ETV Bharat / state

লটারিতে কোটিপতি, আব্বার স্বপ্ন পূরণ করতে চান ফিরোজ

লটারিতে 1 কোটি টাকা জিতলেন পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ আলম ৷ প্রয়াত আব্বা ও দাদার স্বপ্ন পূরণ করাই মূল লক্ষ্য ফিরোজের ৷ লটারিতে টাকা জেতায় খুশির জোয়ার তাঁর পরিবারে৷ ছেলে লটারিতে টাকা জেতায় খুশি আম্মা সাদিকুন বেওয়ার৷

wb_civic_got_one_crore
লটারিজয়ী ফিরোজ আলম
author img

By

Published : Jan 20, 2020, 4:57 PM IST

Updated : Jan 20, 2020, 8:03 PM IST

মালদা, 20 জানুয়ারি : আব্বার স্বপ্ন ছিল পাকা বাড়ি তৈরি করার ৷ তবে, সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ প্রয়াত আব্বার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছিলেন বড় দাদা ৷ বছর তিনেক কাটতে না কাটতেই আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর দাদারও ৷ এরপরই আম্মা সাদিকুন বেওয়া সহ পরিবারের 6 জনের দায়িত্ব এসে পড়ে বছর বত্রিশের ফিরোজের কাঁধে ৷ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ আলম ৷ আম্মি সহ 6 জনের দায়িত্ব সামলে কীভাবে আব্বার স্বপ্ন পূরণ করবেন, এই নিয়েই কপালে চিন্তায় ভাঁজ পড়ে তাঁর৷


রোজনামাচার এই জীবনে আচমকাই তাঁর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়৷ লটারিতে 1কোটি টাকা জেতেন তিনি ৷


প্রতিদিনের মতোই গতকালও থানায় যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন ফিরোজ ৷ থানায় যাওয়ার পথে বন্ধুদের কথা মতো হরিশ্চন্দ্রপুরের শহিদ মোড়ের একটি লটারির দোকান থেকে টিকিট কেনেন ৷ দুপুরে এক বন্ধুর ফোনে জানতে পারে লটারিতে টাকা জিতেছেন ৷ কিন্তু কত টাকা জেতেন, সে বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি তাঁর বন্ধু৷ এরপরেই ফিরোজ থানায় ফিরে যান ৷ তবে, অপ্রত্যাশিতভাবে টাকা পাওয়ার পর ফিরোজ জানান, লটারি কাটার কোনও নেশাই নাকি ছিল না তাঁর৷ বন্ধুদের কথা মতোই তিনি লটারির টিকিট কাটেন৷ তবে, আচমকা এই পুরস্কার পেয়ে বেজায় খুশি ফিরোজ৷ ভাঙা টালির বদলে এবারে পাকা বাড়ি তৈরির স্বপ্ন দেখছেন তিনি৷ পাশাপাশি বাড়ির মেয়েদের পড়াশোনা শিখিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন ৷

লটারিজয়ী ফিরোজ আলম

ফিরোজ লটারিতে টাকা জেতায় খুশির জোয়ার তাঁর পরিবারে ৷ ছেলে লটারিতে টাকা জেতায় খুশি আম্মা সাদিকুন বেওয়ার৷ আজ তিনি বলেন, শওহর মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের বড় করেছেন ৷ তাই ছেলে লটারিতে টাকা পাওয়ার পর এবারে সংসারে একটু সচ্ছল অবস্থা ফিরবে বলেও আশা করেন তিনি৷

মালদা, 20 জানুয়ারি : আব্বার স্বপ্ন ছিল পাকা বাড়ি তৈরি করার ৷ তবে, সেই স্বপ্ন পূরণের আগেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ প্রয়াত আব্বার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছিলেন বড় দাদা ৷ বছর তিনেক কাটতে না কাটতেই আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর দাদারও ৷ এরপরই আম্মা সাদিকুন বেওয়া সহ পরিবারের 6 জনের দায়িত্ব এসে পড়ে বছর বত্রিশের ফিরোজের কাঁধে ৷ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার ফিরোজ আলম ৷ আম্মি সহ 6 জনের দায়িত্ব সামলে কীভাবে আব্বার স্বপ্ন পূরণ করবেন, এই নিয়েই কপালে চিন্তায় ভাঁজ পড়ে তাঁর৷


