মালদা, 23 ডিসেম্বর: পরশু বড়দিন ৷ বিশ্বায়নের বাজারে এখন বড়দিনও ঢুকে পড়েছে বঙ্গ জীবনের অঙ্গে ৷ আগে যা শুধুই রংবেরংয়ের কার্ডে শুভেচ্ছা জানানো, কেক-পেস্ট্রি খাওয়া কিংবা পিকনিকে আবদ্ধ ছিল, এখন বাঙালি জীবনে তা ক্যারল-জিঙ্গল বেল পর্যন্ত বিস্তৃত ৷ এখন 24 ডিসেম্বর মাঝরাতে চার্চে গিয়ে ক্যারলে সুর মেলাচ্ছে বাঙালিও ৷ মালদা ও পুরাতন মালদার মতো ছোট দুই শহরও সেই উৎসবের প্রতীক্ষায় ৷ দিন বদলের সঙ্গে বাঙালির বড়দিন উদযাপনে যতই বদল আসুক, কেকে কামড় ছাড়া যিশুর জন্মদিন এখনও মেনে নিতে পারে না কাকদ্বীপ থেকে কোচবিহার ৷
কর্মীদের নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই ৷ দিন তো বটেই, রাতেও চলছে কাজ ৷ এই সময় কারও যেন কথা বলার সময় নেই ৷ শেষ পর্যন্ত সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছেন পুরাতন মালদার এক বেকারি মালিক পাপন সরকার ৷ তাঁর নামেই বেকারির নাম ৷ এবারের বড়দিনে তাঁদের তৈরি ছানা আর নলেন গুড়ের কেক আট থেকে আশির রসনাতৃপ্ত করবে বলে নিশ্চিত তিনি ৷ পাপন বলেন, "আমার এখানে সম্পূর্ণ নিরামিষ কেক তৈরি করা হয় ৷ ডিমের কোনও ছোঁয়া নেই ৷ আমরা সারা বছরই কেক তৈরি করি ৷ তবে বড়দিনের সময় চাহিদা অনেক বেড়ে যায় ৷ এবারের বড়দিনে আমরা ছানা আর নলেন গুড়ের ফ্রুট কেক তৈরি করছি ৷ এছাড়াও রসমালাই কেক, ফুল বাটার স্কচ কেক রয়েছে ৷ সাধারণ ফ্রুট কেক তো আছেই ৷"
তাঁর কথায়, "আমাদের কেক শুধু জেলা নয়, জেলার বাইরেও যায় ৷ খুচরো ও পাইকারি, দু'ভাবেই বিক্রি করি ৷ বড়দিনে প্রতিবারই আমাদের বেশ ভালো অর্ডার থাকে ৷ এবারও প্রচুর অর্ডার এসেছে ৷ আমরা চেষ্টা করছি সব জায়গায় সময়মতো অর্ডার সাপ্লাই করার ৷ এখনও পর্যন্ত কথার খেলাপ হয়নি ৷ দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয় ৷ 16 ডিসেম্বর থেকে বড়দিনের কাজ শুরু করেছি ৷ 20 জন কর্মী এখানে কাজ করছেন ৷ আমাদের কেকে ময়দার ব্যবহার হয় না ৷ তবে সব ধরনের ফল ব্যবহার করা হয় ৷ আকার আর স্বাদের হেরফেরে কেকের দাম 50 থেকে 600 টাকা ৷ 24 আর 25 তারিখ আমাদের সবচেয়ে স্পেশাল কেক বিক্রি হবে, হাতে গরম কেক ৷"
আরও পড়ুন: