাজীর্ণ এই সেতুটি ভেঙে বিকল্প হিসাবে নতুন সেতু তৈরি হবে, তার জন্য পাশ হয়ে গেছে টেন্ডারও ৷ ওয়ার্ক অর্ডার বের হলেই শুরু হবে কাজ । কিন্তু শুরু হয়নি কোনও কাজ । সেতু নির্মাণে প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ব্যাস্ততম সেতুর দ্রুত সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হোক দ্রুত ।
সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনার আভাস পেয়ে অবশেষে নড়েচড়ে বসেছে পূর্ত দপ্তরের বহরমপুর ডিভিশন -2-এর আধিকারিকরা । প্রশাসনের এক অধিকারিক জানালেন, ‘‘প্রথমে বিকল্প রাস্তা তৈরি করেই তারপর লোহার সেতু ভেঙে নির্মাণ করা হবে দুই লেনের নতুন সেতু । বিকল্প রাস্তা তৈরির জন্য 1 কোটি 30 লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে । টেন্ডার পাশ হয়ে গেছে৷ ওয়ার্ক অর্ডার বের হলেই শুরু হবে কাজ ।’’
প্রশাসনের আশ্বাসে স্বস্তি পেলেও সেতুর কাজ কবে শুরু হবে, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ।