ETV Bharat / state

ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ ভাইস চেয়ারম্যানের - ইংরেজবাজার পৌরসভা

চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করে মানুষের থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ তুললেন ভাইস চেয়ারম্যান ৷ ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন দলীয় কাউন্সিলররা ৷ তারই মধ্যে চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ তুলে সরব হলেন দুলাল সরকার ৷

দুলাল সরকার
author img

By

Published : Sep 7, 2019, 10:28 AM IST

মালদা, 7 সেপ্টেম্বর : চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করে মানুষের থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ তুললেন ভাইস চেয়ারম্যান ৷ ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন দলীয় কাউন্সিলররা ৷ তারই মধ্যে চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ তুলে সরব হলেন দুলাল সরকার ৷ পাশাপাশি তিনি পৌরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন ৷

ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, " পৌরসভায় এসে একটি চিঠি হাতে পাই ৷ সেই চিঠি থেকে জানতে পারি, ওই ওয়ার্ডের কিছু জায়গা সরকারি কর্মী ও স্থানীয় কাউন্সিলরের প্রতিনিধিরা মাপজোক করে কিছু মানুষকে পাট্টা দেবেন বলে প্রত্যেককে 7 হাজার টাকা করে জমা করতে বলেছেন৷ যা কাউন্সিলর করতে পারেন না৷ স্থানীয় মানুষজন এ নিয়ে গণস্বাক্ষর সংবলিত একটি চিঠি পৌরসভায় জমা দিয়েছেন৷ তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ওই ওয়ার্ডে একটি জলাভূমি ভরাট করে সেই জায়গা কিছু মানুষকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি মাপজোক করা হচ্ছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী গ্রিনসিটি প্রকল্পের আওতায় এই শহরে বেশকিছু পার্ক তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন৷ কিন্তু জায়গার অভাবে টেন্ডার হওয়া সত্ত্বেও সেসব পার্ক তৈরি করা যাচ্ছে না৷ 3 নম্বর ওয়ার্ডেও একটি পার্কের অনুমোদন রয়েছে৷ সেখানে জায়গা না থাকায় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেলের জায়গা দেখিয়ে সেখানে পার্ক তৈরির চেষ্টা করেন৷ রেলের বাধায় সেখানে পার্ক করা যায়নি ৷ সেখানে জলাভূমি বুজিয়ে মানুষকে পাট্টা দেওয়ার প্রসঙ্গ আসছে কী করে বুঝতে পারছি না৷ আর পৌরসভার জমি থাকলেও তাতে পাট্টা দেওয়ার অধিকারী ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগ৷ কোনও তদন্ত না করে কাউকে আমরা পাট্টা প্রদানের অনুমোদন করতে পারি না৷ তার উপর পৌর এলাকায় কাউকে পাট্টা দিতে গেলে বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের অনুমোদন প্রয়োজন৷ অথচ বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের সভার অনুমোদন না নিয়েই চেয়ারম্যান এই জমির পাট্টা বিলির নির্দেশ জারি করেছেন৷ যাদের পাট্টা দেওয়া হবে, তাদের কাছ থেকে 7 থেকে 10 হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে৷ কে টাকা নিচ্ছে তাও বোঝা যাচ্ছে না৷ এভাবে টাকা নেওয়া যায় কি না জানি না৷ তবে BOC ভাবলে কাউকে সরকারি জমির পাট্টা দিতে পারে৷ যদিও সেটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া৷ 3 নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের চিঠি পাওয়ার পর চেয়ারম্যানের জারি করা এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছি৷ "

এ বিষয়ে 3 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরি বলেন, " পৌরসভায় এসে শুনতে পেলাম ভাইস চেয়ারম্যান পাট্টা সংক্রান্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশিকা বাতিল করেছেন৷ মাস সাতেক আগে এ নিয়ে বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল৷ সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই চেয়ারম্যান এই প্রস্তাব অনুমোদন করেন৷ এটা পৌরসভারই জায়গা৷ সেখানে প্রায় 40 বছর ধরে বেশকিছু পরিবার বাস করছে৷ তাদের পাট্টা হয়নি৷ BOC-তে পাশ হয়ে যাওয়া কোনও সিদ্ধান্ত বাতিল করা যায় না৷ পাট্টা প্রাপকরা, ইতিমধ্যে পৌরসভায় এসে সমস্ত নথিপত্র জমা দিয়েছেন৷ এখন টাকা জমা দেওয়ার কাজটাই বাকি রয়েছে৷ " এদিকে কলকাতা থেকে চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ জানান, 3 নম্বর ওয়ার্ডে পাট্টা প্রদান নিয়ে কোনও বেআইনি কাজ করা হয়নি৷ সব কিছু আইন মেনেই হয়েছে৷ তিনি মালদা ফিরে এই বিষয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলবেন ৷

malda
এই জলাজমি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে

আরও পড়ুন : নিজের বিরুদ্ধে তদন্তকে স্বাগত, অনাস্থা নিয়ে 'স্বস্তি'-তে নীহাররঞ্জন

চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে দলীয় কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থা ঘিরে ডামাডোল চলছে ইংরেজবাজার পৌরসভায়৷ সমস্যা মেটাতে পৌর নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানি ও জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরের উপস্থিতিতে কলকাতায় বৈঠকও করা হয় ৷ দীর্ঘদিন পৌরসভায় BOC ও চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের বৈঠক না হওয়ায় বিভিন্ন কাজ স্থগিত রয়েছে৷ BOC-র অনুমোদন ছাড়াই চেয়ারম্যান কিছু কাজের আনুমোদন দেন, যা বেআইনি ৷ এজন্য পৌরমন্ত্রী নির্দেশ দেন, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলরদের নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানকে বৈঠক করে আগামীতে যে কোনও কাজ করতে হবে৷ সেই বৈঠক অবশ্য এখনও হয়নি৷ তারমধ্যেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার৷ এই ঘটনার পর চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের সম্পর্কের ফাটল আরও বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

মালদা, 7 সেপ্টেম্বর : চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করে মানুষের থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগ তুললেন ভাইস চেয়ারম্যান ৷ ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন দলীয় কাউন্সিলররা ৷ তারই মধ্যে চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ তুলে সরব হলেন দুলাল সরকার ৷ পাশাপাশি তিনি পৌরসভার 3 নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন ৷

ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, " পৌরসভায় এসে একটি চিঠি হাতে পাই ৷ সেই চিঠি থেকে জানতে পারি, ওই ওয়ার্ডের কিছু জায়গা সরকারি কর্মী ও স্থানীয় কাউন্সিলরের প্রতিনিধিরা মাপজোক করে কিছু মানুষকে পাট্টা দেবেন বলে প্রত্যেককে 7 হাজার টাকা করে জমা করতে বলেছেন৷ যা কাউন্সিলর করতে পারেন না৷ স্থানীয় মানুষজন এ নিয়ে গণস্বাক্ষর সংবলিত একটি চিঠি পৌরসভায় জমা দিয়েছেন৷ তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ওই ওয়ার্ডে একটি জলাভূমি ভরাট করে সেই জায়গা কিছু মানুষকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি মাপজোক করা হচ্ছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী গ্রিনসিটি প্রকল্পের আওতায় এই শহরে বেশকিছু পার্ক তৈরির অনুমোদন দিয়েছেন৷ কিন্তু জায়গার অভাবে টেন্ডার হওয়া সত্ত্বেও সেসব পার্ক তৈরি করা যাচ্ছে না৷ 3 নম্বর ওয়ার্ডেও একটি পার্কের অনুমোদন রয়েছে৷ সেখানে জায়গা না থাকায় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেলের জায়গা দেখিয়ে সেখানে পার্ক তৈরির চেষ্টা করেন৷ রেলের বাধায় সেখানে পার্ক করা যায়নি ৷ সেখানে জলাভূমি বুজিয়ে মানুষকে পাট্টা দেওয়ার প্রসঙ্গ আসছে কী করে বুঝতে পারছি না৷ আর পৌরসভার জমি থাকলেও তাতে পাট্টা দেওয়ার অধিকারী ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগ৷ কোনও তদন্ত না করে কাউকে আমরা পাট্টা প্রদানের অনুমোদন করতে পারি না৷ তার উপর পৌর এলাকায় কাউকে পাট্টা দিতে গেলে বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের অনুমোদন প্রয়োজন৷ অথচ বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের সভার অনুমোদন না নিয়েই চেয়ারম্যান এই জমির পাট্টা বিলির নির্দেশ জারি করেছেন৷ যাদের পাট্টা দেওয়া হবে, তাদের কাছ থেকে 7 থেকে 10 হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে৷ কে টাকা নিচ্ছে তাও বোঝা যাচ্ছে না৷ এভাবে টাকা নেওয়া যায় কি না জানি না৷ তবে BOC ভাবলে কাউকে সরকারি জমির পাট্টা দিতে পারে৷ যদিও সেটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া৷ 3 নম্বর ওয়ার্ডের মানুষের চিঠি পাওয়ার পর চেয়ারম্যানের জারি করা এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছি৷ "

