ETV Bharat / state

Mizoram Bridge collapse: ফেসবুকে স্বামীর মৃতদেহ, শোকে পাথর মালদার হাসিনা

গতকাল রাতে ফোনে শেষবার কথা হয়েছিল স্বমীর সঙ্গে ৷ তখনই কিনি স্ত্রী হাসিনাকে মজুরি পাওয়ার কথা জানিয়ে ছিলেন সইদূর ৷ আজ সকালে অ্যাকাউন্টের টাকা এসেছে কি দেখার আগেই জানতে পারলেন স্বামীর মৃত্যুর খবর ৷ নির্মীয়মান রেল ব্রিজ ভেঙে মৃতদের তালিকায় আছেন তাঁর স্বামী ৷ মালদার রতুয়ায় শুধুই কান্নার ধ্বনি ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 23, 2023, 11:04 PM IST

Etv Bharat
শোকে পাথর মালদার হাসিনা
স্বামীর মৃতর খবরে শোকে পাথর মালদার হাসিনা

মালদা, 23 অগস্ট: গতকাল রাতে শেষ ফোনটা এসেছিল ৷ ফোনে সইদুর, স্ত্রী হাসিনাকে জানিয়েছিলেন, মজুরির টাকা পেয়েছেন ৷ সংসার খরচের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন ৷ হাসিনা যেন অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে তাঁকে জানান ৷ হাসিনা ভেবেছিলেন, বৃহস্পতিবার ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখবেন ৷ বুধবার সংসারের কিছু কাজ রয়েছে ৷ কিন্তু আজকের সকালটা তাঁর ভাগ্যকেই বদলে দিয়েছে ৷ সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ তিনি জানতে পারেন, মিজোরামের সাইরাংয়ের কাছে কুরুং নদীতে ভেঙে পড়েছে নির্মীয়মান রেল ব্রিজ ৷ সেই ব্রিজের নির্মাণেই কাজ করছিলেন তাঁর স্বামী ৷ কিছুটা অবিশ্বাসের আশায় পাগলের মতো সইদুরের মোবাইলে ফোন করতে থাকেন হাসিনা ৷ সইদুর ফোন ধরেননি ৷ ফোন করেন স্বামীর সঙ্গে কাজে যাওয়া গ্রামের আরও অনেককে ৷ কিন্তু কেউ ফোন ধরে হাসিনার মুখের হাসি বজায় রাখতে পারেননি ৷ একসময় ফেসবুকে ভেসে ওঠে স্বামীর মৃতদেহ ৷ ছলছল চোখে সেই পোস্ট দেখলেন বছর বত্রিশের হাসিনা ৷

আজ কথা বলার অবস্থায় নেই হাসিনা ৷ ইটিভি ভারতকে কোনওরকমে বলেন, "ও ভিনরাজ্যেই কাজ করত ৷ এখানে তো কাজ নেই ৷ বাইরে গেলে দুটো বেশি পয়সা রোজগার হয় ৷ শুধু আমার স্বামীই নয়, এই গ্রামের সবাই বাইরে কাজ করতে যায় ৷ একমাস আটদিন আগে আরও অনেকের সঙ্গে মিজোরাম গিয়েছিল ৷ ওখানে নাকি রেল ব্রিজের বড় কাজ আছে ৷ অনেকদিন ধরে কাজ চলবে ৷ গতকাল রাতে ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে ৷ বলেছিল, পেমেন্ট পেয়েছে ৷ আমাকে অ্যাকাউন্ট চেক করে তবেই ফোন করতে বলেছিল ৷ আজ ঘরের অনেক কাজ থাকায় ভেবেছিলাম, আগামিকাল ব্যাংকে যাব ৷ কিন্তু সকালেই শুনলাম, ওরা যে ব্রিজ তৈরি করছিল, সেটা নাকি ভেঙে গিয়েছে ৷ একথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ওকে ফোন করি ৷ ফোন ধরল না ৷"....

আরও পড়ুন: এলাকায় কাজ না পেয়ে ঝুঁকির যাত্রা, অভিযোগ স্বজনহারাদের; মানতে নারাজ শাসকদল

আজ মিজোরামের দুর্ঘটনা এক লহমায় যেন মালদা জেলার আকাশে শোকের কালো চাদর বিছিয়ে দিয়েছে ৷ মালদার রতুয়ার কোকলামারি চৌদুয়ার গ্রামের ঘরে ঘরে কান্নার রোল ৷ আজ গ্রামের কারও বাড়িতে হাঁড়ি চড়েনি ৷ নিরন্ন থেকে গ্রামের যুবকদের শোকের বিদায় জানিয়েছেন সবাই ৷ ভিনরাজ্যে দুর্ঘটনায় এর আগে মোথাবাড়ি এলাকায় একসঙ্গে ফিরেছিল ন’জনের লাশ ৷ এবার কোকলামারি চৌদুয়ারে 14 জনের দেহ ফেরার প্রতীক্ষায় গোটা গ্রাম ৷ বারবার কাজের খোঁজে শ্রমিকদের ঘর ছেড়ে অন্য রাজ্যে যাওয়া রাজ্যের কমসংস্থানের কঙ্কালসার ছবি তুলে ধরেছে ৷

