ETV Bharat / state

ওপার বাংলায় মাদক পাঠিয়ে এপারে আনা হচ্ছে জালনোট !

নোটবন্দির পর কিছুদিন চুপচাপ ছিল জালনোট কারবারীরা ৷ কিন্তু খানিকটা সময় গড়াতেই তারা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ এবার শুধুমাত্র গোলাপি রং-এর দু’হাজারি নোট নয়, বাজার ছেয়ে যাচ্ছে 500, 200, এমনকি 50 টাকার জালনোটেও ৷

জালনোট
author img

By

Published : Nov 16, 2019, 7:17 PM IST

মালদা, 16 নভেম্বর : 72 ঘণ্টায় সাড়ে 36 লাখ ৷ টাকার অঙ্কটা নেহাত কম নয় ৷ জালনোট উদ্ধারের ক্ষেত্রে এই হিসাব ভাবাচ্ছে মালদা জেলা পুলিশকে ৷ শুধু তাই নয়, জালনোট কারবারের নতুন নকশায় চিন্তার ভাঁজ আরও গাঢ় হয়েছে পুলিশের ৷ আর টাকার বদলে টাকা নয় ৷ জাল নোটের কারবারে শুরু হয়েছে বিনিময় প্রথা ৷ তার প্রমাণও পেয়েছে জেলা পুলিশ ৷

fake currency
উদ্ধার হওয়া 2000 টাকার জালনোট

মালদা জেলার ভৌগোলিক অবস্থান বাংলাদেশ ও ভারতীয় পাচারকারীদের পক্ষে অত্যন্ত অনুকূল ৷ এই জেলার একদিকে যেমন রয়েছে 172 কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্ত, তেমনই রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত ৷ বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কিছু অংশে রয়েছে নদী ৷ তার মধ্যে রয়েছে গঙ্গাও ৷ গঙ্গার একাধিক চরে জনমানবের অস্তিত্ব নেই ৷ ফলে সেই চরগুলি পাচারকারীদের গা ঢাকা দেওয়ার নিরাপদ জায়গা ৷ সবচেয়ে বড়ো বিষয়, এই জেলা থেকে গোটা ভারতে যোগাযোগের সড়ক ও রেল পরিবহণও ভালো ৷ সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এই জেলা আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্য হিসাবে বিবেচিত ৷ দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে মালদা জেলার পরিচিতি জালনোট কারবারের হাব হিসাবে ৷

নোটবন্দির পর কিছুদিন চুপচাপ ছিল জালনোট কারবারীরা ৷ কিন্তু খানিকটা সময় গড়াতেই তারা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ এবার শুধুমাত্র গোলাপি রং-এর দু’হাজারি নোট নয়, বাজার ছেয়ে যাচ্ছে 500, 200, এমনকি 50 টাকার জালনোটেও ৷ সাম্প্রতিককালে মালদা জেলা পুলিশ বহু জালনোট উদ্ধার করেছে ৷ গতকাল কালিয়াচকের সুজাপুরে হানা দিয়ে 20 লাখ টাকার জালনোট সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ৷ এই দুই পাচারকারীকে জেরা করে পুলিশ যা জানতে পেরেছে, তাতে চোখ কপালে উঠেছে সবার৷ সামনে এসেছে পাচারকারীদের নয়া নকশা ৷

fake currency
উদ্ধার হওয়া জালনোট
পুলিশ সূত্রে খবর, এখন টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে জালনোট আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছে দুই দেশের পাচারকারীরা ৷ তাদের মধ্যে এনিয়ে চুক্তিও হয়েছে ৷ সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে জালনোট আমদানি করতে হলে সেদেশে পাঠাতে হবে মাদক ৷ সেই মাদক হেরোইন, ব্রাউন সুগার কিংবা হাল আমলের ইয়াবা ট্যাবলেট হতে পারে ৷ তবে চুক্তির প্রথম শর্ত, জালনোটের আসল দাম নির্ধারণ করে সেই টাকার মাদক প্রথমে ওপারে পাঠাতে হবে ৷ তারপরেই ওপার থেকে আসবে জালনোট ৷ একই সঙ্গে দু'টি কাজ চলবে ৷ কাঁটাতারের এপার থেকে মাদকের প্যাকেট ওপারে ছুড়ে ফেললেই ওপারে থাকা বাংলাদেশি চোরাকারবারীরা সেই প্যাকেট খুলে দেখবে ৷ সঙ্গে সঙ্গে সেই মাদকের ওজন করা হবে ৷ তারপর সঙ্গে সঙ্গে ওপার থেকে এপারে ছুড়ে ফেলা হবে জালনোটের প্যাকেট ৷ দু’পারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়াকড়ি থাকলে রাতের বদলে এই কাজ হবে দিনে ৷

