মালদা, ৪ জুন : কর্মরত অবস্থায় মৃত্যু হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এক ভিলেজ পুলিশ ও এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের ৷ দু’জনেই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ৷ তাঁদের মৃত্যুতে বিপাকে পড়ে দুটি পরিবার ৷ দু’জনের স্ত্রীই থানার আইসির কাছে চাকরির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ৷ ছ’মাসের মধ্যে রাজ্যের অনুমোদনে চাকরি পেলেন ওই দুই মহিলা ৷ চাকরি পেয়ে তাঁরা অশেষ ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভিলেজ পুলিশ ছিলেন অলোক থোকদার ৷ ডিউটিরত অবস্থায় মাস ছয়েক আগে মারা যান তিনি ৷ তাঁর স্ত্রী বিউটি দাস থোকদার বলেন, “স্বামীর হঠাৎ মৃত্যুতে চোখে অন্ধকার দেখছিলাম ৷ দুই ছেলেকে কীভাবে মানুষ করব, বুঝে উঠতে পারছিলাম না ৷ পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তিনিই ছিলেন ৷ আমি আইসির কাছে চাকরি পাওয়ার জন্য লিখিত আবেদন করি ৷ শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতিতে আমার চাকরি হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই ৷”
২০১৯ সালে ভালুকায় ডিউটি করার সময় দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় সিভিক ভলেন্টিয়ার গৌতম ভগতের ৷ তাঁর স্ত্রী রীতা সাহা ভগতকেও সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি দেওয়া হয়েছে ৷ রীতাদেবী বলেন, “স্বামীই ছিলেন সংসারে একমাত্র উপার্জনকারী । আমার একটি মেয়ে আছে ৷ স্বামীর মৃত্যুর পর অথৈ জলে পড়ি ৷ আইসির কাছে চাকরির জন্য আবেদন জানাই ৷ লিখিত আবেদন জানাই রাজ্য সরকারকেও ৷ শেষ পর্যন্ত আমার আবেদনে সাড়া দিয়েছে রাজ্য সরকার ৷ আমার চাকরি হয়েছে ৷ এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ৷ আইসিও আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন ৷ তিনি না দাঁড়ালে আমার চাকরিটা হত না ৷ আইসি আমাকে আর্থিক দিক দিয়ে সাহায্য করেছেন ৷ তাঁর অবদান ভোলার নয় ৷”
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয়কুমার দাস বলেন, "রাজ্য সরকার আঘেই ঘোষণা করেছিল, রাজ্যের কোথাও কর্মরত কোনও ভিলেজ পুলিশ কিংবা ভলেন্টিয়ার মারা গেলে তাঁর পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে ৷ সেই মতো এই থানায় দুই প্রয়াত কর্মীর স্ত্রীরা চাকরি পেয়েছেন ৷ তাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন ৷ "