ETV Bharat / state

কাশ্মীরের আপেল ঢুকছে না রাজ্যে, কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিবের দ্বারস্থ রপ্তানিকারকরা

author img

By

Published : Nov 27, 2019, 11:06 PM IST

Updated : Nov 27, 2019, 11:38 PM IST

ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, “সাধারণত এই রাজ্যে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে আপেল আসে৷ সেই আপেল যেমন রাজ্যের বাজারে বিক্রি হয়, তেমনই প্রতিবেশী দেশগুলিতেও রপ্তানি করা হয়৷ এবার হিমাচল প্রদেশে আপেলের উৎপাদন ভালো হয়নি৷ সেখান থেকে খুব বেশি আপেল পশ্চিমবঙ্গে আসেনি৷ এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে লরিচালকরা সেখানে যেতে চাইছেন না৷ "

Kashmir Apple in West Bengal
কাশ্মীরের আপেল পশ্চিমবঙ্গে না ঢোকায় কেন্দ্রীয় বানিজ্য সচিবের দারস্থ রপ্তানিকারকরা

মালদা, ২৭ নভেম্বর : শীত পড়েছে অল্পবিস্তর৷ বাঙালির ফল রসনাও বেড়ে গিয়েছে ৷ দার্জিলিংয়ের কমলালেবু, কাশ্মীরের আপেলের প্রতি বরাবরই একটু বেশি প্রেম শীতকাতুরে বাঙালির৷ কিন্তু এবার এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরের আপেলের দেখা নেই মালদার বাজারে৷ কারণ, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পরবর্তী সময়ে সেখানে শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ হিমাচল প্রদেশেও এবার সেভাবে আপেল উৎপাদন হয়নি ৷ ফলে বাজারে এখন অনেকটাই বেশি দামে বিকোচ্ছে হিমাচলের আপেল৷ গোটা রাজ্যেই এই ছবি৷ ফলে আপেল রপ্তানিতেও ধস নামতে পারে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারকরা ৷ রাজ্যে কাশ্মীরের আপেলের জোগান বাড়াতে অবশেষে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি৷

ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, “সাধারণত এই রাজ্যে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে আপেল আসে৷ সেই আপেল যেমন রাজ্যের বাজারে বিক্রি হয়, তেমনই প্রতিবেশী দেশগুলিতেও রপ্তানি করা হয়৷ এবার হিমাচল প্রদেশে আপেলের উৎপাদন ভালো হয়নি৷ সেখান থেকে খুব বেশি আপেল পশ্চিমবঙ্গে আসেনি৷ এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে লরিচালকরা সেখানে যেতে চাইছেন না৷ শ্রমিকরাও সেখানে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না৷ ফলে এই রাজ্যে সেখান থেকে আপেল আসছে না বললেই চলে ৷ আপেলের জোগান না থাকায় রাজ্যের প্রায় ১০০টি মাল্টিপারপাজ় কোল্ড স্টোরেজ ফাঁকা পড়ে রয়েছে ৷ এখানে মার্চ মাস পর্যন্ত আপেল সংরক্ষণ করে রাখা হয় ৷ মার্চের পর থেকে সেই আপেল রপ্তানি করা হয় ৷ ফলে এবার মরশুমের পর আমরা আর আপেল রপ্তানি করতে পারব না৷ তাছাড়া জোগান না থাকায় আপেলের দামও ক্রমশ বাড়ছে৷ অন্য বছর এই সময় আপেলের দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কিলো থাকে ৷ কিন্তু এবছর আপেল বিক্রি হচ্ছে কিলোপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে ৷ ফলে এই পরিস্থিতি বহাল থাকলে রাজ্যে আপেলের ঘাটতি দেখা দেবে ৷ এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের সচিবের কাছে আবেদন জানিয়েছি ৷ আশা করি কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে৷”

কেন্দ্রীয় সরকার কবে, কী ব্যবস্থা নেবে জানা নেই৷ তবে এই শীতে আপাতত গায়ে চাদর জড়িয়ে কাশ্মীরের আপেলে কামড় দেওয়ার সুখ থেকে বিরতই থাকতে হবে আমবাঙালিকে৷

মালদা, ২৭ নভেম্বর : শীত পড়েছে অল্পবিস্তর৷ বাঙালির ফল রসনাও বেড়ে গিয়েছে ৷ দার্জিলিংয়ের কমলালেবু, কাশ্মীরের আপেলের প্রতি বরাবরই একটু বেশি প্রেম শীতকাতুরে বাঙালির৷ কিন্তু এবার এখনও পর্যন্ত কাশ্মীরের আপেলের দেখা নেই মালদার বাজারে৷ কারণ, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পরবর্তী সময়ে সেখানে শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ হিমাচল প্রদেশেও এবার সেভাবে আপেল উৎপাদন হয়নি ৷ ফলে বাজারে এখন অনেকটাই বেশি দামে বিকোচ্ছে হিমাচলের আপেল৷ গোটা রাজ্যেই এই ছবি৷ ফলে আপেল রপ্তানিতেও ধস নামতে পারে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারকরা ৷ রাজ্যে কাশ্মীরের আপেলের জোগান বাড়াতে অবশেষে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি৷

ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, “সাধারণত এই রাজ্যে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে আপেল আসে৷ সেই আপেল যেমন রাজ্যের বাজারে বিক্রি হয়, তেমনই প্রতিবেশী দেশগুলিতেও রপ্তানি করা হয়৷ এবার হিমাচল প্রদেশে আপেলের উৎপাদন ভালো হয়নি৷ সেখান থেকে খুব বেশি আপেল পশ্চিমবঙ্গে আসেনি৷ এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে লরিচালকরা সেখানে যেতে চাইছেন না৷ শ্রমিকরাও সেখানে ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না৷ ফলে এই রাজ্যে সেখান থেকে আপেল আসছে না বললেই চলে ৷ আপেলের জোগান না থাকায় রাজ্যের প্রায় ১০০টি মাল্টিপারপাজ় কোল্ড স্টোরেজ ফাঁকা পড়ে রয়েছে ৷ এখানে মার্চ মাস পর্যন্ত আপেল সংরক্ষণ করে রাখা হয় ৷ মার্চের পর থেকে সেই আপেল রপ্তানি করা হয় ৷ ফলে এবার মরশুমের পর আমরা আর আপেল রপ্তানি করতে পারব না৷ তাছাড়া জোগান না থাকায় আপেলের দামও ক্রমশ বাড়ছে৷ অন্য বছর এই সময় আপেলের দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা প্রতি কিলো থাকে ৷ কিন্তু এবছর আপেল বিক্রি হচ্ছে কিলোপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে ৷ ফলে এই পরিস্থিতি বহাল থাকলে রাজ্যে আপেলের ঘাটতি দেখা দেবে ৷ এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের সচিবের কাছে আবেদন জানিয়েছি ৷ আশা করি কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে৷”

কেন্দ্রীয় সরকার কবে, কী ব্যবস্থা নেবে জানা নেই৷ তবে এই শীতে আপাতত গায়ে চাদর জড়িয়ে কাশ্মীরের আপেলে কামড় দেওয়ার সুখ থেকে বিরতই থাকতে হবে আমবাঙালিকে৷

Intro:মালদা, ২৭ নভেম্বর : শীত পড়েছে অল্পবিস্তর৷ বাঙালির ফল রসনাও বেড়ে গেছে৷ দার্জিলিং-এর কমলালেবু, কাশ্মীরের আপেলের প্রতি বরাবরই একটু বেশি প্রেম শীতকাতুরে বাঙালির৷ কিন্তু এবার এখনও পর্যন্ত কাশ্মিরি আপেলের দেখা নেই মালদার বাজারে৷ কারণ, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের পরবর্তী সময়ে সেখানে শ্রমিক পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ হিমাচল প্রদেশেও এবার সেভাবে আপেল উৎপাদন হয়নি৷ ফলে বাজারে এখন অনেকটাই বেশি দামে বিকোচ্ছে হিমাচলি আপেল৷ গোটা রাজ্যেই এই ছবি৷ ফলে আপেল রপ্তানিতেও বড়োসড়ো ধস নামতে পারে বলে মনে করছে রপ্তানিকারকরা৷ রাজ্যে কাশ্মিরি আপেলের জোগান বাড়াতে অবশেষে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি৷Body:         ওয়েস্ট বেঙ্গল এক্সপোর্টার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা বলেন, “সাধারণত এই রাজ্যে হিমাচল প্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীর থেকে আপেল আসে৷ সেই আপেল যেমন রাজ্যের বাজারে বিক্রি হয়, তেমনই প্রতিবেশী দেশগুলিতে রপ্তানি করা হয়৷ এবার হিমাচল প্রদেশে আপেলের উৎপাদন ভালো হয়নি৷ সেখান থেকে খুব বেশি আপেল পশ্চিমবঙ্গে আসেনি৷ এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতিতে ভীত লরিচালকরা সেখানে যেতে চাইছে না৷ শ্রমিকরাও সেখানে ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না৷ ফলে এই রাজ্যে সেখান থেকে আপেল আসছে না বললেই চলে৷ আপেলের যোগান না থাকায় রাজ্যের প্রায় ১০০টি মালটিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ ফাঁকা পড়ে রয়েছে৷ এখানে মার্চ মাস পর্যন্ত আপেল সংরক্ষণ করে রাখা হয়৷ মার্চের পর থেকে সেই আপেল রপ্তানি করা হয়৷ ফলে এবার মরশুমের পর আমরা আর আপেল রপ্তানি করতে পারব না৷ তাছাড়া জোগান না থাকায় আপেলের দামও ক্রমশ বাড়ছে৷ অন্যান্য বছর এই সময় আপেলের দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা কিলো থাকে৷ কিন্তু এবছর আপেল বিক্রি হচ্ছে কিলোপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে৷ ফলে এই পরিস্থিতি বহাল থাকলে রাজ্যে আপেলের ঘাটতি দেখা দেবে৷ এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের সচিবের কাছে আবেদন জানিয়েছি৷ আশা করি কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে৷”Conclusion:         কেন্দ্রীয় সরকার কবে, কী ব্যবস্থা নেবে জানা নেই৷ তবে এই শীতে আপাতত গায়ে চাদর জড়িয়ে কাশ্মিরি আপেলে কামড় দেওয়ার সুখ থেকে বিরতই থাকতে হবে আমবাঙালিকে৷
Last Updated : Nov 27, 2019, 11:38 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.