মালদা, 22 এপ্রিল : সরকারি হোম থেকে পালাতে গিয়ে টহলরত পুলিশের হাতে ধরা পড়ল দুই কিশোর (Two Teenagers Rescued by Police) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদার সাহাপুর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার হোমে ৷ আজ হোম সুপারের উপস্থিতিতে দুই কিশোরকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে মালদা থানার পুলিশ ৷ কিশোরদের অভিযোগ, হোম সুপারের বকাবকিতে তারা বাড়ি যাওয়ার জন্য পালিয়েছিল (Two Teenagers Try to Escaped from Government Home) ৷ যদিও, ওই দুই ছাত্র এমন অভিযোগ করেছেন বলে, মানতে চাননি মালদা থানার আইসি ৷
ওই দুই কিশোরের নাম দেবনাথ মুর্মু, বয়স 14 বছর এবং রথীন হাঁসদা, বয়স 16 বছর ৷ দেবনাথের বাড়ি যাত্রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ছোটগন্ধা গ্রামে ৷ সে সাহাপুরের বিমল দাস মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে ৷ একই পঞ্চায়েত এলাকার ধরমপুর গ্রামে বাড়ি রথীনের ৷ সে সাহাপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ৷ পারিবারের আর্থিক সংকটের জন্য তাদের হোমে রেখে গিয়েছিলেন অভিভাবকরা ৷ হোমের তরফেই তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ গতকাল রাতে মালদা থানার টহলরত পুলিশ সেতু মোড় সংলগ্ন এলাকায় দেবনাথ এবং রথীনকে দেখতে পায় ৷ তারা 12 নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে হেঁটে বাইপাসের দিকে যাচ্ছিল ৷ সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকর্মীরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে, আসল ঘটনা সামনে আসে ৷ তাদের থানায় নিয়ে আসা হয় ৷ আজ হোম সুপারের উপস্থিতিতে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৷
আরও পড়ুন : KMC Safe Home : কলকাতায় বন্ধ হচ্ছে সেফ হোম, ঘোষণা ফিরহাদের
দেবনাথের বক্তব্য, হোম সুপার বাবলি ঘোষের অত্যাচারেই তারা সেখান থেকে পালিয়েছিল ৷ সে বলে, “হোম সুপার বাবলি ঘোষ সামান্য কারণেও আমাদের ভীষণ বকাবকি করেন ৷ ক’দিন আগে ঘুমোনোর সময় লাইট অফ করতে ভুলে গিয়েছিলাম ৷ তাই আমাকে পরেরদিন সকাল আর রাতে, মারধর করেন তিনি ৷ হোম ঝাড়ু দেওয়া-সহ বিভিন্ন কাজও আমাদের দিয়ে করান তিনি ৷ তাঁর জন্যই গতকাল সন্ধেয় আমরা হোমের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যাই ৷ আমি আর হোমে ফিরে যেতে চাই না ৷’’
আরও পড়ুন : পুরুলিয়ার সরকারি হোমে নাবালিকাদের উপর যৌন নির্যাতন, তদন্তে পুলিশ
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল রাতে টহলদারি চালানোর সময় এক এএসআইয়ের নজরে আসে, দু’টো বাচ্চা বাইপাসের দিকে হেঁটে যাচ্ছে ৷ পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তারা সাহাপুর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার হোমের আবাসিক ৷ সেখান থেকে তারা পালিয়েছে ৷ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয় ৷ পুলিশের তরফেই হোম কর্তৃপক্ষ এবং বাচ্চাদের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয় ৷