মালদা, 10 অগস্ট: দুই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রতিবেশী দুই কিশোরের বিরুদ্ধে । মালদার গাজোল এলাকার ঘটনা ৷ এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন নাবালিকাদের মা । তাঁর অভিযোগ ভিত্তিতে দুই কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ নির্যাতিতারা বর্তমানে মালদা মেডিক্যালে চিকিত্সাধীন ৷ নির্যাতিতা দুই শিশুর এখনও শারীরিক পরীক্ষা করা হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক ।
নির্যাতিতা দুই শিশুর বয়স সাত ও চার বছর । তারা গাজোলের বাসিন্দা । জানা গিয়েছে, খাবারের লোভ দেখিয়ে রবিবার ওই দুই নাবালিকাকে নির্জন এলাকায় নিয়ে যায় ৷ সেখানেই তাদের উপর নির্যাতন করা হয় । পরদিন সমস্ত ঘটনা জানতে পেরে দুই মেয়েকে স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান মা। অভিযোগ, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর দু’জনকেই ছেড়ে দেওয়া হয় । মঙ্গলবার ফের শারীরিক পরীক্ষার জন্য দুই নির্যাতিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মালদা মেডিক্যালে রেফার করে দেওয়া হয় । বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন দুই বোন।
নির্যাতিতাদের মা বলেন, "আমার মেয়ে দুটো খেলছিল । সেই সময় খাবারের লোভ দেখিয়ে তাদের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় এলাকারই দুই কিশোর ৷ সেখানে দুই মেয়ের উপর নির্যাতন চালায়। মেয়েরা চিৎকার শুরু করলে তাদের মুখ গামছা দিয়ে চেপে দেওয়া হয় । তারা যেন বাড়িতে কাউকে বিষয়টি না-জানায় ৷ তার জন্য হুমকিও দেয় অভিযুক্তরা ৷ আমাকে সমস্ত ঘটনা জানাতেই আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি ।"
বৃহস্পতিবার নির্যাতিতা দুই নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী । তিনি বলেন, "মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দুই শিশুকন্যা ভর্তি হয়েছে । ওই দুই শিশু কন্যাকে একাধিক ব্যক্তি যৌন নির্যাতন করেছে । নির্যাতিতা দুই মেয়েকে নিয়ে তাদের মা রাতে স্থানীয় হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন । হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয় ৷ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় পরদিন আবার দুই মেয়েকে ওই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় চিকিৎসকরা দু’জনকেই মালদা মেডিক্যালে রেফার করে দেন ।"
আরও পড়ুন: মালদায় নারী নির্যাতন ! চার পুলিশ আধিকারিককে 'ক্লোজ' করলেন এসপি
গাজোল থানার তরফে জানানো হয়েছে, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই দুই কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে বৃহস্পতিবার তাদের জেলা জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ ঘটনা পুলিশি তদন্ত তদন্ত শুরু হয়েছে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে ৷