মালদা, 1 অক্টোবর : গ্রামে দু’দুটি হাইমাস্ট টাওয়ার ল্যাম্প থাকতেও কেন অন্ধকারে থাকবেন তাঁরা ? প্রশ্ন মালদার চাঁচল-1 নম্বর ব্লকের খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের মনিকান্দা ও রানিপুর গ্রামের বাসিন্দাদের ৷ তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কিংবা পঞ্চায়েত প্রধানকে বলেও সমস্যার সমাধান হয়নি ৷ তাই এবার সরাসরি বিডিও এবং মহকুমাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন ভুক্তভোগীরা ৷ জমা দিলেন স্মারকলিপি ৷ ঘটনার জেরে তৃণমূলশাসিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন : Bankura : 5 দফা দাবি নিয়ে জেলাশাসককে স্মারকলিপি বাঁকুড়ার ডেকোরেটার্স সংগঠনের
স্থানীয় এক বাসিন্দা সাইদুল হক বলেন, “খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফেই হাইমাস্ট টাওয়ার দু’টিতে বাতি লাগানো হয় ৷ কিন্তু মাস দু’য়েক পরই সব বাতি নষ্ট হয়ে যায় ৷ আমরা পঞ্চায়েত প্রধানকে একাধিকবার এনিয়ে অভিযোগ করেছি ৷ তিনি শুধু বলছেন, সব ঠিক হবে ৷ কিন্তু, কবে গ্রাম ফের আলো পাবে, তা তিনি আর জানাতে পারছেন না ৷ এদিকে আলোর অভাবে গ্রামের সকলেরই সমস্যা হচ্ছে ৷ সাপের ভয় রয়েছে ৷ তাই আমরা শেষ পর্যন্ত বিডিও এবং এসডিওকে অভিযোগ জানিয়েছি ৷’’
আর এক গ্রামবাসী ফণীভূষণ দাস বলেন, “যখন গ্রামে আলো ছিল না, তখন আমরা অন্ধকারে থাকতে অভ্যস্ত ছিলাম ৷ কিন্তু গ্রামে যখন আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে, তারপরও আমরা অন্ধকারে থাকব কেন ? অন্ধকারে আমাদের সকলেরই ভীষণ সমস্যা হচ্ছে ৷”
আরও পড়ুন : BJP Vaccine Protest : ভ্যাকসিন দুর্নীতি সহ একাধিক অভিযোগে শান্তিপুর পৌরসভায় বিক্ষোভ বিজেপির যুব মোর্চার
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্দশ কমিশনের তহবিল থেকে প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ করে এক-একটি হাইমাস্ট টাওয়ার ল্যাম্প ওই এলাকায় বসানো হয়েছিল ৷ কিন্তু চালু হওয়ার মাস তিনেকের মধ্যেই দু’টি টাওয়ারের ল্যাম্পই নষ্ট হয়ে যায় ৷ তবে এ নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান কিংবা উপপ্রধান সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি ৷ অন্যদিকে চাঁচলের মহকুমাশাসক কল্লোল রায় বলেছেন, “ঘটনাটি এখনই শুনলাম ৷ বিষয়টি যেহেতু গ্রাম পঞ্চায়েতের, তাই এ নিয়ে বিডিওর সঙ্গে কথা বলব ৷ তারপরই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে ৷”