দুই দেশের পাচারকারীদের নতুন এই নকশা ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে ৷ পুলিশের একাংশের বক্তব্য, এক্ষেত্রে পুলিশের চাপ আরও বাড়বে ৷ সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ দিনাজপুর ও দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচারের আগে ধরা পড়েছে ৷ সেই সব ঘটনাতেও জাল নোট জড়িয়ে রয়েছে কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তবে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, জালনোটের ব্যবসা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর তাঁরা ৷ তাঁদের প্রধান লক্ষ্য, জালনোট কারবারের মূলচক্রী ও মজুতদারদের গ্রেপ্তার করা ৷ এই কারবারে কোনও মহিলা জড়িয়ে থাকলে রেয়াত করা হবে না তাদেরও ৷ তাঁরা জানতে পেরেছেন, এই জেলার বহু মহিলাও এই কারবারে জড়িয়ে পড়েছে ৷ চক্রে জড়িয়ে পড়েছে কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও ৷

মালদা, 16 নভেম্বর : 72 ঘণ্টায় সাড়ে 36 লাখ ৷ টাকার অঙ্কটা নেহাত কম নয় ৷ জালনোট উদ্ধারের ক্ষেত্রে এই হিসাব ভাবাচ্ছে মালদা জেলা পুলিশকে ৷ শুধু তাই নয়, জালনোট কারবারের নতুন নকশায় চিন্তার ভাঁজ আরও গাঢ় হয়েছে পুলিশের ৷ আর টাকার বদলে টাকা নয় ৷ জাল নোটের কারবারে শুরু হয়েছে বিনিময় প্রথা ৷ তার প্রমাণও পেয়েছে জেলা পুলিশ ৷

fake currency
উদ্ধার হওয়া 2000 টাকার জালনোট

মালদা জেলার ভৌগোলিক অবস্থান বাংলাদেশ ও ভারতীয় পাচারকারীদের পক্ষে অত্যন্ত অনুকূল ৷ এই জেলার একদিকে যেমন রয়েছে 172 কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্ত, তেমনই রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত ৷ বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কিছু অংশে রয়েছে নদী ৷ তার মধ্যে রয়েছে গঙ্গাও ৷ গঙ্গার একাধিক চরে জনমানবের অস্তিত্ব নেই ৷ ফলে সেই চরগুলি পাচারকারীদের গা ঢাকা দেওয়ার নিরাপদ জায়গা ৷ সবচেয়ে বড়ো বিষয়, এই জেলা থেকে গোটা ভারতে যোগাযোগের সড়ক ও রেল পরিবহণও ভালো ৷ সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এই জেলা আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্য হিসাবে বিবেচিত ৷ দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে মালদা জেলার পরিচিতি জালনোট কারবারের হাব হিসাবে ৷

নোটবন্দির পর কিছুদিন চুপচাপ ছিল জালনোট কারবারীরা ৷ কিন্তু খানিকটা সময় গড়াতেই তারা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে ৷ এবার শুধুমাত্র গোলাপি রং-এর দু’হাজারি নোট নয়, বাজার ছেয়ে যাচ্ছে 500, 200, এমনকি 50 টাকার জালনোটেও ৷ সাম্প্রতিককালে মালদা জেলা পুলিশ বহু জালনোট উদ্ধার করেছে ৷ গতকাল কালিয়াচকের সুজাপুরে হানা দিয়ে 20 লাখ টাকার জালনোট সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ৷ এই দুই পাচারকারীকে জেরা করে পুলিশ যা জানতে পেরেছে, তাতে চোখ কপালে উঠেছে সবার৷ সামনে এসেছে পাচারকারীদের নয়া নকশা ৷

