মালদা, 8 জুন: তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যানের মৃত্যু ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ৷ বুধবার রাতেই মৃত্যু হয়েছে তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান শিবানন্দ শর্মার ৷ ঘটনার পরেই চার তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা । দোষীদের শাস্তির দাবিতে ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশবাহিনী । ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হবিবপুরের ঋষিপুর অঞ্চলে ।
গত 27 মে ঘটনার সূত্রপাত ৷ এদিনই আহত হয়েছিলেন হবিবপুর ব্লকের ঋষিপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শিবানন্দ শর্মা । প্রথমে মালদা মেডিক্যাল কলেজে ভরতি করা হলেও, পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । বুধবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর ।
এই ঘটনার পর গত 28 মে 4 তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন শিবানন্দবাবুর ভাই রমানন্দ শর্মা । পুলিশি অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার রাতে এলাকার চার তৃণমূল নেতা মিটিং করার জন্য শিবানন্দবাবুকে ডাকে । প্রায় তিন ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তাঁরা শিবানন্দবাবুর মোবাইলে ফোন করলে অন্যরা ফোন ধরে জানায়, তাঁরা শিবানন্দবাবুর সঙ্গে রয়েছে । কিছুক্ষণের মধ্যে তাঁরা বাড়ি ফিরে যাবে । আরও দেড় ঘণ্টা পর ফোন মারফত পরিবারের লোকেদের জানানো হয়, শিবানন্দবাবু দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন । তাঁকে মালদা মেডিক্যালে রেফার করা হয়েছে । এলাকার চার তৃণমূল নেতা শিবানন্দবাবুকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে ।
আরও পড়ুন: মানবিক জেলাশাসক, পাশে দাঁড়ালেন বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়া-সহ অসহায় পরিবারের
এই প্রসঙ্গেই জেলা তৃণমূল সভাপতি রহিম বক্সি বলেন, "দলীয় চেয়ারম্যান এলাকায় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন । ওনার মৃত্যুর এলাকার পাশাপাশি দলেরও ক্ষতি হয়েছে । আমরা ওনাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম । কিন্তু শেষ রক্ষা করা যায়নি । ওনার পরিবার যাতে কোনও সমস্যায় না পড়ে সেই চেষ্টা করছি আমরা । পরিবার লোকজন অভিযোগ করছে, পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে । পরিবারের এই অভিযোগ শুনে, আমিও তদন্তের কথা বলেছি । পরিবারের লোকজন যাতে একটা কর্মসংস্থান পান, সেই চেষ্টাও আমরা করছি ।"