স্বামীর মৃতর খবরে শোকে পাথর মালদার হাসিনা

মালদা, 23 অগস্ট: গতকাল রাতে শেষ ফোনটা এসেছিল ৷ ফোনে সইদুর, স্ত্রী হাসিনাকে জানিয়েছিলেন, মজুরির টাকা পেয়েছেন ৷ সংসার খরচের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছেন ৷ হাসিনা যেন অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে তাঁকে জানান ৷ হাসিনা ভেবেছিলেন, বৃহস্পতিবার ব্যাংকে গিয়ে অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখবেন ৷ বুধবার সংসারের কিছু কাজ রয়েছে ৷ কিন্তু আজকের সকালটা তাঁর ভাগ্যকেই বদলে দিয়েছে ৷ সকাল সাড়ে 10টা নাগাদ তিনি জানতে পারেন, মিজোরামের সাইরাংয়ের কাছে কুরুং নদীতে ভেঙে পড়েছে নির্মীয়মান রেল ব্রিজ ৷ সেই ব্রিজের নির্মাণেই কাজ করছিলেন তাঁর স্বামী ৷ কিছুটা অবিশ্বাসের আশায় পাগলের মতো সইদুরের মোবাইলে ফোন করতে থাকেন হাসিনা ৷ সইদুর ফোন ধরেননি ৷ ফোন করেন স্বামীর সঙ্গে কাজে যাওয়া গ্রামের আরও অনেককে ৷ কিন্তু কেউ ফোন ধরে হাসিনার মুখের হাসি বজায় রাখতে পারেননি ৷ একসময় ফেসবুকে ভেসে ওঠে স্বামীর মৃতদেহ ৷ ছলছল চোখে সেই পোস্ট দেখলেন বছর বত্রিশের হাসিনা ৷

আজ কথা বলার অবস্থায় নেই হাসিনা ৷ ইটিভি ভারতকে কোনওরকমে বলেন, "ও ভিনরাজ্যেই কাজ করত ৷ এখানে তো কাজ নেই ৷ বাইরে গেলে দুটো বেশি পয়সা রোজগার হয় ৷ শুধু আমার স্বামীই নয়, এই গ্রামের সবাই বাইরে কাজ করতে যায় ৷ একমাস আটদিন আগে আরও অনেকের সঙ্গে মিজোরাম গিয়েছিল ৷ ওখানে নাকি রেল ব্রিজের বড় কাজ আছে ৷ অনেকদিন ধরে কাজ চলবে ৷ গতকাল রাতে ওর সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে ৷ বলেছিল, পেমেন্ট পেয়েছে ৷ আমাকে অ্যাকাউন্ট চেক করে তবেই ফোন করতে বলেছিল ৷ আজ ঘরের অনেক কাজ থাকায় ভেবেছিলাম, আগামিকাল ব্যাংকে যাব ৷ কিন্তু সকালেই শুনলাম, ওরা যে ব্রিজ তৈরি করছিল, সেটা নাকি ভেঙে গিয়েছে ৷ একথা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ওকে ফোন করি ৷ ফোন ধরল না ৷"....

আরও পড়ুন: এলাকায় কাজ না পেয়ে ঝুঁকির যাত্রা, অভিযোগ স্বজনহারাদের; মানতে নারাজ শাসকদল

আজ মিজোরামের দুর্ঘটনা এক লহমায় যেন মালদা জেলার আকাশে শোকের কালো চাদর বিছিয়ে দিয়েছে ৷ মালদার রতুয়ার কোকলামারি চৌদুয়ার গ্রামের ঘরে ঘরে কান্নার রোল ৷ আজ গ্রামের কারও বাড়িতে হাঁড়ি চড়েনি ৷ নিরন্ন থেকে গ্রামের যুবকদের শোকের বিদায় জানিয়েছেন সবাই ৷ ভিনরাজ্যে দুর্ঘটনায় এর আগে মোথাবাড়ি এলাকায় একসঙ্গে ফিরেছিল ন’জনের লাশ ৷ এবার কোকলামারি চৌদুয়ারে 14 জনের দেহ ফেরার প্রতীক্ষায় গোটা গ্রাম ৷ বারবার কাজের খোঁজে শ্রমিকদের ঘর ছেড়ে অন্য রাজ্যে যাওয়া রাজ্যের কমসংস্থানের কঙ্কালসার ছবি তুলে ধরেছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.