ETV Bharat / state

প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে দোকান খুললেও নেই খদ্দের , কোরোনার প্রভাবে ইদের বাজারে হতাশ ব্যবসায়ীরা

কোরোনার প্রভাবে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন ৷ ফলে ইদের আগে প্রবল সমস্যায় পড়ে ব্যবসায়ীরা ৷ কারণ, ইদে এই জেলার বাজার জমে ওঠে ৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল বিকেলে জেলার বণিকসভাকে জেলাশাসক জানিয়ে দেন , আজ সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা যাবে যে কোনও দোকান ৷ জেলাশাসকের অনুমোদন অনুযায়ী আজ সকাল থেকে মালদা শহরেও সব দোকানপাট খোলা হলেও খদ্দেরদের দেখা মিলল না ৷

author img

By

Published : May 22, 2020, 6:43 AM IST

Malda
মালদা

মালদা , 21 মে : দোকান খুললেও হতাশ ব্যবসায়ীরা ৷ ইদের বাজারে দোকানে খদ্দের নেই বললেই চলে ৷ এমনটা হওয়ারই ছিল ৷ মন্তব্য দোকানিদের ৷ তবে কোরোনা আবহের মধ্যে জেলা প্রশাসনের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না অনেকেই ৷ যদিও আজ প্রতিটি দোকানেই দেখা গিয়েছে, সমস্ত নিয়মবিধি মেনেই ক্রেতাদের দোকানে ঢোকানো হয়েছে ৷ প্রশাসনিক বিধি মেনে কেনাকাটা করেছে খদ্দেররাও ৷

কোরোনার প্রভাবে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন ৷ ফলে ইদের আগে প্রবল সমস্যায় পড়ে ব্যবসায়ীরা ৷ কারণ, ইদে এই জেলার বাজার জমে ওঠে ৷ বিশেষত বস্ত্র ও জুতোর ব্যবসায়ীদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ৷ ক্ষতি হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদেরও ৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল বিকেলে জেলার বণিকসভাকে জেলাশাসক জানিয়ে দেন , আজ সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা যাবে যে কোনও দোকান ৷ শুধুমাত্র শপিংমল ও খাবারের দোকানগুলি খোলা যাবে না ৷ খোলা যাবে সেলুনও ৷ জেলাশাসকের অনুমোদন অনুযায়ী আজ সকাল থেকে মালদা শহরেও সব দোকানপাট খুলেছে ৷ কিন্তু খদ্দের কোথায়?

মালদা শহরে কাপড়ের বড় ব্যবসায়ী দেবাশিস কুণ্ডু ৷ সকাল থেকে দোকান খুলেছেন তিনিও ৷ বললেন , “এতদিন পর দোকান খুলতে পেরে খুব ভালো লাগছে ৷ সরকারি নির্দেশিকা মেনেই আজ থেকে ব্যবসা শুরু করেছি ৷ দোকানের ভিতর শারীরিক দূরত্ব বিধি পুরোপুরি মেনে চলা হচ্ছে ৷ মাস্ক ছাড়া কোনও খদ্দেরকে দোকানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ দোকানে ঢোকার সময় প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং ও হাত স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে ৷ তবে ইদের ব্যবসা আর ঘুরে আসবে না ৷ ওই ব্যবসা এবারের মতো শেষ ৷ তবু যতটুকু ব্যবসা করা যায় ততটাই মঙ্গল ৷ দোকান খুলতে দেওয়ার জন্য সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি ৷”

ব্যবসায়ীদের মতে , ‘‘এবার ইদের বাজার কিছুতেই জমবে না ৷ একে হাতে আর মাত্র 4-5 টি দিন ৷ তার উপর আমফানের প্রভাবে আজ সকালে থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে ৷ প্রশাসন বাজার খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও এখনও জেলায় যানবাহন চালু হয়নি ৷ ফলে গ্রামের মানুষ শহরে আসতে পারছে না ৷ তার উপর প্রতিদিন জেলায় বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ মালদা শহরের দোরগোড়ায় কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে ৷ এতে মানুষের ভয় আরও বেড়েছে ৷ কেউ সহজে বাড়ি থেকে বের হতে চাইছে না ৷ সবচেয়ে বড় বিষয় , লকডাউনে সব স্তরের মানুষের হাতেই অর্থ কমেছে ৷ মধ্য ও নিম্নবিত্তদের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল ৷ অর্থনীতি কবে সুস্থির হবে কেউ জানে না ৷ এই পরিস্থিতিতে কাজ থাকবে কি না তা নিয়ে সবাই দোলাচলে ৷ এখন প্রত্যেকেই নিজের ভবিষ্যৎ চিন্তায় ব্যস্ত ৷ উৎসবে মেতে ওঠার পরিস্থিতিটাই নেই ৷ ফলে এখন পাঁচ শতাংশ ব্যবসাও হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে ৷’’

