মালদা, 16 নভেম্বর : এলাকা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে গুলিবিদ্ধ হলেন দু'জন । আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে প্রথম চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও পরে মালদা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের মালিওর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের কাতলামারি এলাকায় । স্থানীয়দের দাবি, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দলের জেরেই ঘটেছে এই ঘটনা । তবে ঘটনার পুরো দায় বিজেপির ওপর ঠেলেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ।
গুলিবদ্ধ দুই ব্যক্তির নাম রফিকুল ইসলাম (32) ও সফিকুল ইসলাম (28) । রফিকুল ও সফিকুল দুই ভাই । স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাতলামারি এলাকা কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে উনসাহার হক ও আবদুল বাসেরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ ছিল । এলাকায় দু'জনেই দাপুটে তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত হলেও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি বাসের বিজেপির কর্মী । গতকাল বিকেলে সফিকুল চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন আর রফিকুল রাস্তা দিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন । সেই সময় কেউ বা কারা বাইকে এসে দু'জনকে গুলি করে । তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন । কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁদের মালদা শহরে রেফার করে দেন । এরপরে তাঁদের মালদা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । বর্তমানে তাঁরা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ।
আরও পড়ুন : BJP Agitation : পেট্রোপণ্যে ভ্যাট কমানোর দাবিতে বিজেপির মিছিল, বারুইপুরে ধুন্ধুমার
আহত দুই ভাইয়ের খুড়তুতো দাদা এবং এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত মিসবাহুল হক বলেন, "ওখানে আমরা চায়ের দোকানে ছিলাম । সেই সময় বিজেপির লোকজন মোটরবাইকে করে সেখানে আসে । উনসাহারের ভাতিজারা গুলি করে । এখানে চায়ের দোকানে এক ভাইকে গুলি করে আর গ্রামে আরেক ভাইকে । এরা দুই ভাই চাষাবাদ করে । এদের বাবা আবদুল বাসের মালিওর 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি (তৃণমূল) । উনসাহার এখন বিজেপির কর্মী ।"
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস জানিয়েছেন, দুই ভাইয়ের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়েছি । তাঁদের মালদা নিয়ে যাওয়া হয়েছে । এই ঘটনায় এখনও কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি । বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে । অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে ।