মালদা, 16 এপ্রিল : হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায় পিপলা গ্রাম সংলগ্ন 81 নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসের একটি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে (Illegal Land Occupy at Harishchandrapur) । ওই জমির মালিক অঞ্চল দাস অভিযোগ করেছিলেন, পুলিশের মদতে জাল দলিল তৈরি করে তাঁর সাড়ে নয় বিঘা জমি দখল করতে চাইছে তৃণমূল নেতা জগন্নাথ সরকার। পুলিশে অভিযোগ জানালে পুলিশ উলটে তাঁদের হেনস্তা করছে। বারবার তাঁকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই খবর ইটিভি ভারতে প্রকাশ হতেই শনিবার দখল হওয়া জমি পুনরুদ্ধারে যান হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তথা এলাকার তৃণমূল নেতা দ্রোণাচার্য বন্দ্যোপাধ্যায় (tmc leader ashamed of Illegal Land Occupy)।
তিনি বলেন, "মা-মাটি-মানুষ বলে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছিল। আজ মাটি দখল হচ্ছে। মানুষ জেলে থাকছে। এত দখলদারি ? এত টাকার লোভ ? নিজেকে তৃণমূল বলতে লজ্জা হচ্ছে। আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।" তিনি আরও বলেন, "দেখি কীভাবে গরিব মানুষের জমি দখল করে এরা। রায়তি সম্পত্তি, নিজের নামে রেকর্ড, সব রয়েছে ওই ব্যক্তির। তারপরেও কীভাবে দখল হয়? আমি বিষয়টি নিয়ে জেলা সভাপতি, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের কাছে যাব।"
এর পাশাপাশি তিনি বলেন,"আমি ঘটনাস্থলে এসেছি। সমস্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখেছি। পুরো জমি তৃণমূলের নেতারা ঘিরে দখল করে নিয়েছে। অথচ দেখা যাচ্ছে পুলিশ উলটে অঞ্চল দাসকে গ্রেফতার করেছে। এখন তিনি জেলে রয়েছেন। এখনকার তৃণমূল নেতারা পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় এসে লুটেপুটে খেয়ে সরকারকে বদনাম করছে। অঞ্চল দাসের জমি পুনরুদ্ধারের জন্য দোষীদের শাস্তির জন্য প্রয়োজনে ধরনা-অনশনে বসব।"
আরও পড়ুন : পুলিশের মদতে জমি হাতানোর চেষ্টার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
অঞ্চল দাসের ভাইপো কৌশিক দাস বলেন, "স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এসেছিলেন। ওঁকে সমস্ত নথি দেখিয়েছি। কাকার গ্রেফতারির জন্য আমরা আদালতে গিয়েছিলাম। এরই মধ্যে পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে দখল করা হয়েছে। ক্লাবের ছেলেদের টাকা দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে। পুলিশ আমাদের কোনও কথাই শুনছে না। কাগজ দেখালে তা দেখছে না। উলটে কাকাকে থানায় নিয়ে যাচ্ছে। এর আগেও এই জমি নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল। সেই সময় থেকে এই এলাকায় 144 ধারা জারি রয়েছে। তারপরেও ওরা লোকজন নিয়ে এসে জমি ঘিরে দখল করেছে। পঞ্চায়েত সদস্য আশ্বাস দিয়েছেন উনি আমাদের পাশে থাকবেন।"
ঘটনাপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, "কিছু লোক নিজের স্বার্থসিদ্ধি করার জন্য সাধারণ মানুষের জমি দখল করছে। আমাদের নেত্রী এসবকে প্রশ্রয় দেন না। বিষয়টি জেলাশাসক, পুলিশ সুপার দেখবেন। যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। দল কোনওভাবেই তাদের পাশে থাকবে না ৷"