মালদা, 19 অক্টোবর: পড়ুয়ার আত্মহত্যার পেছনে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছিল । এরপর থেকেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে রাজ্য জুড়ে । বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়ে ও দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে এবার পথে নামল আদিবাসী পড়ুয়া ও শিক্ষকরা । ওই বিশ্ব বিদ্যালয়ে থাকাকালীন ব়্যাগিংয়ের শিকার কার হয়েছিল তাঁকেও ৷ এমনটা দাবি করেছেন এক শিক্ষক ।
গাজোলের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে । সেই ঘটনার প্রতিবাদে আজ আদিবাসী পড়ুয়ারা মালদার রথবাড়ি মোড়ে জমায়েত করে । সেখান থেকে মিছিলের মাধ্যমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে করতে পড়ুয়া ও শিক্ষকরা মালদা শহরে পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে এসে পৌঁছন । পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর একটি স্মারকলিপি অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের হাতে তুলে দেন পড়ুয়ারা ।
এ বিষয়ে ছাত্রী জ্যাসমিন বলেন, "ব়্যাগিংয়ের কারণে গাজোলের ওই পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে । কেন বার বার এ ধরণের ঘটনা ঘটছে, এর জবাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে । একজন পড়ুয়া বাইরে থকে পড়তে গিয়ে এভাবে হেনস্তার শিকার হবে এটা মেনে নেওয়া যায় না । পড়ুয়ারাও কতখানি আতঙ্কে থাকছে, যে তারা ব়্যাগিংয়ের প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছে না । রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির দিকে গুরুত্ব সহকারে নজর দেওয়া উচিৎ ।"
আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, ব়্যাগিংয়ের অভিযোগ পরিবারের
মালদা মহিলা মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক রতন মুর্মু বলেন, "মৃত পড়ুয়া সরাসরি আমার ছাত্র ছিল না । তবে যা শুনতে পেয়েছি, তাতে পরিবারের লোকেদের নিজের সমস্যার কথা জানিয়েছিল । আমি নিজের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার অভিজ্ঞতা থেকে জানি সেখানকার সংস্কৃতিটা কী ! বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কিছু একটা ঘটেছে এটা পুরোপুরি পরিষ্কার । আমরা পুরো ঘটনার তদন্তের দাবি করছি । আমি ওই বিশ্ব বিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমাকেও কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল । আমাকেও রাগিংয়ের শিকার হতে হয়েছিল । ব়্যাগিং বন্ধ করতে শিক্ষকদেরও খানিকটা এগিয়ে আসতে হবে ।"