ETV Bharat / state

মালদা সীমান্তে BSF-র গুলিতে মৃত 2 সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী, ধৃত 1 - shot death by BSF

সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করলে তাদের বাধা দেন BSF জওয়ানরা ৷ তখন জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় অনুপ্রবেশকারীরা ৷ পালটা গুলি চালান জওয়ানরা ৷ ঘটনায় মৃত্যু হয় দু'জনের ৷ একজনকে ধরা হয়েছে ৷

ঘটনায় মৃত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
ঘটনায় মৃত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
author img

By

Published : Jan 23, 2020, 6:11 PM IST

Updated : Jan 23, 2020, 9:29 PM IST

মালদা, 23 জানুয়ারি : BSF-এর গুলিতে মৃত্যু হল দু'জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর ৷ ধরা পড়েছে একজন ৷ ঘটনাটি হবিবপুর ব্লকের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের আংরাপোঁতা এলাকায় ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত BSF বা পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি ৷

গতকাল মাঝরাতে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করে কয়েকজন বাংলাদেশি ৷ তা দেখতে পেয়ে তাদের তাড়া করেন কর্মরত 159 নম্বর ব্যাটেলিয়নের কেদারিপাড়া BOP-র জওয়ানরা ৷ আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন ৷ কিন্তু, তা না মেনে জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে ৷ বাধ্য হয়ে পালটা গুলি চালান জওয়ানরা ৷ এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দু'জনের ৷

মৃত দুই ব্যক্তির নাম সঞ্জীব কুমার ও কামাল আলি ৷ সঞ্জীবের বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বিরুলিডাঙা গ্রামে ৷ কামাল ওই জেলারই কলোনি এলাকার বাসিন্দা ৷ ঘটনায় এক বাংলাদেশিকে ধরে ফেলেন জওয়ানরা ৷ ধৃতের নাম মহম্মদ কবির হোসেন ৷ বাড়ি সাহাপুর থানার কৃষ্ণসাদা গ্রামে ৷

আজ দুপুর পর্যন্ত কাউকে ঘটনাস্থানে যেতে দেননি জওয়ানরা ৷ স্থানীয়রা বলেন, "গতকাল মাঝরাতে গুলির আওয়াজ শোনা গেছে ৷ মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় রাতে গোলাগুলি চলে ৷ এলাকাটি বাংলাদেশি পাচারকারীদের মুক্তাঙ্গন বলে পরিচিত ৷ পুনর্ভবা পেরোলেই বাংলাদেশ ৷ এই এলাকা দিয়ে প্রায়ই গোরু পাচার হয়ে থাকে ৷ গোরুর গায়ে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে মহানন্দায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় ৷ ওপার থেকে সেই গোরু সংগ্রহ করে বাংলাদেশিরা ৷" তবে গতকালের ঘটনা পাচারকারীদের নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা ৷ তাঁদের অনুমান, "সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে এদেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বাংলাদেশি কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করেছিল ৷ BSF সজাগ থাকায় তাদের চেষ্টা সফল হয়নি ৷"

ধৃত মহম্মদ কবির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ দেহ দু'টিকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত BSF-র তরফে পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷

মালদা, 23 জানুয়ারি : BSF-এর গুলিতে মৃত্যু হল দু'জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর ৷ ধরা পড়েছে একজন ৷ ঘটনাটি হবিবপুর ব্লকের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের আংরাপোঁতা এলাকায় ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত BSF বা পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি ৷

গতকাল মাঝরাতে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করে কয়েকজন বাংলাদেশি ৷ তা দেখতে পেয়ে তাদের তাড়া করেন কর্মরত 159 নম্বর ব্যাটেলিয়নের কেদারিপাড়া BOP-র জওয়ানরা ৷ আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন ৷ কিন্তু, তা না মেনে জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে ৷ বাধ্য হয়ে পালটা গুলি চালান জওয়ানরা ৷ এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দু'জনের ৷

মৃত দুই ব্যক্তির নাম সঞ্জীব কুমার ও কামাল আলি ৷ সঞ্জীবের বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বিরুলিডাঙা গ্রামে ৷ কামাল ওই জেলারই কলোনি এলাকার বাসিন্দা ৷ ঘটনায় এক বাংলাদেশিকে ধরে ফেলেন জওয়ানরা ৷ ধৃতের নাম মহম্মদ কবির হোসেন ৷ বাড়ি সাহাপুর থানার কৃষ্ণসাদা গ্রামে ৷

