মালদা, 19 জানুয়ারি: যুবক খুনে বড় সাফল্য মালদা ইংরেজ বাজার পুলিশের ৷ ঘটনার মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে অভিযুক্ত তাজ আলি (52) ওরফে রাজু ওরফে টুকুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ আর্থিক লেনদেন নিয়ে জটিলতা, তার জেরেই যুবককে অতিরিক্ত মদ্যপান করিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে ৷ প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই অনুমান পুলিশের ৷ ধৃতকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হলে 10 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷
উল্লেখ্য, গত 12 জানুয়ারি ইংরেজবাজারের গয়েশপুর এলাকা মহানন্দা নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে এক যুবকের গলা কাটা দেহ ৷ প্রথমে এই যুবকের নাম-পরিচয় জানা না গেলেও, পরদিন মৃতদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ । জানা যায়, মৃত যুবকের নাম সিন্টু রায়। বাড়ি পুরাতন মালদার বাচামারি মণ্ডল পাড়ায় । ঘটনায় সিন্টুর মা ইংরেজবাজার থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে শুরু করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মৃত যুবক সিন্টুর মা পুলিশকে জানান, ঘটনার আগের রাতে সিন্টু একটি কাজ করে বেশ কিছু টাকা পাওয়ার কথা জানিয়েছিল । এরপরই তদন্তের স্বার্থে পুলিশ সিন্টুর ফোনকল রেকর্ড খতিয়ে দেখে ৷ সেই সূত্র ধরেই পুলিশ পৌঁছয় গয়েশপুর এলাকায় ৷ অভিযুক্ত বছর বাহান্নর তাজ আলির সন্ধান পায় ৷ পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার দিন তাজ আলি সিন্টুকে সুকান্ত মোড়ে ডেকে পাঠিয়েছিল। এরপরই তাজকে আটক ও জেরা শুরু করে পুলিশ । পুলুশি জেরায় খুনের বিষয়টি স্বীকার করে। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় তার আলিকে ৷
অভিযুক্ত তাজ আলিকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, গত কয়েক মাস ধরে টাকা নিয়ে সিন্টুর সঙ্গে বিবাদ চলছিল তার। সেই আক্রোশে গত 11জানুয়ারি রাতে একটি বড় কাজের টোপ দিয়ে সুকান্ত মোড়ে ডেকে পাঠায় সিন্টুকে ৷ তার বিনিময়ে মোটা টাকা দেবে বলেও উল্লেখ করে । সেই মতোই তাজ আলির বলে দেওয়া জায়গায় সিন্টু এলে মদ্যপান করার কথা বলে ৷ এরপরই তাকে গয়েশপুরে মহানন্দাঘাটে নিয়ে যায় তাজ। অতিরিক্ত মদ্যপান করিয়ে, গলা কেটে খুন করে।
তবে আর্থিক কারণেই যে খুন তা এখনও স্পষ্ট করেনি তদন্তকারী অফিসাররা। খুনের মূল উদ্দেশ্য জানতে ও খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করতে ধৃতকে জেরা শুরু করছে পুলিশ ৷ সত্যি কি আর্থিক লেনদেন নিয়ে অশান্তি না কি অন্য কোনও কারণ আছে তাও খতিয়ে দেখছে ইংরেজ বাজার থানার তদন্তকারী অফিসাররা ৷
আরও পড়ুন: