মালদা, 14 এপ্রিল: পুলিশের মদতে দরিদ্র পরিবারের জমি হাতানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে (TMC leader accused of trying to grab land)। যদিও তৃণমূল নেতার দাবি, অভিযোগকারীর পূর্বপুরুষের থেকে তিনি ওই জমি কিনে নিয়েছেন। বাধা দিতে গিয়ে গ্রেফতার জমির মালিক। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা এলাকায় সাড়ে নয় বিঘা জমি রয়েছে অঞ্চল দাসের। সম্প্রতি সেই জমির পাশ দিয়ে 81 নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। স্বভাবতই সেই জমির দাম এখন আকাশছোঁয়া। অভিযোগ, জাল দলিল তৈরি করে পুলিশের মদতে সেই জমি হাতানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা জগন্নাথ সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশের উপস্থিতিতে এই জায়গা ঘেরার চেষ্টা করেন জগন্নাথবাবু। বাধা দিয়ে গিয়ে গ্রেফতার হন অঞ্চলবাবু । এদিকে, স্থানীয়দের কাছে জগন্নাথবাবু দাবি করেছেন, ওই জমি অঞ্চলবাবুর বাবা 1990 সালে তাঁর কাছে বিক্রি করেছেন।
অন্য়দিকে অঞ্চলবাবুর অভিযোগ, পুলিশের মদত নিয়ে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। পুলিশ বারবার এসে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। অন্য কোনও লোকজন কখনও হামলা করে না। যা করার সব পুলিশ করছে। পারিবারিক সূত্রে এখন এই জমি আমার।
চাঁচলের এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল জানান, অভিযোগ খতিয়ে না দেখে কিছু বলা যাবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
বিজেপির জেলা সম্পাদক কিসান কেডিয়া বলেন, "শুনলাম বাইপাস সংলগ্ন একটি দরিদ্র পরিবারের জমি তৃণমূলের নেতারা দখল করছে। পুরো জায়গা আগে চাষের জমি ছিল। এখন পাশ দিয়ে বাইপাস তৈরি হওয়ায় জায়গার দাম বেড়ে গিয়েছে । এরপরেই তৃণমূলের নেতাদের ওই জমির ওপর লোভ হয়। এই দরিদ্র পরিবার জমির দলিল দেখালেও ওদের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না। প্রশাসন যদি এভাবে তৃণমূলকে মদত দেয় তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় বিচার পাবে ৷ এই ব্যক্তি জমির কাগজ দেখাচ্ছে কিন্তু তৃণমূলের নেতারা জাল দলিল তৈরি করে পালটা কাগজ দেখাচ্ছে । প্রশাসন যাচাই করলেই সেই তথ্য উঠে আসবে।"
তৃণমূল নেতা তথা হরিশ্চন্দ্রপুর-1 পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ আদিত্য মিশ্র বলেন, "একটা ঘটনা ঘটেছে শুনলাম। কিন্তু তাতে কতটা সত্যতা আছে জানা নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে । আইন আইনের পথে চলবে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সরকার অন্যায়কে প্রশয় দেয় না। যদি কেউ অন্যায় করে তবে সে সাজা পাবে। দলিল জাল করার বিষয় আদালত বলবে।"