ETV Bharat / state

ভিন রাজ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যু ছেলের, অভিযোগ প্রশাসন উদাসীন - হরিশ্চন্দ্রপুর

হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মালিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের শামুখা গ্রামের বাসিন্দা ছিল বংশীলাল মণ্ডল । পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানার কাটলা এলাকায় একটি কাঠ চেরাই মিলে কাজ করত সে । কাজের বেতন নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল তার । ঠিকঠাক পারিশ্রমিক না মেলায় বাড়ি চলে আসতে চেয়েছিল । কিন্তু বাড়ি ফেরা হয়নি বংশীলালের । গত 8 অক্টোবর স্থানীয় রেললাইনে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ।

অসহায় পরিবার
অসহায় পরিবার
author img

By

Published : Oct 15, 2020, 8:48 PM IST

মালদা, 15 অক্টোবর : ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ছেলের ৷ সেই ঘটনার পরেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিল পরিবারের লোকজন ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসন ওই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ পরিবারের লোকজনের ৷ একমাত্র রোজগেরে ছেলের মৃত্যুর পর পরিবারের দুর্দশা কাটাতে পাশে দাঁড়ায়নি কোনও জনপ্রতিনিধিও ৷ এই পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে দিন কাটাচ্ছে ওই পরিবারের ৷

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মালিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের শামুখা গ্রামের বাসিন্দা ছিল বংশীলাল মণ্ডল । পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানার কাটলা এলাকায় একটি কাঠ চেরাই মিলে কাজ করত সে । কাজের বেতন নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল তার । ঠিকঠাক পারিশ্রমিক না মেলায় বাড়ি চলে আসতে চেয়েছিল । কিন্তু বাড়ি ফেরা হয়নি বংশীলালের । গত 8 অক্টোবর স্থানীয় রেললাইনে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় । মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসতেই শোক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । পরিবারের লোকজন অভিযোগ জানায়, বংশী যে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত সেই ঠিকাদারের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল তাঁর ৷ পাওনা টাকা চাওয়ায় বংশীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল ৷ এরপরেই বংশীর মৃতদের উদ্ধার হয় ৷ সেই ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও প্রশাসনিকভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের৷

বংশীলালের বাবা মহাবীর মণ্ডল বলেন, “আমার ছেলে ভিনরাজ্যে কাজে যেতে রাজি ছিল না ৷ ঠিকাদাররা তাঁকে জোর করে কাজে নিয়ে গিয়েছিল ৷ যে ঠিকাদারের অধীনে ছেলে কাজ করত, তারাই খুন করেছে ছেলেকে । আমরা বিচারের আশায় প্রশাসনকে জানিয়েছি । কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি । পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল ছেলে ৷ ছেলের মৃত্যুর পর সংসার কীভাবে চলবে তা ভেবে কুল-কিনারা পাচ্ছি না ৷ সরকারি সাহায্য দূরের কথা স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধিও পাশে দাঁড়ায়নি ৷”

ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অজিতকুমার সাহা বলেন, "আমাদের তো এই মুহূর্তে তেমন কোনও ক্ষমতা নেই । তবে চেষ্টা করব ওই পরিবারের পাশে থাকার । তবে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা সরকার ওই পরিবারের জন্য অনেক কিছুই করতে পারত ৷ কিন্তু সেই সরকার এখন সাধারণ মানুষের জন্য নয়, বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভাবছে ৷" জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, "ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে কয়েকদিন একটু ব্যস্ত ছিলাম । সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে বিষয়টা জানতে পারলাম । ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নিজের সাধ্যমতো সাহায্য করব ৷ পাশাপাশি সরকারিভাবে সাহায্য পাইয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করব ৷"

মালদা, 15 অক্টোবর : ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ছেলের ৷ সেই ঘটনার পরেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিল পরিবারের লোকজন ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসন ওই ঘটনায় কোনও পদক্ষেপ করছে না বলে অভিযোগ পরিবারের লোকজনের ৷ একমাত্র রোজগেরে ছেলের মৃত্যুর পর পরিবারের দুর্দশা কাটাতে পাশে দাঁড়ায়নি কোনও জনপ্রতিনিধিও ৷ এই পরিস্থিতিতে অসহায় হয়ে দিন কাটাচ্ছে ওই পরিবারের ৷

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মালিওর গ্রাম পঞ্চায়েতের শামুখা গ্রামের বাসিন্দা ছিল বংশীলাল মণ্ডল । পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানার কাটলা এলাকায় একটি কাঠ চেরাই মিলে কাজ করত সে । কাজের বেতন নিয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল তার । ঠিকঠাক পারিশ্রমিক না মেলায় বাড়ি চলে আসতে চেয়েছিল । কিন্তু বাড়ি ফেরা হয়নি বংশীলালের । গত 8 অক্টোবর স্থানীয় রেললাইনে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয় । মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসতেই শোক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । পরিবারের লোকজন অভিযোগ জানায়, বংশী যে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করত সেই ঠিকাদারের সঙ্গে পাওনা টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিল তাঁর ৷ পাওনা টাকা চাওয়ায় বংশীকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছিল ৷ এরপরেই বংশীর মৃতদের উদ্ধার হয় ৷ সেই ঘটনার এক সপ্তাহ পরেও প্রশাসনিকভাবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের৷

বংশীলালের বাবা মহাবীর মণ্ডল বলেন, “আমার ছেলে ভিনরাজ্যে কাজে যেতে রাজি ছিল না ৷ ঠিকাদাররা তাঁকে জোর করে কাজে নিয়ে গিয়েছিল ৷ যে ঠিকাদারের অধীনে ছেলে কাজ করত, তারাই খুন করেছে ছেলেকে । আমরা বিচারের আশায় প্রশাসনকে জানিয়েছি । কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি । পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিল ছেলে ৷ ছেলের মৃত্যুর পর সংসার কীভাবে চলবে তা ভেবে কুল-কিনারা পাচ্ছি না ৷ সরকারি সাহায্য দূরের কথা স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধিও পাশে দাঁড়ায়নি ৷”

ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা অজিতকুমার সাহা বলেন, "আমাদের তো এই মুহূর্তে তেমন কোনও ক্ষমতা নেই । তবে চেষ্টা করব ওই পরিবারের পাশে থাকার । তবে রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা সরকার ওই পরিবারের জন্য অনেক কিছুই করতে পারত ৷ কিন্তু সেই সরকার এখন সাধারণ মানুষের জন্য নয়, বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ভাবছে ৷" জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বলেন, "ব্যক্তিগত কাজ নিয়ে কয়েকদিন একটু ব্যস্ত ছিলাম । সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে বিষয়টা জানতে পারলাম । ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করে নিজের সাধ্যমতো সাহায্য করব ৷ পাশাপাশি সরকারিভাবে সাহায্য পাইয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করব ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.