মালদা, 17 জুলাই : চলছে বনমহোৎসব ৷ 14-21 জুলাই পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে পালিত হবে অরণ্য সপ্তাহ উদযাপন ৷ এই সপ্তাহে 20 হাজার গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে মালদা জেলা বন বিভাগ । গতকাল বিকেলে পুরনো মালদার নারায়ণপুরে অবস্থিত গভর্নমেন্ট মডেল স্কুলে এই উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যের (সেচ ও জল পরিবহণ এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর) প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন । উপস্থিত ছিলেন মালদা জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার, পুরনো মালদার বিডিও ইরফান হাবিব, মালদা জেলা বন বিভাগের আধিকারিক বি সিদ্ধার্থ-সহ অন্যরা ।
আরও পড়ুন : Digha Tourism : বাড়ল কড়াকড়ি, নির্দেশিকা না মানলে দিঘা গেটে নো এন্ট্রি
এদিন গাছের চারা রোপণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী সাবিনা বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে আজ মালদায় অরণ্য সপ্তাহের সূচনা করা হল । গভর্নমেন্ট মডেল স্কুলে বৃক্ষরোপণের মধ্যে দিয়ে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করা হল । প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে বৃক্ষরোপণ করতেই হবে ।" দিনে দিনে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বেড়ে চলেছে । তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী । এক সপ্তাহ ধরে গাছ লাগাতে হবে, বিষয়টা শুধু এমন নয়, কিন্তু গাছ লাগিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে, মানুষ তা ভুলে যায় । তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক সপ্তাহ সময়কাল নির্দিষ্ট করে দিয়েছে, যাতে মানুষ উৎসবের মধ্যে দিয়ে গাছ লাগায় । সমস্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে গাছের যোগ রয়েছে । বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমে যাচ্ছে । জনঘনত্ব বেড়ে চলেছে, এর সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে গাছ লাগানোর উপর জোর দেন সাবিনা ৷ তাঁর কথায়, "তাই সকলে একসঙ্গে গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে রক্ষা করতে হবে ।" সাবিনা আরও বলেন, "মালদা জেলা ভাঙন কবলিত । ভাঙন রোখার জন্য গাছ লাগানো প্রয়োজন । তবে অনেক জায়গায় মাটিতে বালি থাকার কারণে গাছ লাগানো যায় না ।" নদী পাড়ের যে সব জায়গায় গাছ লাগানো সম্ভব, বন দফতরের সহযোগিতায় সেই সব জায়গা চিহ্নিত করে গাছ লাগানো হবে । তবে গাছ লাগানোর পাশাপাশি মানুষকে সচেতন হতে হবে । সেই গাছটাকে বড়ো করে তোলার দায়িত্ব মানুষকে নিতে হবে বলে সবুজায়নের বার্তা দিয়েছেন মন্ত্রী ৷
মালদা জেলা বন দফতরের আধিকারিক বি সিদ্ধার্থ বলেন, "আজ এই স্কুলে দু'শোটি গাছ লাগানো হয়েছে । এই সপ্তাহে আমাদের 20 হাজার গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে । আজ এখান থেকে শিশুদের চারাগাছও বিলি করা হয়েছে । সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।"
সম্প্রতি বন দফতরকে না জানিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজে গাছ কাটা হলেও সেই গাছ কাটতে বন দফতরের অনুমতি নিতে হয় । বন দফতরের অনুমতি ছাড়া জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্যও গাছ কাটা যায় না ।"