মালদা, 29 সেপ্টেম্বর : বেহাল 34 নম্বর জাতীয় সড়কের দ্রুত সংস্কারের দাবিতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচি পালন করল জেলা যুব তৃণমূল ৷ আজ পুরাতন মালদার মঙ্গলবাড়িতে ওই দপ্তরের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয় ৷ উপস্থিত ছিলেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস, পুরাতন মালদা পৌরসভার বর্তমান ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ, বিভূতিভূষণ ঘোষসহ অন্যরা ৷
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৃষ্টির জন্য এই মুহূর্তে কাজ করা যাচ্ছে না ৷ বর্ষা শেষ হলে সড়ক সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হবে ৷ যদিও দ্রুত সড়ক সংস্কার না করা হলে জাতীয় সড়কে থাকা জেলার দু'টি টোল গেট বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে শাসকদলের যুব সংগঠন ৷
প্রসেনজিৎবাবু বলেন, "34 নম্বর জাতীয় সড়ক মালদা জেলার লাইফ লাইন ৷ এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ যাতায়াত করে ৷ কিন্তু বর্তমানে এই সড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে ৷ মানুষ প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ৷ মারাও যাচ্ছে ৷ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল থাকার জন্য এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷ আজ আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে ডেপুটেশন দিয়েছি ৷ তাঁকে বলেছি, তিনি নিজে যেন মানুষের যন্ত্রণা সরেজমিনে উপলব্ধি করেন ৷ আমরা দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সবসময় মানুষের স্বার্থে লড়াই করি ৷ আমরা প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি, আগামীকাল থেকেই এই সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করতে হবে ৷ বিশেষ করে মহানন্দা ব্রিজের সংস্কার দ্রুত করতে হবে ৷ ওই ব্রিজে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে । মারা যাচ্ছে অনেকে ৷ এরপরেও জাতীয় সড়ক সংস্কার না করা হলে আমরা জেলার দু'টি টোল গেটই বন্ধ করে দেব ৷"
ডেপুটেশন চলাকালীন 34 নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর দীনেশ হানসারিয়া জানান, "বৃষ্টির জন্য আমরা গত এপ্রিল থেকে সড়ক সংস্কারের কাজ করতে পারছি না ৷ মহানন্দা ব্রিজের পরিকাঠামো ঠিক থাকলেও উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৷ আপাতত আমরা সেই অংশ অস্থায়ীভাবে মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷ পরে ব্রিজের উপরিভাগ তুলে ফেলে কাজ করতে হবে ৷ এর আগেও আমরা জাতীয় সড়ক বন্ধ করে ওই ব্রিজ মেরামত করেছিলাম ৷ কিন্তু ব্রিজের উপর দিয়ে অতিরিক্ত মালবাহী যানবাহন চলাচল করায় ব্রিজ ফের নষ্ট হয়ে গিয়েছে ৷ গত অগাস্ট মাসে সড়ক সংস্কারের বরাত এক নতুন এজেন্সিকে দেওয়া হয়েছে ৷ বৃষ্টি থামলেই কাজ শুরু করা হবে ৷ তবে বিটুমিনের কাজ এই মুহূর্তে করা সম্ভব নয় ৷ আর জাতীয় সড়কের ধারে নালার কাজ আমরা করতে পারব না ৷ এখন এই জাতীয় সড়কের দু’ধার উঁচু হয়ে রয়েছে ৷ ফলে জাতীয় সড়কে জল জমে যাচ্ছে ৷ নালা তৈরির প্রস্তাব আমরা হায়ার অথরিটির কাছে পাঠিয়েছি ৷ সেই প্রস্তাব অনুমোদিত হলেই আমরা এই কাজ করতে পারব ৷"