রোজনামাচার এই জীবনে আচমকাই তাঁর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়৷ লটারিতে 1কোটি টাকা জেতেন তিনি ৷


প্রতিদিনের মতোই গতকালও থানায় যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন ফিরোজ ৷ থানায় যাওয়ার পথে বন্ধুদের কথা মতো হরিশ্চন্দ্রপুরের শহিদ মোড়ের একটি লটারির দোকান থেকে টিকিট কেনেন ৷ দুপুরে এক বন্ধুর ফোনে জানতে পারে লটারিতে টাকা জিতেছেন ৷ কিন্তু কত টাকা জেতেন, সে বিষয়ে কোনও তথ্য দিতে পারেননি তাঁর বন্ধু৷ এরপরেই ফিরোজ থানায় ফিরে যান ৷ তবে, অপ্রত্যাশিতভাবে টাকা পাওয়ার পর ফিরোজ জানান, লটারি কাটার কোনও নেশাই নাকি ছিল না তাঁর৷ বন্ধুদের কথা মতোই তিনি লটারির টিকিট কাটেন৷ তবে, আচমকা এই পুরস্কার পেয়ে বেজায় খুশি ফিরোজ৷ ভাঙা টালির বদলে এবারে পাকা বাড়ি তৈরির স্বপ্ন দেখছেন তিনি৷ পাশাপাশি বাড়ির মেয়েদের পড়াশোনা শিখিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন ৷

লটারিজয়ী ফিরোজ আলম

ফিরোজ লটারিতে টাকা জেতায় খুশির জোয়ার তাঁর পরিবারে ৷ ছেলে লটারিতে টাকা জেতায় খুশি আম্মা সাদিকুন বেওয়ার৷ আজ তিনি বলেন, শওহর মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের বড় করেছেন ৷ তাই ছেলে লটারিতে টাকা পাওয়ার পর এবারে সংসারে একটু সচ্ছল অবস্থা ফিরবে বলেও আশা করেন তিনি৷

