মালদা, 1 মার্চ : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধর্ষকের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়াল এক তৃণমূল কর্মী । বিজেপির পক্ষ থেকে ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে । শুক্রবার সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট করে ফেঁসে যান মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা রেদাউল ইসলাম । পরে অবশ্য সেই পোস্ট মুছে ক্ষমাও চেয়েছেন । ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে দলগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে । ঘটনায় মালদায় শোরগোল পড়ে গেছে ।
হরিশ্চন্দ্রপুরের রাড়িয়ালে রেদাউল ইসলাম একজন তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, শুক্রবার রেদাউল নিজের সোশাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেন । সেই পোস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রেদাউল । পোস্টের ছবিতে উপরে রবীন্দ্রনাথের ছবির পাশে নরেন্দ্র মোদির ছবি, যার উপরে লেখা ছিল, "চেষ্টা করেছিল কবিগুরুকে নকল করতে"। নিচের ছবিটিতে দেখা যায় আশারাম বাপুর পাশে মোদির ছবি, যার উপরে লেখা ছিল, "হয়ে গেল ধর্ষণকারী বাবা আসারামের মতো" । এই পোস্টে প্রধানমন্ত্রীকে ধর্ষক আশারামের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে ।
পোস্টটি নজরে আসতেই বিজেপির তরফে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । বিজেপির জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর রাম এবিষয়ে বলেন, "রেদাউল ইসলাম সোশাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করেছেন । করোনার সময়ে সতর্ক থাকতে প্রধানমন্ত্রীর দাড়ি বড় হয়েছে । আর তা নিয়ে ভোটের মুখে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এটা করা হয়েছে । এই ঘটনাটি পুরোপুরি তৃণমূলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পরিকল্পিত ।"
আরও পড়ুন : নেতাজি না প্রসেনজিৎ! রাষ্ট্রপতি ভবনের পোট্রেটে বিতর্ক
বিজেপির তরফে দাবি, এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর নামে কুরুচিকর পোস্ট করায় বাপি পালকে গ্রেফতার করা হয়েছিল । থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে । এর পর পুলিশ কী পদক্ষেপ করবে তা দেখার পালা । আমরা এই একই রকম শাস্তির দাবি জানাচ্ছি । অভিযুক্ত রেদাউল বলেন, "মেয়ের হাত দিয়ে ভুল করে পোস্ট হয়ে গিয়েছে ।" পোস্ট মুছে ক্ষমাও চেয়ে নেন রেদাউল ।
অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি মানিক দাস বলেন, "বিষয়টি আমার জানা ছিল না । যদি এই ঘটনা ঘটে থাকে, তবে তা ঠিক নয় । প্রধানমন্ত্রী হোন কিংবা মুখ্যমন্ত্রী, কাউকেই অন্য কারও সাঙ্গে তুলনা করা উচিত নয় । এক্ষেত্রে যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়, তবে দলগতভাবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।" হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি । পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে । সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে ।"