মালদা, 17 জুন : জামাই ষষ্ঠীতে শ্বশুরবাড়ির আদর উপেক্ষা করে করোনা কলে কর্তব্যের নজির গড়লেন দুই প্রশাসনিক আধিকারিক ৷ দিনভর রাস্তার আবর্জনা সাফ করেই দিন কাটল তাঁদের ৷ দুই আধিকারিকের দায়িত্বশীলতা দেখল খুশি চাঁচলের মানুষ ৷ বাঙালির আবেগের সঙ্গে জামাই ষষ্ঠী ওতপ্রতভাবে জড়িত ৷ এই দিনটি শ্বশুরবাড়ির আদর খেতে ভালোবাসে জামাইরা ৷
এর ঠিক উলটো ছবি দেখা গেল চাঁচলে ৷ সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে পড়েন চাঁচলের মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল ৷ সঙ্গে ছিলেন চাঁচল এক নম্বর ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য ৷ উল্লেখ্য, গত তিনদিন ধরে মহানন্দা নদী সংস্কারের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মহকুমাপ্রশাসন ৷ মহানন্দা থেকে আবর্জনা তুলে চাঁচল শহরের বাইরে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷ আবর্জনা নিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত রাস্তাতেও পড়ে যাচ্ছে ৷ বুধবার সেই সমস্ত আবর্জনা পরিষ্কারে নেমে পড়েন সঞ্জয়বাবু ৷ চাঁচল স্টেডিয়াম সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকায় সাফাই অভিযান চালান তিনি ৷ পুরো এলাকা পরিষ্কার করে ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয় ৷
আরও পড়ুন : Kunal Ghosh : ‘ডামি-জামাই’ শোভনের ‘পদবিত্যাগ ও সম্পত্তিদান’ নিয়ে টুইট বাণ কুণালের
সঞ্জয়বাবু বলেন,"মহানন্দা নদীর সংস্কারের কাজ যতটা পারছি করা হচ্ছে ৷ দুই ব্লকের সমস্ত আধিকারিকদের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও সহযোগিতা করছে ৷ আমরা চাঁচল স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার করলাম ৷ নদী থেকে আবর্জনা তুলে ফেরার সময় বেশ কিছু আবর্জনা রাস্তায় পড়েছিল সেগুলোও আজ পরিষ্কার করলাম ৷ গ্রাম পঞ্চায়েতকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হয়েছে ৷ সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের অনুরোধ বর্তমান পরিস্থিতিতে বাইরে বেরোনোর সময় মাস্ক অবশ্যই পড়ুন আর প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করুন ৷"