ETV Bharat / state

গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার যুবতির মৃতদেহ, খুনের অভিযোগ

মালদায় পণের দাবিতে বিবিকে খুনের অভিযোগ উঠল শওহর ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ৷ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷

photo
ছবি
author img

By

Published : Jan 13, 2020, 11:20 PM IST

মালদা, 13 জানুয়ারি : পণের দাবিতে বিবিকে খুনের অভিযোগ উঠল শওহরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ৷ আজ তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত যুবতির পরিবারের লোকজন ৷ ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর গ্রামের ৷ মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ মৃত যুবতির নাম হাসিনা খাতুন (22)৷ বাড়ি রতুয়া থানার মোমিনপাড়ায়৷

পুলিশি অভিযোগ মৃতার আব্বা তাজামুল সাই জানান, 2016 সালের 26 অক্টোবর হাসিনার সঙ্গে সামাজিক নিকাহ দেন সুলতাননগরের সেখ কলিমুদ্দিনের ৷ নিকাহের সময় কলিমুদ্দিন ওরফে কালুকে নগত 2 লাখ 25 হাজার টাকা সহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দিয়েছিলেন তাঁরা৷ নিকাহের পর থেকেই আব্বার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য হাসিনাকে চাপ দিতে থাকত পরিবারের লোকজন ৷ টাকা আনতে রাজি না হলে হাসিনার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত কালুর পরিবারের লোকজন৷ গতকাল রাতে মেয়ের প্রতিবেশীরা ফোন মারফত জানায়, হাসিনা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ আজ সকালে হাসিনার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মৃতদেহ খাটে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা৷ মেয়ের গলাতে ফাঁস লাগানোর চিহ্নও নজরে আসে তাঁদের৷ পণের দাবিতে হাসিনাকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান তাঁদের৷

হাসিনার আম্মা গোলেনুর বিবি জানান, "সাহাপুরে মেয়ের নিকাহ দিয়েছিলাম ৷ ও গর্ভবতী ছিল ৷ কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের বাচ্চাটিকেও নষ্ট করে দিয়েছিল ৷ মেয়েকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম ৷ এরপর শওহরের কাছে ফিরে গেলে আবারও মারধর করে কালু ও তার পরিবারের লোকজন ৷ এই নিয়ে বিচারও হয়েছিল ৷ এরপর জামাই দাদন খাটতে যাওয়ার জন্য মেয়েকে লাখ টাকা আনতে বলে ৷ সেই টাকাও দিয়েছিলাম ৷ দাদন খেটে ফিরে এসে ফের 60 হাজার টাকা দাবি করে কালু ৷ মেয়ে বাড়িতে টাকা নিতে এসেছিল ৷ কিন্তু মেয়েকে তিনবারই খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম ৷ গতকাল রাতে আমাকে ফোন করেছিল৷ ফোনে হাসিনা জানিয়েছিল, ওর মনে হচ্ছে ওকে মেরে ফেলবে৷ আমি মেয়েকে শান্তিতে থাকতে বলেছিলাম ৷ কিন্তু রাতেই মেয়েকে খুন করা হল৷ আমাদের অনুমান, মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে৷"

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে৷ মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷

মালদা, 13 জানুয়ারি : পণের দাবিতে বিবিকে খুনের অভিযোগ উঠল শওহরসহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে ৷ আজ তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত যুবতির পরিবারের লোকজন ৷ ঘটনাটি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর গ্রামের ৷ মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ মৃত যুবতির নাম হাসিনা খাতুন (22)৷ বাড়ি রতুয়া থানার মোমিনপাড়ায়৷

পুলিশি অভিযোগ মৃতার আব্বা তাজামুল সাই জানান, 2016 সালের 26 অক্টোবর হাসিনার সঙ্গে সামাজিক নিকাহ দেন সুলতাননগরের সেখ কলিমুদ্দিনের ৷ নিকাহের সময় কলিমুদ্দিন ওরফে কালুকে নগত 2 লাখ 25 হাজার টাকা সহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দিয়েছিলেন তাঁরা৷ নিকাহের পর থেকেই আব্বার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য হাসিনাকে চাপ দিতে থাকত পরিবারের লোকজন ৷ টাকা আনতে রাজি না হলে হাসিনার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত কালুর পরিবারের লোকজন৷ গতকাল রাতে মেয়ের প্রতিবেশীরা ফোন মারফত জানায়, হাসিনা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ আজ সকালে হাসিনার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মৃতদেহ খাটে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা৷ মেয়ের গলাতে ফাঁস লাগানোর চিহ্নও নজরে আসে তাঁদের৷ পণের দাবিতে হাসিনাকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান তাঁদের৷