এ বিষয়ে 3 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরি বলেন, " পৌরসভায় এসে শুনতে পেলাম ভাইস চেয়ারম্যান পাট্টা সংক্রান্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশিকা বাতিল করেছেন৷ মাস সাতেক আগে এ নিয়ে বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল৷ সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই চেয়ারম্যান এই প্রস্তাব অনুমোদন করেন৷ এটা পৌরসভারই জায়গা৷ সেখানে প্রায় 40 বছর ধরে বেশকিছু পরিবার বাস করছে৷ তাদের পাট্টা হয়নি৷ BOC-তে পাশ হয়ে যাওয়া কোনও সিদ্ধান্ত বাতিল করা যায় না৷ পাট্টা প্রাপকরা, ইতিমধ্যে পৌরসভায় এসে সমস্ত নথিপত্র জমা দিয়েছেন৷ এখন টাকা জমা দেওয়ার কাজটাই বাকি রয়েছে৷ " এদিকে কলকাতা থেকে চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ জানান, 3 নম্বর ওয়ার্ডে পাট্টা প্রদান নিয়ে কোনও বেআইনি কাজ করা হয়নি৷ সব কিছু আইন মেনেই হয়েছে৷ তিনি মালদা ফিরে এই বিষয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলবেন ৷

malda
এই জলাজমি ভরাটের অভিযোগ উঠেছে

আরও পড়ুন : নিজের বিরুদ্ধে তদন্তকে স্বাগত, অনাস্থা নিয়ে 'স্বস্তি'-তে নীহাররঞ্জন

চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে দলীয় কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থা ঘিরে ডামাডোল চলছে ইংরেজবাজার পৌরসভায়৷ সমস্যা মেটাতে পৌর নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানি ও জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নুরের উপস্থিতিতে কলকাতায় বৈঠকও করা হয় ৷ দীর্ঘদিন পৌরসভায় BOC ও চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের বৈঠক না হওয়ায় বিভিন্ন কাজ স্থগিত রয়েছে৷ BOC-র অনুমোদন ছাড়াই চেয়ারম্যান কিছু কাজের আনুমোদন দেন, যা বেআইনি ৷ এজন্য পৌরমন্ত্রী নির্দেশ দেন, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলরদের নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানকে বৈঠক করে আগামীতে যে কোনও কাজ করতে হবে৷ সেই বৈঠক অবশ্য এখনও হয়নি৷ তারমধ্যেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হলেন ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার৷ এই ঘটনার পর চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের সম্পর্কের ফাটল আরও বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

