ETV Bharat / state

মালদায় 3 বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ, অভিযুক্তের বাড়ি ভাঙচুর - তিন বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ মালদা

তিন বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ । অভিযুক্ত গ্রামেরই এক যুবক । তবে অভিযুক্ত পলাতক ।

image
ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Nov 30, 2019, 5:55 PM IST

মালদা, 30 নভেম্বর : মালদায় তিন বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে । অভিযুক্ত পলাতক । হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের একটি গ্রামের ঘটনা ।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ । ওই নাবালিকার বাবা পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক ৷ কর্মসূত্রে তিনি বাইরে রয়েছেন ৷ বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং একমাত্র কন্যাসন্তান ৷ তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, “গ্রামের বাসিন্দা কণক রবিদাস জুতো সেলাই করে, বিয়েবাড়িতে বাজনা বাজায় ৷ আবার শীতের সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে লেপ-তোশক সেলাই করে, কাঁথা বানায় ৷ বৃহস্পতিবার সে আমাদের বাড়িতে কাঁথা বানাতে আসে ৷ আমি কণকের হেপাজতে মেয়েকে রেখে তার জন্য স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি আনতে যাই ৷ কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে দেখি, কণক সেখানে নেই ৷ মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ তার অবস্থা খুব খারাপ ৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাই৷ সেখানে চিকিৎসকরা মেয়েকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন ৷ কিন্তু টাকাপয়সাও হাতে না থাকায় আমি ওকে মালদায় নিয়ে যেতে পারিনি ৷ লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে কাউকে কিছু বলতেও পারিনি ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত গতকাল আমি সব ঘটনা প্রতিবেশীদের জানাই ৷ এরপরই এলাকার লোকজন আজ আমাকে থানায় নিয়ে আসে ৷ আমি আজ কণকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মেয়েকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ আমি ওর কঠোর শাস্তি চাই ৷”

আরও পড়ুন কালীঘাটে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক নাবালক

অন্যদিকে আজ গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত যুবককে না পেয়ে তার বাড়ি ভাঙচুর করে ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷ পাশাপাশি ওই নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিকেলে৷

মালদা, 30 নভেম্বর : মালদায় তিন বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গ্রামেরই এক যুবকের বিরুদ্ধে । অভিযুক্ত পলাতক । হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকের একটি গ্রামের ঘটনা ।

ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটে নাগাদ । ওই নাবালিকার বাবা পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক ৷ কর্মসূত্রে তিনি বাইরে রয়েছেন ৷ বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং একমাত্র কন্যাসন্তান ৷ তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, “গ্রামের বাসিন্দা কণক রবিদাস জুতো সেলাই করে, বিয়েবাড়িতে বাজনা বাজায় ৷ আবার শীতের সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে লেপ-তোশক সেলাই করে, কাঁথা বানায় ৷ বৃহস্পতিবার সে আমাদের বাড়িতে কাঁথা বানাতে আসে ৷ আমি কণকের হেপাজতে মেয়েকে রেখে তার জন্য স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি আনতে যাই ৷ কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে দেখি, কণক সেখানে নেই ৷ মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ তার অবস্থা খুব খারাপ ৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাই৷ সেখানে চিকিৎসকরা মেয়েকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন ৷ কিন্তু টাকাপয়সাও হাতে না থাকায় আমি ওকে মালদায় নিয়ে যেতে পারিনি ৷ লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে কাউকে কিছু বলতেও পারিনি ৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত গতকাল আমি সব ঘটনা প্রতিবেশীদের জানাই ৷ এরপরই এলাকার লোকজন আজ আমাকে থানায় নিয়ে আসে ৷ আমি আজ কণকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মেয়েকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ৷ আমি ওর কঠোর শাস্তি চাই ৷”

আরও পড়ুন কালীঘাটে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও এক নাবালক

অন্যদিকে আজ গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত যুবককে না পেয়ে তার বাড়ি ভাঙচুর করে ৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের তল্লাশি শুরু হয়েছে ৷ পাশাপাশি ওই নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিকেলে৷

Intro:মালদা, ৩০ নভেম্বর : রক্ষকই ভক্ষক৷ গ্রামেরই এক যুবকের দায়িত্বে নিজের তিন বছরের মেয়েকে রেখে গিয়েছিলেন মা৷ সুযোগ বুঝে সেই যুবক ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ এনিয়ে আজ পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ধর্ষিতা মেয়ের মা৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের একটি গ্রামে৷ যদিও ঘটনার পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্ত৷ তার খোঁজে শুরু হয়েছে পুলিশি তল্লাশি৷ এদিকে অভিযুক্তকে না পেয়ে আজ তার বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা৷Body:         ঘটনাটি ঘটেছে গত পরশু৷ ওই নাবালিকার বাবা পেশায় ভিন রাজ্যের শ্রমিক৷ কর্মসূত্রে তিনি বাইরে রয়েছেন৷ বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং একমাত্র কন্যাসন্তান৷ অভাবি পরিবারে তাঁর স্ত্রীও কখনও কখনও শ্রমিকের কাজ করেন৷ তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, “গ্রামেরই বাসিন্দা কণক রবিদাস৷ সে জুতো সেলাই করে, বিয়েবাড়িতে বাজনা বাজায়৷ আবার শীতের সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে লেপ-তোষক সেলাই করে, কাঁথা বানায়৷ গত পরশু সে আমাদের বাড়িতে আসে৷ কাঁথা বানাব কিনা জিজ্ঞেস করে৷ আমি তাকে কাঁথা বানাতে বলি৷ খানিক পর আমি কণকের হেপাজতে মেয়েকে রেখে তার জন্য স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি আনতে যাই৷ কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফিরে দেখি, কণক সেখানে নেই৷ মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷ তার অবস্থা খুব সঙ্গীন৷ মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে সে কিছু বলতে না পারলেও বুঝিয়ে দেয়, কণক তাকে ধর্ষণ করেছে৷ আমি সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাই৷ সেখানে চিকিৎসকরা মেয়েকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যেতে বলেন৷ কিন্তু আমার স্বামী এখানে না নেই৷ টাকাপয়সাও হাতে নেই৷ তাই আমি ওকে মালদা নিয়ে যেতে পারিনি৷ লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে কাউকে কিছু বলতেও পারিনি৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত গতকাল আমি সব ঘটনা প্রতিবেশীদের জানাই৷ এরপরেই এলাকার লোকজন আজ আমাকে নিয়ে থানায় আসে৷ আমি আজ কণকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে মেয়েকে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি৷ আমি ওর কঠোর শাস্তি চাই৷”
         গ্রামের বাসিন্দা অমিতকুমার মণ্ডল বলেন, “পরশুদিন বেলা তিনটে নাগাদ কণক মেয়েটির বাড়িতে কাঁথা সেলাই করতে গিয়েছিল৷ মেয়েটির মা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বাচ্চার জন্য খিচুড়ি আনতে গিয়েছিল৷ ফাঁকা পেয়ে কণক মেয়েটির সঙ্গে এই কুকর্ম করে৷ বাড়ি ফিরে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায় মা৷ চিকিৎসকরা মেয়েটিকে মালদা রেফার করে দেন৷ কিন্তু টাকার অভাবে মেয়েকে মালদা নিয়ে যেতে পারেনি তার মা৷ খবর পেয়ে আমরা নিজেরা তদন্ত করে দেখলাম, এটা খুব অন্যায় কাজ হয়েছে৷ তাই আজ আমরা স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে এসেছি৷ মেয়ের মা আজ কণকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে৷ তবে কণক এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে৷ আমরা তার ফাঁসি চাই৷” গ্রামের আরেক বাসিন্দা দেবাশিস সাহা বলেন, “এতটুকু বাচ্চার সঙ্গে এমন নৃশংস আচরণ আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না৷ আমরা কণকের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি৷”Conclusion:         এদিকে এদিন গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত যুবককে না পেয়ে তার বাড়ি ভাঙচুর করে৷ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে৷ তাকে গ্রেফতার করা হবেই৷ পাশাপাশি ওই নাবালিকাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে মালদা মেডিকেলে৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.