মালদা, 31 জুলাই : স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো থাকলেও চিকিৎসক-নার্স নেই ৷ ফলে বন্ধ হয়ে রয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা ৷ অভিযোগ এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিচ্ছেন স্থায়ী পদের সুইপার ৷
কোরোনা আবহে অবিলম্বে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোর পরিষেবা চালু করার দাবিতে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে আবেদন জানালেন হবিবপুর ব্লকের বাহাদুরপুর গ্রামের বাসিন্দারা ৷ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ৷
হবিবপুরের বৈদ্যপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাহাদুরপুরের রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ৷ ওই ব্লকের আকতোইল, জাজোল ও কানতুকার গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারাও এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল ৷ প্রথমদিকে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইনডোর পরিষেবা চালু না থাকলেও আউটডোর পরিষেবা চলত ৷ পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জন্য নতুন ভবন তৈরি করে, কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করে 2019 সালে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জরুরি পরিষেবা চালু করা হয় ৷ দুই জন চিকিৎসক, কয়েকজন নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে জরুরি পরিষেবা চলছিল ৷
স্থানীয়দের দাবি, প্রথমদিকে যথারীতি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিষেবা চলছিল ৷ পরবর্তীতে ব্লকে নতুন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আসার পরে তিনি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দুই চিকিৎসক ও নার্সদের বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন ৷ এরপর থেকেই বাহাদুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়৷ যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় বাহাদুরপুর সহ পাশাপাশি তিনটি অঞ্চলের বাসিন্দাদের ৷ এলাকায় পাকা রাস্তা না থাকায় রোগীদের বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জরুরি পরিষেবা ফের চালু করার জন্য ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে একাধিকবার জানানো হয়েছে ৷ কিন্তু কোনও ফল না মেলায় বাধ্য হয়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের শরণাপন্ন হয়েছেন ৷
ওই এলাকার এক বাসিন্দা বধূ অধিকারী বলেন, “আগে বাহাদুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইনডোর পরিষেবা চালু ছিল ৷ লকডাউনের আগে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ইনডোর পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায় ৷ বর্তমানে যিনি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রয়েছেন তিনি, বাহাদুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক, নার্সদের বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে স্থানান্তর করে দেন ৷ ফলে বাহাদুরপুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইনডোর পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়৷ আমরা বাহাদুরপুর এলাকার গরীব মানুষ৷ ওই এলাকার লক্ষাধিক মানুষ বাহাদুরপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল ৷ বর্তমানে রোগীদের বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হচ্ছে ৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই রাস্তায় বহু রোগী মারা যাচ্ছেন ৷ আমরা চাইছি বাহাদুরপুরের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পুনরায় ইনডোর পরিষেবা চালু হোক৷ ইতিমধ্যে আমরা পঞ্চায়েত সমিতি, BDO অফিসে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ইনডোর পরিষেবা চালু করার দাবি জানিয়েছি৷’’
ঘটনাপ্রসঙ্গে হবিবপুর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক পুনিতা সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি৷ তবে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন৷