ETV Bharat / state

Ganges Erosion : জলস্তর বাড়ছে, মালদার গঙ্গায় লাল সর্তকতা জারি

পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টিতে জলস্তর বাড়ছে গঙ্গা, মহানন্দা, ফুলহারের ৷ তলিয়ে গিয়েছে 30টি বাড়ি ৷ জলস্তর বাড়লে ভাঙন কমবে ৷ কিন্তু উল্টোটা হলে আবার ভাঙন বাড়বে ৷ আতঙ্কে দিন কাটছে গ্রামবাসীদের ৷

ভাঙছে নদীর পাড়
ভাঙছে নদীর পাড়
author img

By

Published : Aug 7, 2021, 4:42 PM IST

মালদা, 7 অগস্ট : উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ভারী বর্ষায় জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গার । ইতিমধ্যে মালদায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে । জলস্তর বাড়ছে ফুলহার ও মহানন্দারও । পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আজ নদীপথে গঙ্গা পরিদর্শনে গিয়েছেন জেলাশাসক, সঙ্গে রয়েছেন সেচকর্তারাও ।

নদীতে ভাঙন অব্যাহত । গতকাল বিকেলেও বৈষ্ণবনগরের মোল্লাটোলা ও চিনাবাজার গ্রামের 30টি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে । তবে নদীর জলস্তর বাড়লে ভাঙন কমবে বলেই মনে করছেন গঙ্গাপাড়ের মানুষজন ৷ সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুর 12 টায় গঙ্গার জলস্তর ছিল 25.01 মিটার । বিপদসীমা 24.69 মিটার থেকে 32 সেন্টিমিটার উপরে ছিল জলস্তর । যে গতিতে জলস্তর বাড়ছে, তাতে দু'একদিনের মধ্যে জলস্তর চরম বিপদসীমা 25.03 মিটার পেরিয়ে যেতে পারে । ইতিমধ্যে নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর । জল ঢুকতে শুরু করেছে কয়েকটি ব্লকের অসংরক্ষিত এলাকায়, চরগুলিতেও ৷

তবে শুধু গঙ্গা নয়, জলস্তর বাড়ছে ফুলহার ও মহানন্দারও । এই দু'টি নদীর জলস্তর এখনও বিপদসীমার নিচে থাকলেও দ্রুতগতিতে জল বাড়ছে । আজ দুপুর 12 টায় ফুলহারের জলস্তর ছিল 26.58 মিটার, বিপদসীমা 27.43 মিটার । মহানন্দার জলস্তর আজ রয়েছে 18.91 মিটার, বিপদসীমা 21.00 মিটার থেকে এখন 01.09 মিটার নিচ দিয়ে বইছে নদী ।

আরও পড়ুন : Tingharia river erosion : কালিন্দ্রীর ভাঙনে বিপন্ন গ্রাম, আতঙ্কে তিনঘরিয়াবাসী

চলতি মরশুমে ওই এলাকার লালুটোলা গ্রামের বেশ কিছু বাড়িও ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে । এরকম চলতে থাকলে কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের বীরনগর 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানচিত্রটাই পালটে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা । যদিও নদীপাড়ের মানুষজনের বক্তব্য, গঙ্গার জলস্তর বাড়লে ভাঙনের প্রকোপ কমবে । তবে জল নামার সময় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাবে ।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ মানিকচক ঘাট থেকে ধুলিয়ান সংলগ্ন পারলালপুর ঘাট পর্যন্ত নৌকাযোগে গঙ্গা পরিদর্শন করছেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, সেচ দফতরের কর্তারা । জেলাশাসক জানিয়েছেন, "কোন জায়গায় ভাঙনের কী অবস্থা, তা খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন । সেচ দফতর ভাঙন রোধের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । তবে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় কাজের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ।" এদিকে সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত বলেন, "উত্তরপ্রদেশ, বিহার-সহ গঙ্গার আপার ক্যাচমেন্টে ভাল বৃষ্টি হচ্ছে । সেই জল নিচে নেমে আসায় গঙ্গার জলস্তর বাড়ছে । আগামী কয়েকদিন জলস্তর আরও বাড়বে বলেই ধারণা । ইতিমধ্যে নদী তার বিপদসীমা অতিক্রম করেছে । যে গতিতে জল বাড়ছে, তাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গঙ্গা চরম বিপদসীমায় পৌঁছে যেতে পারে । আমরা পরিস্থিতির উপর লক্ষ্য রাখছি । দফতরের কর্মীরাও সতর্ক রয়েছেন । জেলার ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলিতে ভাঙন রোধের কাজ চলছে ।"

