মালদা, 11 মার্চ : ভোটের মুখে ফের চলল গুলি ৷ এবার গাজোলে ৷ গতরাতে বাড়ি ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হন এক তৃণমূল কর্মী ৷ এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতীরা বিজেপি আশ্রিত বলে অভিযোগ আক্রান্তের ৷ আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর নাম বিফল মণ্ডল ৷ বয়স 21 বছর ৷ বাড়ি গাজোলের রানিগঞ্জ 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিলাইকান্দর গ্রামে ৷ এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত তিনি ৷ শাসকদলের স্থানীয় নেতা দিলীপ সাহার ছত্রছায়ায় তিনি রাজনীতি করেন ৷ গাজোলের আলমপুর হাটে দিলীপবাবুর হয়ে তিনি হাটুরেদের কাছ থেকে তোলা সংগ্রহ করেন ৷ হাট থেকে গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার পথে এলাকার পটেপাড়া এলাকায় আক্রান্ত হন তিনি ৷ তাঁকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় বলে জানিয়েছেন বিফল ৷ তার মধ্যে একটি গুলি তাঁর ডান পায়ে লাগে ৷ রাতেই তাঁকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়৷
আরও পড়ুন: রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট মোথাবাড়ির বাসিন্দাদের
বিফল জানিয়েছেন, " গতকাল আলমপুর হাটে তোলা আদায় করে আমি বাইক চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম৷ পটেপাড়া ও বিলাইকান্দর গ্রামের মাঝামাঝি জায়গায় পাঁচ দুষ্কৃতী আমার পথ আটকায়৷ তারা সবাই মুখে মাস্ক পরে থাকায় আমি তাদের চিনতে পারিনি৷ তারা আমাকে জিজ্ঞেস করে, আমি কেন অনিল সাহার বিরুদ্ধে যাচ্ছি৷ অনিল সাহা ও নুর সিং এলাকার বিজেপি নেতা৷ তাদের সঙ্গে দিলীপবাবুর পুরোনো বিবাদ ছিল৷ রাজনৈতিক কারণেই এই বিবাদ৷ এনিয়ে ওই পাঁচ দুষ্কৃতীর সঙ্গে আমার তর্কাতর্কি হয়৷ পরিস্থিতি বুঝে আমি বাইক নিয়ে পালানোর চেষ্টা করি৷ তখনই তারা আমাকে লক্ষ্য করে ৫-৬ রাউন্ড গুলি চালায়৷ "
আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, গুলি আহত পঞ্চায়েত প্রধানের ভাই
গুলি এসে বিফলের ডান পায়ে লাগায় তিনি বাইক থেকে পড়ে যান । এদিকে গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় কিছু ছেলে সেখানে ছুটে আসে । তারাই বিফলকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাতিমারি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সেখান থেকে তাঁকে মালদা মেডিকেলে রেফার করে দেওয়া হয়৷ দুষ্কৃতীরা সবাই বিজেপির বলে দাবি বিফলের । এই ঘটনায় এখনও থানায় অভিযোগ দায়ের করতে না পারলেও, আজ অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন বিফল ।
গাজোল থানার পুলিশ জানিয়েছে, এনিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ অভিযোগ দায়ের হলে সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু হবে৷ এদিকে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত জেলা তৃণমূল কিংবা বিজেপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