মালদা, 23 জানুয়ারি : BSF-এর গুলিতে মৃত্যু হল দু'জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর ৷ ধরা পড়েছে একজন ৷ ঘটনাটি হবিবপুর ব্লকের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্তের আংরাপোঁতা এলাকায় ৷ মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত BSF বা পুলিশের তরফে কিছু জানানো হয়নি ৷
গতকাল মাঝরাতে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে ঢোকার চেষ্টা করে কয়েকজন বাংলাদেশি ৷ তা দেখতে পেয়ে তাদের তাড়া করেন কর্মরত 159 নম্বর ব্যাটেলিয়নের কেদারিপাড়া BOP-র জওয়ানরা ৷ আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন ৷ কিন্তু, তা না মেনে জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে ৷ বাধ্য হয়ে পালটা গুলি চালান জওয়ানরা ৷ এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় দু'জনের ৷
মৃত দুই ব্যক্তির নাম সঞ্জীব কুমার ও কামাল আলি ৷ সঞ্জীবের বাড়ি বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার বিরুলিডাঙা গ্রামে ৷ কামাল ওই জেলারই কলোনি এলাকার বাসিন্দা ৷ ঘটনায় এক বাংলাদেশিকে ধরে ফেলেন জওয়ানরা ৷ ধৃতের নাম মহম্মদ কবির হোসেন ৷ বাড়ি সাহাপুর থানার কৃষ্ণসাদা গ্রামে ৷
আজ দুপুর পর্যন্ত কাউকে ঘটনাস্থানে যেতে দেননি জওয়ানরা ৷ স্থানীয়রা বলেন, "গতকাল মাঝরাতে গুলির আওয়াজ শোনা গেছে ৷ মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় রাতে গোলাগুলি চলে ৷ এলাকাটি বাংলাদেশি পাচারকারীদের মুক্তাঙ্গন বলে পরিচিত ৷ পুনর্ভবা পেরোলেই বাংলাদেশ ৷ এই এলাকা দিয়ে প্রায়ই গোরু পাচার হয়ে থাকে ৷ গোরুর গায়ে বিশেষ চিহ্ন দিয়ে মহানন্দায় ভাসিয়ে দেওয়া হয় ৷ ওপার থেকে সেই গোরু সংগ্রহ করে বাংলাদেশিরা ৷" তবে গতকালের ঘটনা পাচারকারীদের নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা ৷ তাঁদের অনুমান, "সাধারণতন্ত্র দিবসের আগে এদেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে বাংলাদেশি কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সীমান্ত পেরোনোর চেষ্টা করেছিল ৷ BSF সজাগ থাকায় তাদের চেষ্টা সফল হয়নি ৷"
ধৃত মহম্মদ কবির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ৷ দেহ দু'টিকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত BSF-র তরফে পুলিশের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ৷