মালদা, 7 অগস্ট : উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের ভারী বর্ষায় জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গার । ইতিমধ্যে মালদায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে । জলস্তর বাড়ছে ফুলহার ও মহানন্দারও । পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আজ নদীপথে গঙ্গা পরিদর্শনে গিয়েছেন জেলাশাসক, সঙ্গে রয়েছেন সেচকর্তারাও ।

নদীতে ভাঙন অব্যাহত । গতকাল বিকেলেও বৈষ্ণবনগরের মোল্লাটোলা ও চিনাবাজার গ্রামের 30টি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে । তবে নদীর জলস্তর বাড়লে ভাঙন কমবে বলেই মনে করছেন গঙ্গাপাড়ের মানুষজন ৷ সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ দুপুর 12 টায় গঙ্গার জলস্তর ছিল 25.01 মিটার । বিপদসীমা 24.69 মিটার থেকে 32 সেন্টিমিটার উপরে ছিল জলস্তর । যে গতিতে জলস্তর বাড়ছে, তাতে দু'একদিনের মধ্যে জলস্তর চরম বিপদসীমা 25.03 মিটার পেরিয়ে যেতে পারে । ইতিমধ্যে নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে সেচ দফতর । জল ঢুকতে শুরু করেছে কয়েকটি ব্লকের অসংরক্ষিত এলাকায়, চরগুলিতেও ৷

তবে শুধু গঙ্গা নয়, জলস্তর বাড়ছে ফুলহার ও মহানন্দারও । এই দু'টি নদীর জলস্তর এখনও বিপদসীমার নিচে থাকলেও দ্রুতগতিতে জল বাড়ছে । আজ দুপুর 12 টায় ফুলহারের জলস্তর ছিল 26.58 মিটার, বিপদসীমা 27.43 মিটার । মহানন্দার জলস্তর আজ রয়েছে 18.91 মিটার, বিপদসীমা 21.00 মিটার থেকে এখন 01.09 মিটার নিচ দিয়ে বইছে নদী ।

আরও পড়ুন : Tingharia river erosion : কালিন্দ্রীর ভাঙনে বিপন্ন গ্রাম, আতঙ্কে তিনঘরিয়াবাসী

চলতি মরশুমে ওই এলাকার লালুটোলা গ্রামের বেশ কিছু বাড়িও ভাঙনে তলিয়ে গিয়েছে । এরকম চলতে থাকলে কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের বীরনগর 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মানচিত্রটাই পালটে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা । যদিও নদীপাড়ের মানুষজনের বক্তব্য, গঙ্গার জলস্তর বাড়লে ভাঙনের প্রকোপ কমবে । তবে জল নামার সময় ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাবে ।

পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ মানিকচক ঘাট থেকে ধুলিয়ান সংলগ্ন পারলালপুর ঘাট পর্যন্ত নৌকাযোগে গঙ্গা পরিদর্শন করছেন জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র, সেচ দফতরের কর্তারা । জেলাশাসক জানিয়েছেন, "কোন জায়গায় ভাঙনের কী অবস্থা, তা খতিয়ে দেখতেই এই পরিদর্শন । সেচ দফতর ভাঙন রোধের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । তবে গঙ্গার জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় কাজের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ।" এদিকে সেচ দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রণবকুমার সামন্ত বলেন, "উত্তরপ্রদেশ, বিহার-সহ গঙ্গার আপার ক্যাচমেন্টে ভাল বৃষ্টি হচ্ছে । সেই জল নিচে নেমে আসায় গঙ্গার জলস্তর বাড়ছে । আগামী কয়েকদিন জলস্তর আরও বাড়বে বলেই ধারণা । ইতিমধ্যে নদী তার বিপদসীমা অতিক্রম করেছে । যে গতিতে জল বাড়ছে, তাতে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে গঙ্গা চরম বিপদসীমায় পৌঁছে যেতে পারে । আমরা পরিস্থিতির উপর লক্ষ্য রাখছি । দফতরের কর্মীরাও সতর্ক রয়েছেন । জেলার ভাঙনপ্রবণ এলাকাগুলিতে ভাঙন রোধের কাজ চলছে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.