মালদা, 8 জুলাই: মহিলাদের বুথমুখী করতে এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৷ প্রথমবার আটটি জেলায় সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত পিঙ্ক বুথ করা হয়েছিল ৷ সেই পিঙ্ক বুথ নিয়ে বেশ উৎসাহ ছিল সাধারণ মানুষের মধ্যেও । কিন্তু ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পিঙ্ক বুথ নিয়ে ক্ষোভ জন্মাল মহিলা ভোটারদের মধ্যে ৷ জায়গায় জায়গায় পিঙ্ক বুথে ভোটের সময় পেরিয়ে গেলেও দেখা গেল লম্বা লাইন ৷
তবে এর জন্য কমিশনকেই দায়ী করছেন ভোটাররা ৷ তাদের দাবি, ওই মহিলা পোলিং কর্মীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবেই ধীর গতিতে ভোট পরিচালিত হয়েছে ৷ যার জেরে তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়েছে ৷ সকাল থেকে ধীর গতিতে ভোট চলতে থাকায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ । সময় গড়ানোর সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকায় একাধিক ভোটার অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ ।
মালদা জেলায় মোট 123টি পিঙ্ক বুথ করা হয়েছে। ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদায় পিঙ্ক বুথের সংখ্যা 13 ও 10। পুরাতন মালদা ব্লকের সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাপুর হাইস্কুলে 78/1 নম্বর বুথ মহিলা পরিচালিত । বুথে মোট ভোটার 1300 জন । তবে বিকেল সাড়ে চারটে পর্যন্ত ভোট পড়েছে মাত্র 450 । লাইনে তখন দাঁড়িয়ে অন্তত শতাধিক । ভোটারদের অভিযোগ, মহিলা পরিচালিত ভোট কেন্দ্র হওয়ায় সকাল থেকে ধীর গতিতে ভোট চলছে । মহিলারা ভোট নিতে পারছেন না । দু'টো দরজা থাকা সত্ত্বেও একটি দরজা নিয়ে ছেলে-মেয়েদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হচ্ছে । পুলিশ কোনও কাজ করছে না । ভোট শেষ হতে সকাল হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন ভোটাররা ।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে প্রথমবার পিংক বুথ রাখছে কমিশন, আট জেলার ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বে মহিলারা
এক ভোটার পিঙ্কি মণ্ডল বলেন, "এই ভোট কেন্দ্রে মহিলাদের দেওয়া উচিৎ ছিল না । মহিলারা ভোট করাতে পারছেন না । এখানে পুরুষ ভোটকর্মী দেওয়া উচিৎ ছিল । এখানে দুটো বুথ করা দরকার ছিল । সাড়ে চারটে বাজতে চলল এখনও লাইনে অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে। সকাল সাতটায় ভোট দিতে এসে, ভোটার বাড়ি ফিরছেন বেলা এগারোটায় । যিনি বারোটায় আসছেন, তিনি ফিরছেন সন্ধেয় । এভাবে ভোট হয় নাকি? পুলিশ আছে, কিন্তু পুলিশ কোনও কাজ করছে না । এই ভোট শেষ হতে সকাল হয়ে যাবে । এত মানুষ না-খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে । ভিড়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন । এখনও ইচ্ছে করলে ভোটের গতি বাড়ানো সম্ভব ।"