Intro:মালদা, ২০ জানুয়ারি : আব্বার স্বপ্ন ছিল তিনি পাকা বাড়ি তৈরি করবেন৷ তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি৷ প্রয়াত আব্বার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছিলেন বড়ো দাদা৷ কিন্তু তিনিও মারা যান৷ রেখে যান এক মেয়েকে৷ মেয়েকে বড়ো করার, প্রতিষ্ঠিত করার ইচ্ছে ছিল দাদার৷ সেই দায়িত্ব এখন বর্তেছে পরিবারের ছোটো ছেলের কাঁধে৷ কিন্তু সামান্য সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করে দু’জনের স্বপ্ন কীভাবে পূরণ করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় ছিলেন ফিরোজ৷ এরই মধ্যে আচমকা লটারিতে এক কোটি টাকা পেয়েছেন তিনি৷ সেই টাকায় এখন প্রয়াত আব্বা আর দাদার স্বপ্ন পূরণ করতে চান ফিরোজ৷ তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশও৷Body:         পুরো নাম ফিরোজ আলম৷ বয়স ৩২৷ বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর গ্রামে৷ আব্বা মুসলিমউদ্দিন শেখ ২০১২ সালে হঠাৎ তড়িদাহত হয়ে মারা যান৷ ২০১৫ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর দাদারও৷ ফলে পরিবারের সমস্ত ভার এসে পড়ে ফিরোজের কাঁধে৷ বাড়িতে রয়েছেন আম্মা সাদিকুন বেওয়া সহ ৬ জন৷ পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ফিরোজ৷ রাজ্যের ক্ষমতা বদলের পর তিনি সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পান৷ প্রথম থেকেই তিনি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় কর্মরত৷
         গতকাল বাড়ি থেকে থানায় যাওয়ার পথে হরিশ্চন্দ্রপুর শহিদ মোড়ে একটি লটারির দোকান থেকে দেড়শো টাকা দিয়ে কয়েকটি টিকিট কেনেন ফিরোজ৷ সেখান থেকে তিনি থানায় চলে যান৷ থানা থেকে তাঁকে তুলসিহাটা হাটে ডিউটিতে পাঠানো হয়৷ দুপুরে এক বন্ধু ফোন করে ফিরোজকে খবর দেন, তাঁর টিকিটে পুরস্কার লেগেছে৷ তবে কত টাকা লেগেছে, তা জানাতে পারেননি ওই বন্ধু৷ ডিউটি সেরে হরিশ্চন্দ্রপুর ফিরে ফিরোজ টিকিটের নম্বর মেলাতে যান৷ তখনই দেখেন, এক-দুই টাকা নয়, তাঁর টিকিটে লেগেছে এক কোটি টাকার পুরস্কার৷ সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফের থানায় চলে যান৷
         ফিরোজ বলেন, “লটারির টিকিট কাটার নেশা আমার নেই৷ সকালে যখন গ্রাম থেকে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ডিউটিতে যোগ দিতে আসছিলাম, তখন বন্ধুরাই টিকিট কাটার কথা বলে৷ শহিদ মোড়ের একটি দোকানে টিকিটের নম্বর দেখে পছন্দ হয়৷ কয়েকটি টিকিট কাটি৷ আমি টিকিটের রেজাল্ট মেলাতেও জানি না৷ তুলসিহাটায় যখন ডিউটি করছিলাম, তখন এক বন্ধু ফোন করে জানায়, মনে হয় তোর টিকিটে টাকা লেগেছে৷ ডিউটি শেষ করে হরিশ্চন্দ্রপুর ফিরে জানতে পারি, আমার টিকিটে এক কোটি টাকা লেগেছে৷ আমি গরিব ঘরের ছেলে৷ ভাঙা টালির বাড়িতে বাস করি৷ বাবা-দাদা নেই৷ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষণ সদস্য আমি৷ লটারিতে পুরস্কার পেয়ে আমি খুব উৎসাহিত৷ এখন আমি টিকিট নিয়ে থানায় চলে এসেছি৷ ফলে ভয় আর কিছু নেই৷ বাবার স্বপ্ন ছিল বাড়ি তৈরি করবে৷ পারেনি৷ এই টাকা দিয়ে সেই কাজ করব৷ দাদা আর আমার মেয়ে রয়েছে৷ তাদের পড়াশোনা শিখিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে৷ বিয়ে দিতে হবে৷ এই টাকা পাওয়ায় আমার সেই কাজগুলি করার সুবিধা হবে৷”Conclusion:         ছেলে লটারিতে এক কোটি টাকা পাওয়ায় খুশীর বাঁধ ভেঙেছে সাদিকুন বেওয়ার৷ তিনি জানিয়েছেন, শওহর মারা যাওয়ার পর অনেক কষ্ট করে ছেলেমেয়েদের বড়ো করেছেন৷ বড়ো ছেলের মৃত্যুর পর সংসারের গোড়াটাই যেন আলগা হয়ে গিয়েছিল৷ অনেক কষ্ট করে ফিরোজ সংসার চালাত৷ লটারিতে এত টাকা পাওয়ায় ছোটো ছেলে এবার আরও ভালো করে সংসার চালাতে পারবে বলে তাঁর আশা৷ একইসঙ্গে এবার তাঁর শওহর ও বড়ো ছেলের স্বপ্নও পূরণ হবে বলে মনে করেন তিনি৷
Last Updated : Jan 20, 2020, 8:03 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.