মালদা, 15 সেপ্টেম্বর : কখনও নিজের ক্লাবের গণেশ পুজোয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) দুর্গা রূপে উপস্থাপিত করে বিতর্ক তৈরি করা, কখনও সেই পুজোর মঞ্চে রাতভর চটুল গান ও অশ্লীল নাচের ব্যবস্থা করে বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালা, আবার কখনও গরিব মানুষের সমস্যার কথা শুনে তাঁদের বাড়িতে ছুটে গিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া ৷ কারণ যাই হোক, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছেন মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান ৷ যে সময় তাঁর ক্লাবে অশ্লীল নাচ-গান নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা, নিন্দায় মুখর সুশীল সমাজ, ঠিক সেই সময়েই তিনি কোনও কিছুর তোয়াক্কা না করে এলাকার এক তৃণমূল নেতাকে সঙ্গে নিয়ে ছুটে গিয়েছেন রোগাক্রান্ত এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি ৷ নিজের পকেট থেকে ওই শ্রমিককে আর্থিক সাহায্য করার পাশাপাশি তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দ্রুত তৈরির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন বুলবুল ৷
আরও পড়ুন : Suvendu Adhikari : নন্দীগ্রামে বজ্রাঘাতে মৃতদের পরিবারকে 2 লক্ষ করে আর্থিক সাহায্য শুভেন্দুর
হরিশ্চন্দ্রপুরের কাউয়ামারি গ্রামের বাসিন্দা হাসান আলি ৷ বয়স 51 বছর ৷ দু’টি কিডনিই বিকল হতে বসেছে তাঁর ৷ শারীরিক সমস্যার কারণে এখন আর কাজ করতে পারেন না হাসান ৷ স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড তৈরি না হওয়ায় বঞ্চিত হতে হচ্ছে সরকারি সুবিধা থেকেও ৷ উপরন্তু পরিবারের সদস্যদের পেট চালাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁকে ৷ নিজের চিকিৎসা কীভাবে করাবেন, সেটাই ভেবে উঠতে পারছিলেন না হাসান ৷ তাই বেশ কয়েকবার বুলবুল খানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন তিনি ৷
গণেশপুজোর ব্যস্ততা মিটতেই হাসানের বাড়ি পৌঁছে যান বুলবুল ৷ সঙ্গে ছিলেন দলের অঞ্চল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্ত ৷ হাসানের সঙ্গে দেখা করে প্রাথমিকভাবে নিজের পকেট থেকেই পাঁচ হাজার টাকা তাঁর হাতে তুলে দেন বুলবুল ৷ হাসানের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড যাতে দ্রুত তৈরি হয়ে যায়, তা নিয়েও কথা বলেন বিডিও-র সঙ্গে।
এই প্রসঙ্গে বুলবুল বলেন, “হাসান আলি দীর্ঘদিন ধরে আমাকে ফোন করছেন ৷ কাজে ব্যস্ত থাকায় এতদিন আসতে পারিনি ৷ আজ এখানে এসে দেখলাম, হাসানের অবস্থা সত্যিই খারাপ ৷ ওঁর দু’টি কিডনিই বিকল হতে বসেছে ৷ এখানকার তৃণমূলের চেয়ারম্যান সঞ্জীব গুপ্তকে সঙ্গে নিয়ে এসেছি ৷ আমাকে সবসময় পাওয়া যাবে না ৷ সঞ্জীবই হাসানের সবকিছু দেখাশোনা করবেন ৷ ওঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেই ৷ এ নিয়ে বিডিও-র সঙ্গে কথা বলেছি ৷ আশা করছি, আগামিকালই তাঁর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হয়ে যাবে ৷ আর আমি যেটুকু পেরেছি, আজ ওঁকে আর্থিক সাহায্য করলাম ৷’’
আরও পড়ুন : Financial help : দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য রাজ্য সরকারের
হাসান আলি বলেন, “আমার দু’টি কিডনি বিকল হতে বসেছে ৷ টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছি না ৷ বুলবুল খানের কাছে আমি কিছু সাহায্য চেয়েছিলাম ৷ আজ তিনি এসেছিলেন ৷ তিনি আমাকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছেন ৷ আগামিকাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও পেয়ে যাব বলে জানিয়েছেন বুলবুল সাহেব ৷ এরপরও কোনও সমস্যা হলে তিনি পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন ৷’’