মালদা, 20 মে : ছোটদের নির্যাতন শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রে নয়, ছেলেদের সঙ্গেও হয় ৷ আর শতাংশের হিসাবে সেই সংখ্যাটা অনেক বেশি ৷ মালদায় শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি কর্মশালায় অংশ নিয়ে এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী ৷ কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবা-মায়েরা অভিযোগ জানান না ৷ তাই এ দিন অনন্যা চক্রবর্তী সকল বাবা-মায়ের উদ্দেশ্যে জানান, সমাজের ভয় না পেয়ে এগিয়ে এসে এইসব অপরাধের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাক (WBCPCR Asks Parents to Come Forward to Stop Child Abuse) ৷ এই ছবিটার বদল প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি ৷
এদিন মালদার গাজোলে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচিতে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী ৷ সেখানে আদিবাসী পড়ুয়াদের সঙ্গে মাদলের তালে পা মেলান তিনি ৷ তাঁরা স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে আয়োজিত একটি প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচও উপভোগ করেন ৷
করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে স্কুলছুট আটকানোর পাশাপাশি বাল্যবিবাহ, শিশু নির্যাতন এবং শিশুশ্রম বন্ধ করতে আজ হাতিমারি হাইস্কুলে একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল ৷ সঙ্গে ছিলেন কমিশনের সদস্য যশবন্তী শ্রীমানি এবং স্পেশাল কনসালটেন্ট সুদেষ্ণা রায় ৷ কর্মশালায় অংশ নেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) মৃদুল হালদার, বিডিও উষ্ণতা মোক্তান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারপার্সন বাসন্তী বর্মন প্রমুখ ৷ কর্মশালায় ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অনেক অভিভাবকও উপস্থিত ছিলেন ৷
আরও পড়ুন : Panskura Child Torture : একরত্তি শিশুকে তুলে আছাড়, গ্রেফতার পরিচারিকা
অনন্যাদেবী সংবাদমাধ্যমকে জানান, “কোভিড পরবর্তীকালে বাল্যবিবাহ, স্কুলছুট প্রভৃতি বিষয়গুলি আটকাতে আমরা রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই কর্মশালা করছি ৷ বাচ্চারা যাতে ফের স্কুলে ফিরে আসে ৷ তাদের যেন ছোটতেই বিয়ে না দিয়ে দেওয়া হয় ও কোনওভাবে নির্যাতনের শিকার হলে অভিভাবকরা যেন নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ জানান ৷ এ সব নিয়ে আমরা এমন কর্মশালা চালিয়ে যাব ৷ আর আগেও পকসো আইনের ঘটনা এই রাজ্যে ঘটত ৷ আমাদের ছেলেবেলাতেও অনেক মেয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৷ কিন্তু, সামাজিক কারণে অভিভাবকরা কোথাও অভিযোগ জানাতেন না ৷ কিন্তু, এখন অভিভাবকরা অভিযোগ জানাচ্ছেন ৷ দোষীদের শাস্তি হচ্ছে ৷ এটা ভাল বিষয় ৷ তবে, একটা কথা মাথায় রাখতে হবে ৷ শুধু মেয়েরা নয়, ছেলেরাও নির্যাতনের শিকার হয় ৷ 52 শতাংশ অপরাধ ছেলেদের সঙ্গেই হয়ে থাকে ৷ তবে, এক্ষেত্রেও অভিভাবকরা কোথাও অভিযোগ জানান না ৷ এই ছবিটার বদল আনতে হবে ৷’’