আজ দুপুর পর্যন্ত কাউকে ঘটনাস্থানে যেতে দেননি জওয়ানরা ৷ স্থানীয়রা বলেন, "গতকাল মাঝরাতে গুলির আওয়াজ শোনা গেছে ৷ মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় রাতে গোলাগুলি চলে ৷ এলাকাটি বাংলাদেশি পাচারকারীদের মুক্তাঙ্গন বলে পরিচিত ৷ পুনর্ভবা পেরোলেই বাংলাদেশ ৷ এই এলাকা দিয়ে প্রায়ই গোরু পাচার হয়ে থাকে ৷ গোরুর গায়ে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে মহানন্দায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় ৷ ওপার থেকে সেই গোরু সংগ্রহ করে বাংলাদেশিরা ৷" তবে গতকালের ঘটনা পাচারকারীদের নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা ৷ তাঁদের অনুমান, "সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে এদেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বাংলাদেশি কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করেছিল ৷ BSF সজাগ থাকায় তাদের চেষ্টা সফল হয়নি ৷"

ধৃত মহম্মদ কবির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ দেহ দু'টিকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত BSF-র তরফে পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷

Intro:মালদা, ২৩ জানুয়ারি : প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে বিএসএফ-এর গুলিতে মৃত্যু হল দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর৷ ধরা পড়েছে আরও এক অনুপ্রবেশকারী৷ যদিও অসমর্থিত সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বেশি৷ এনিয়ে এখনও পর্যন্ত বিএসএফ কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশ সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেনি৷ ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর ব্লকের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দো-বাংলা সীমান্তের আংরাপোঁতা এলাকায়৷ আজ দুপুরে বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে মৃতদেহ দুটি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর তরফে পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷ দুপুর পর্যন্ত কাউকে ঘটনাস্থলেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি৷Body:         বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মাঝরাতে আংরাপোঁতা এলাকায় সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি৷ তা দেখতে পেয়ে তাদের তাড়া করেন প্রহরারত ১৫৯ নম্বর ব্যাটেলিয়নের কেদারিপাড়া বিওপির জওয়ানরা৷ তাঁরা প্রথমে বাংলাদেশিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন৷ কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে অনুপ্রবেশকারীরা বিএসএফ জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে৷ পালটা জবাব দেন জওয়ানরাও৷ এতেই বাংলাদেশিরা ফের সীমান্ত পেরিয়ে নিজেদের দেশে পালানোর চেষ্টা করে৷ সেই সময় জওয়ানদের গুলিতে দুই বাংলাদেশির মৃত্যু হয়৷ তাদের নাম সঞ্জীব কুমার ও কামাল আলি৷ সঞ্জীবের বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বিরুলিডাঙা গ্রামে৷ কামাল নওগাঁ জেলারই কলোনি এলাকার বাসিন্দা৷ তাড়া করে এক বাংলাদেশিকে ধরেও ফেলেন জওয়ানরা৷ ধৃতের নাম মহম্মদ কবির হোসেন৷ বাড়ি নওগাঁ জেলার সাহাপুর থানার কৃষ্ণসাদা গ্রামে৷
         গোটা ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে হবিবপুরের সীমান্ত এলাকায়৷ বিএসএফ-এর ভয়ে চুপ মেরে রয়েছে গ্রামবাসীরা৷ আজ দুপুর পর্যন্ত কাউকেই ঘটনাস্থলে যেতে দেয়নি সীমান্ত রক্ষীবাহিনী৷ গ্রামবাসীদের একাংশ জানিয়েছে, গতকাল মাঝরাতে প্রচুর গুলির আওয়াজ শোনা গিয়েছে৷ মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় রাতে গোলাগুলি চলে৷ এই এলাকাটি বাংলাদেশি পাচারকারীদের মুক্তাঙ্গন বলে পরিচিত৷ মহানন্দা নদী পেরোলেই বাংলাদেশ৷ এই এলাকা দিয়ে প্রায়শই গোরু পাচার হয়ে থাকে৷ গোরুর গায়ে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে মহানন্দায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়৷ ওপারে সেই গোরু নদী থেকে সংগ্রহ করে বাংলাদেশিরা৷ তবে গতকালের ঘটনায় তাদের অনুমান, এবার কোনও পাচারকারী নয়, প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এদেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বাংলাদেশি কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করেছিল৷ বিএসএফ সজাগ থাকায় তাদের চেষ্টা সফল হয়নি৷ গ্রামবাসীদের দাবি, গতকাল বিএসএফ-এর গুলিতে দু’জনের বেশি অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যু হয়েছে৷ সেই মৃতদেহগুলি বাংলাদেশিরাই কোনওভাবে সেদেশে টেনে নিয়ে গিয়েছে৷ Conclusion:         এই মুহূর্তে ধৃত কবির হোসেনকে দফায় দফায় জেরা করছেন বিএসএফ ও পুলিশ আধিকারিকরা৷ দুটি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে পুলিশ৷ দুটি দেহেরই পেটের দিকে নাড়িভুড়ি বেরিয়ে এসেছে৷ তাতে স্পষ্ট, বিএসএফ-এর গুলি তাদের শরীরের পিছনের অংশে লেগেছিল৷ গুলি পেট ফুঁড়ে সামনে দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর তরফে পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷ সেই অভিযোগ পেলে বিএসএফ-এর বক্তব্য পরিষ্কার হবে বলে মনে করছে পুলিশ৷
Last Updated : Jan 23, 2020, 9:29 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.