Intro:মালদা, ০৭ সেপ্টেম্বর : চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দলীয় কাউন্সিলরদের আনা অনাস্থা ঘিরে এখনও ডামাডোল চলছে ইংরেজবাজার পৌরসভায়৷ তার মধ্যে আরও একবার চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের বিরুদ্ধে সরব হলেন ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার৷ একইসঙ্গে তিনি সরব হয়েছেন পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেও৷ তাঁর অভিযোগ, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বেআইনিভাবে জলাভূমি ভরাট করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলা হচ্ছে৷ এই ঘটনার পর চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল আরও বড়ো আকার নেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷Body:         পৌরসভায় নিজের কক্ষে বসে ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার বলেন, "বর্তমানে চেয়ারম্যান জেলার বাইরে রয়েছেন৷ তাঁর অনুপস্থিতিতে তাঁরই জারি করা একটি নির্দেশিকা আমি স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছি৷ পৌরসভায় গত কয়েকদিন ধরে একটা অস্থির অবস্থা চলছে৷ কাউন্সিলররা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন৷ সমস্যা মেটাতে পৌরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, এই জেলার দলীয় অবজারভার ঘোলাম রব্বানি ও জেলা তৃণমূল সভানেত্রী মৌসম নূরের উপস্থিতিতে আমরা কলকাতায় বৈঠকে বসেছিলাম৷ দীর্ঘদিন এই পৌরসভায় বোর্ড অফ কাউন্সিলর্স এবং চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের বৈঠক না হওয়ায় বিভিন্ন কাজ স্থগিত হয়ে রয়েছে৷ কিছু কাজ বিওসি'র অনুমোদন ছাড়াই চেয়ারম্যান অ্যাপ্রুভ করেন৷ যা বেআইনি৷ এর জন্য পৌরমন্ত্রী তদন্ত করবেন বলেও জানিয়ে দেন৷ পৌরমন্ত্রী নির্দেশ দেন, চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলরদের নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যানকে বৈঠক করে আগামীতে যে কোনও কাজ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী করতে হবে৷ সেই বৈঠক অবশ্য এখনও হয়নি৷ আজ আমি পৌরসভায় এসে একটি চিঠি পাই৷ ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু মানুষ সেই চিঠি দিয়েছেন৷ সেই চিঠি থেকে আমি জানতে পারি, ওই ওয়ার্ডের কিছু জায়গা সরকারি কর্মী ও স্থানীয় কাউন্সিলরের প্রতিনিধি মাপজোক করে কিছু মানুষকে পাট্টা দেবেন বলে প্রত্যেককে ৭ হাজার টাকা করে জমা করতে বলেছেন৷ যেটা কাউন্সিলর করতে পারেন না৷ স্থানীয় মানুষজন এনিয়ে গণস্বাক্ষর সংবলিত একটি চিঠি পৌরসভায় জমা দিয়েছেন৷ সেখানে তাঁরা অভিযোগ করেছেন, ওই ওয়ার্ডে একটি জলাভূমি ভরাট করে সেই জায়গা কিছু মানুষকে পাইয়ে দেওয়ার জন্য তড়িঘড়ি মাপজোক করা হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী গ্রিনসিটি প্রকল্পে এই শহরে বেশ কিছু পার্ক অনুমোদন করেছেন৷ কিন্তু জায়গার অভাবে টেন্ডার হওয়া সত্বেও সেই সব পার্ক করা যাচ্ছে না৷ ৩ নম্বর ওয়ার্ডেও একটি পার্কের অনুমোদন রয়েছে৷ সেখানে জায়গা না থাকায় ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেলের জায়গা দেখিয়ে সেখানে পার্ক তৈরির চেষ্টা করেন৷ যদিও রেলের বাধায় সেখানে পার্ক করা যায়নি৷ সেখানে জলাভূমি বুজিয়ে মানুষকে পাট্টা দেওয়ার প্রসঙ্গ আসছে কী করে বুঝতে পারছি না৷ আর পৌরসভার জমি থাকলেও তাতে পাট্টা দেওয়ার অধিকারী ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগ৷ জমির অভাবে আমরা নিজস্ব ভাগাড় এখনও পর্যন্ত তৈরি করতে পারিনি৷ কোনও তদন্ত না করে কাউকে আমরা পাট্টা প্রদানের অনুমোদন করতে পারি না৷ তার উপর পৌর এলাকায় কাউকে পাট্টা দিতে গেলে বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের অনুমোদন প্রয়োজন৷ অতচ বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের সভার অনুমোদন না নিয়েই চেয়ারম্যান এই জমির পাট্টা বিলির নির্দেশিকা জারি করেছেন৷ তার উপর যাদের পাট্টা দেওয়া হবে বলা হচ্ছে, তাদের কাছ থেকে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেওয়া হচ্ছে৷ কে সেই টাকা নিচ্ছে তাও বোঝা যাচ্ছে না৷ এভাবে টাকা নেওয়া যায় কিনা জানি না৷ তবে বিওসি ভাবলে কাউকে সরকারি জমির পাট্টা দিতে পারে৷ যদিও সেটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া৷ যাই হোক, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজনের চিঠি পাওয়ার পর আজ আমি চেয়ারম্যানের জারি করা এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছি৷"
         এপ্রসঙ্গে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরি বলেন, "আজ পৌরসভায় এসে শুনতে পেলাম ভাইস চেয়ারম্যান পাট্টা সংক্রান্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশিকা বাতিল করেছেন৷ মাস সাতেক আগে এনিয়ে বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের সভায় সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল৷ সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই চেয়ারম্যান এই প্রস্তাব অনুমোদন করেন৷ এটা পৌরসভারই জায়গা৷ সেখানে প্রায় ৪০ বছর ধরে বেশ কিছু পরিবার বসবাস করছে৷ তাদের পাট্টা হয়নি৷ কিন্তু আমি যতদূর জানি, বিওসিতে পাস হয়ে যাওয়া কোনও সিদ্ধান্ত বাতিল করা যায় না৷ যাঁরা পাট্টাপ্রাপক, তাঁরা ইতিমধ্যে পৌরসভায় এসে সমস্ত নথিপত্র জমা দিয়েছেন৷ এখন টাকা জমা দেওয়ার কাজটাই বাকি রয়েছে৷"Conclusion:এদিকে কলকাতা থেকে চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষ জানিয়েছেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে পাট্টা প্রদান নিয়ে কোনও বেআইনি কাজ করা হয়নি৷ সব কিছু আইন মেনেই হয়েছে৷ পৌরসভার বোর্ড অফ কাউন্সিলর্সের বৈঠকে তা অনুমোদিতও হয়েছে৷ তিনি মালদা ফিরে এনিয়ে কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলবেন৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.