মালদা, 19 মে: সর্ষের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল দুই ভুত ৷ অবশেষে সেই ভূতদের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ ৷ বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকেই ৷ ঘটনাটি পুরাতন মালদার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নিত্যানন্দপুরের একটি ই-কমার্স সংস্থার গোডাউনের ৷ গত জানুয়ারি মাস থেকে ওই সংস্থা মাধ্যমে গ্রাহকদের অর্ডার করা মোবাইল ফোন গায়েব হয়ে যাচ্ছিল ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ সংস্থার দুই ডেলিভারি বয়কে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করেছে ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, গত জানুয়ারি মাস থেকে ই-কমার্স সংস্থা গোডাউন থেকে দামী মোবাইল উধাও হয়ে যাচ্ছিল ৷ একাধিক গ্রাহক সংস্থায় অভিযোগ জানাচ্ছিলেন যে, প্যাকেট খুললেই মোবাইলের বদলে অন্যান্য জিনিস সেখান থেকে বেরচ্ছিল ৷ কিন্তু, সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে থাকা গোডাউন থেকে কিছুই নজরে আসছিল না ৷ তাই সংস্থার তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷ যেসব মোবাইল ফোনগুলি গায়েব হয়েছিল, সেগুলির আইএমইআই নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে ৷
জানা যায়, মালদার বিভিন্ন মোবাইলের দোকান থেকে সেগুলি তারা কিনেছিল ৷ পুলিশ তাদের থেকে দোকানগুলির ঠিকানা নেয় ৷ সেখানে গিয়ে দোকানের মালিকদের পাকড়াও করা হয় ৷ আর তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের জালে আসে সংস্থারই দুই ডেলিভারি বয় ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, সাহাপুর এলাকার ডিস্কো মোড়ের বাসিন্দা, 24 বছরের সুমন ঘোষ এবং বিহারের বাসিন্দা সাহেব মাঝিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ এ দিন তাঁদের মালদা জেলা আদালতে তোলা হলে, বিচারক 3 দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: নিউটাউনে গ্রেফতার মোবাইল চুরি চক্রের দুই পাণ্ডা
পুলিশ সূত্রে খবর, গত জানুয়ারি মাস থেকে তাঁরা 23 লক্ষ 70 হাজার টাকার মোবাইল ফোন চুরি ও বিক্রি করেছে ৷ এমনকি সুমন এবং সাহেবের কাছ থেকে আরও 28টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ ৷ যার আনুমানিক বাজারমূল্য 23 লক্ষ 75 হাজার টাকা ৷ সুমন পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁরা কেউ প্যাকিং থেকে মোবাইল বের করতেন না ৷ ফারাক্কায় সেই মোবাইলগুলি বিশেষ কায়দায় এক গাড়ির চালক বের করতেন ৷ তারপর আবার আগের মতো করে সিল করে দিতেন প্যাকিং ৷ তাঁদের কাজ ছিল সেই মোবাইগুলি বিক্রি করা ৷ এভাবে এখনও পর্যন্ত 40টি ফোন বিক্রি করেছে অভিযুক্তরা ৷ পুলিশ পরবর্তী তদন্ত শুরু করেছে ৷