মালদা , 21 মে : দোকান খুললেও হতাশ ব্যবসায়ীরা ৷ ইদের বাজারে দোকানে খদ্দের নেই বললেই চলে ৷ এমনটা হওয়ারই ছিল ৷ মন্তব্য দোকানিদের ৷ তবে কোরোনা আবহের মধ্যে জেলা প্রশাসনের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না অনেকেই ৷ যদিও আজ প্রতিটি দোকানেই দেখা গিয়েছে, সমস্ত নিয়মবিধি মেনেই ক্রেতাদের দোকানে ঢোকানো হয়েছে ৷ প্রশাসনিক বিধি মেনে কেনাকাটা করেছে খদ্দেররাও ৷

কোরোনার প্রভাবে গোটা দেশজুড়ে লকডাউন ৷ ফলে ইদের আগে প্রবল সমস্যায় পড়ে ব্যবসায়ীরা ৷ কারণ, ইদে এই জেলার বাজার জমে ওঠে ৷ বিশেষত বস্ত্র ও জুতোর ব্যবসায়ীদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়তে হয় ৷ ক্ষতি হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদেরও ৷ শেষ পর্যন্ত গতকাল বিকেলে জেলার বণিকসভাকে জেলাশাসক জানিয়ে দেন , আজ সকাল সাতটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা যাবে যে কোনও দোকান ৷ শুধুমাত্র শপিংমল ও খাবারের দোকানগুলি খোলা যাবে না ৷ খোলা যাবে সেলুনও ৷ জেলাশাসকের অনুমোদন অনুযায়ী আজ সকাল থেকে মালদা শহরেও সব দোকানপাট খুলেছে ৷ কিন্তু খদ্দের কোথায়?

মালদা শহরে কাপড়ের বড় ব্যবসায়ী দেবাশিস কুণ্ডু ৷ সকাল থেকে দোকান খুলেছেন তিনিও ৷ বললেন , “এতদিন পর দোকান খুলতে পেরে খুব ভালো লাগছে ৷ সরকারি নির্দেশিকা মেনেই আজ থেকে ব্যবসা শুরু করেছি ৷ দোকানের ভিতর শারীরিক দূরত্ব বিধি পুরোপুরি মেনে চলা হচ্ছে ৷ মাস্ক ছাড়া কোনও খদ্দেরকে দোকানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ দোকানে ঢোকার সময় প্রত্যেকের থার্মাল স্ক্রিনিং ও হাত স্যানিটাইজ় করা হচ্ছে ৷ তবে ইদের ব্যবসা আর ঘুরে আসবে না ৷ ওই ব্যবসা এবারের মতো শেষ ৷ তবু যতটুকু ব্যবসা করা যায় ততটাই মঙ্গল ৷ দোকান খুলতে দেওয়ার জন্য সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি ৷”

ব্যবসায়ীদের মতে , ‘‘এবার ইদের বাজার কিছুতেই জমবে না ৷ একে হাতে আর মাত্র 4-5 টি দিন ৷ তার উপর আমফানের প্রভাবে আজ সকালে থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি চলছে ৷ প্রশাসন বাজার খোলার সিদ্ধান্ত নিলেও এখনও জেলায় যানবাহন চালু হয়নি ৷ ফলে গ্রামের মানুষ শহরে আসতে পারছে না ৷ তার উপর প্রতিদিন জেলায় বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৷ মালদা শহরের দোরগোড়ায় কোরোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে ৷ এতে মানুষের ভয় আরও বেড়েছে ৷ কেউ সহজে বাড়ি থেকে বের হতে চাইছে না ৷ সবচেয়ে বড় বিষয় , লকডাউনে সব স্তরের মানুষের হাতেই অর্থ কমেছে ৷ মধ্য ও নিম্নবিত্তদের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল ৷ অর্থনীতি কবে সুস্থির হবে কেউ জানে না ৷ এই পরিস্থিতিতে কাজ থাকবে কি না তা নিয়ে সবাই দোলাচলে ৷ এখন প্রত্যেকেই নিজের ভবিষ্যৎ চিন্তায় ব্যস্ত ৷ উৎসবে মেতে ওঠার পরিস্থিতিটাই নেই ৷ ফলে এখন পাঁচ শতাংশ ব্যবসাও হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.