হাসিনার আম্মা গোলেনুর বিবি জানান, "সাহাপুরে মেয়ের নিকাহ দিয়েছিলাম ৷ ও গর্ভবতী ছিল ৷ কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের বাচ্চাটিকেও নষ্ট করে দিয়েছিল ৷ মেয়েকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম ৷ এরপর শওহরের কাছে ফিরে গেলে আবারও মারধর করে কালু ও তার পরিবারের লোকজন ৷ এই নিয়ে বিচারও হয়েছিল ৷ এরপর জামাই দাদন খাটতে যাওয়ার জন্য মেয়েকে লাখ টাকা আনতে বলে ৷ সেই টাকাও দিয়েছিলাম ৷ দাদন খেটে ফিরে এসে ফের 60 হাজার টাকা দাবি করে কালু ৷ মেয়ে বাড়িতে টাকা নিতে এসেছিল ৷ কিন্তু মেয়েকে তিনবারই খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম ৷ গতকাল রাতে আমাকে ফোন করেছিল৷ ফোনে হাসিনা জানিয়েছিল, ওর মনে হচ্ছে ওকে মেরে ফেলবে৷ আমি মেয়েকে শান্তিতে থাকতে বলেছিলাম ৷ কিন্তু রাতেই মেয়েকে খুন করা হল৷ আমাদের অনুমান, মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে৷"

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে৷ মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷

Intro:মালদা, ১৩ জানুয়ারিঃ পণের দাবিতে বিবিকে খুনের অভিযোগ উঠল শওহর সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে৷ সোমবার শওহর সহ শ্বশারবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত গৃহবধূর পরিবারের লোকজন৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর গ্রামে৷ মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠিয়েছে পুলিশ৷Body:মৃত বিবির নাম হাসিনা খাতুন (২২)৷ বাড়ি রতুয়া থানার মোমিনপাড়ায়৷ পুলিশি অভিযোগ মৃতার আব্বা তাজামূল সাই জানান, ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর হাসিনার সঙ্গে সামাজিক নিকাহ দেন সুলতাননগরের সেখ কলিমুদ্দিনের৷ নিকাহের সময় কলিমুদ্দিন ওরফে কালুকে নগত ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা সহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র দিয়েছিলেন তাঁরা৷ নিকাহের পর থেকেই আব্বার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য হাসিনাকে চাপ দিতে থাকত পরিবারের লোকজন৷ টাকা আনতে রাজি না হলে হাসিনার ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত কালুর পরিবারের লোকজন৷ গতকাল রাতে মেয়ের প্রতিবেশীরা ফোন মারফত জানায়, হাসিনা গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে৷ আজ সকালে হাসিনার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে মৃতদেহ খাটে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পান তাঁরা৷ মেয়ের গলাতে ফাঁস লাগানোর চিহ্নও নজরে আসে তাঁদের৷ পণের দাবিতে হাসিনাকে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান তাঁদের৷
হাসিনার আম্মা গোলেনূর বিবি জানান, “সাহাপুরে মেয়ের নিকাহ দিয়েছিলাম৷ মেয়ের পেটে বাচ্চা এসেছিল৷ কিন্তু মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়ের বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছিল৷ মেয়েকে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম৷ মেয়ে শওহরের কাছে ফিরে গেলে মেয়েকে মারধর করে কালু ও তার পরিবারের লোকজন৷ এনিয়ে সমাজের লোকজন বিচার বসিয়েছিল৷ এরপর জামাই দাদন খাটতে যাওয়ার জন্য মেয়েকে ১ লক্ষ টাকা আনতে বলে৷ সেই টাকাও দিয়েছিলাম৷ দাদন খেটে ফিরে এসে ফের ৬০ হাজার টাকা দাবি করে কালু৷ মেয়ে বাড়িতে টাকা নিতে এসেছিল৷ কিন্তু মেয়েকে তিনবারই খালি হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলাম৷ গতকাল রাতে মেয়ে আমাকে ফোন করেছিল৷ ফোনে মেয়ে জানিয়েছিল, ওর মনে হচ্ছে ওকে মেরে ফেলবে৷ আমি মেয়েকে শান্তিতে থাকতে বলেছিলাম৷ কিন্তু রাতেই মেয়েকে খুন করা হল৷ আমাদের অনুমান, মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে৷”
Conclusion:হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে৷ মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.