fake currency
উদ্ধার হওয়া জালনোট
পুলিশ সূত্রে খবর, এখন টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে জালনোট আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছে দুই দেশের পাচারকারীরা ৷ তাদের মধ্যে এনিয়ে চুক্তিও হয়েছে ৷ সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে জালনোট আমদানি করতে হলে সেদেশে পাঠাতে হবে মাদক ৷ সেই মাদক হেরোইন, ব্রাউন সুগার কিংবা হাল আমলের ইয়াবা ট্যাবলেট হতে পারে ৷ তবে চুক্তির প্রথম শর্ত, জালনোটের আসল দাম নির্ধারণ করে সেই টাকার মাদক প্রথমে ওপারে পাঠাতে হবে ৷ তারপরেই ওপার থেকে আসবে জালনোট ৷ একই সঙ্গে দু'টি কাজ চলবে ৷ কাঁটাতারের এপার থেকে মাদকের প্যাকেট ওপারে ছুড়ে ফেললেই ওপারে থাকা বাংলাদেশি চোরাকারবারীরা সেই প্যাকেট খুলে দেখবে ৷ সঙ্গে সঙ্গে সেই মাদকের ওজন করা হবে ৷ তারপর সঙ্গে সঙ্গে ওপার থেকে এপারে ছুড়ে ফেলা হবে জালনোটের প্যাকেট ৷ দু’পারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়াকড়ি থাকলে রাতের বদলে এই কাজ হবে দিনে ৷

দুই দেশের পাচারকারীদের নতুন এই নকশা ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে ৷ পুলিশের একাংশের বক্তব্য, এক্ষেত্রে পুলিশের চাপ আরও বাড়বে ৷ সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ দিনাজপুর ও দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচারের আগে ধরা পড়েছে ৷ সেই সব ঘটনাতেও জাল নোট জড়িয়ে রয়েছে কি না তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ তবে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, জালনোটের ব্যবসা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর তাঁরা ৷ তাঁদের প্রধান লক্ষ্য, জালনোট কারবারের মূলচক্রী ও মজুতদারদের গ্রেপ্তার করা ৷ এই কারবারে কোনও মহিলা জড়িয়ে থাকলে রেয়াত করা হবে না তাদেরও ৷ তাঁরা জানতে পেরেছেন, এই জেলার বহু মহিলাও এই কারবারে জড়িয়ে পড়েছে ৷ চক্রে জড়িয়ে পড়েছে কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও ৷

Intro:মালদা, ১৬ নভেম্বর : ৭২ ঘণ্টায় সাড়ে ৩৬ লাখ৷ টাকার অংকটা নেহাত কম নয়৷ জাল নোট উদ্ধারের ক্ষেত্রে এই হিসাব ভাবাচ্ছে জেলা পুলিশকে৷ শুধু তাই নয়, জাল নোট কারবারের নতুন নকশায় চিন্তার ভাঁজ আরও গাঢ় হয়েছে পুলিশের৷ আর টাকার বদলে টাকা নয়৷ জাল নোটের কারবারে শুরু হয়েছে বিনিময় প্রথা৷ তার প্রমাণও পেয়েছে জেলা পুলিশ৷Body:         মালদা জেলার ভৌগলিক অবস্থান বাংলাদেশ ও ভারতীয় পাচারকারীদের পক্ষে অত্যন্ত অনুকূল৷ এই জেলার একদিকে যেমন রয়েছে ১৭২ কিলোমিটার বাংলাদেশ সীমান্ত, তেমনই রয়েছে বিহার ও ঝাড়খণ্ড সীমান্ত৷ বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কিছু অংশে রয়েছে নদী৷ তার মধ্যে রয়েছে গঙ্গাও৷ গঙ্গার একাধিক চরে জনমানবের অস্তিত্ব নেই৷ ফলে সেই চরগুলি পাচারকারীদের গা ঢাকা দেওয়ার নিরাপদ জায়গা৷ সবচেয়ে বড়ো বিষয়, এই জেলা থেকে গোটা ভারতে যোগাযোগের সড়ক ও রেল পরিবহণও বেশ ভালো৷ সেই কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এই জেলা আন্তর্জাতিক চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্য হিসাবে বিবেচিত৷ দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে মালদা জেলার পরিচিতি জাল নোট কারবারের হাব হিসাবে৷
         নোটবন্দির পর কিছুদিন চুপচাপ ছিল জাল নোট কারবারীরা৷ কিন্তু খানিকটা সময় গড়াতেই তারা ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ এবার শুধুমাত্র গোলাপি রং-এর দু’হাজারি নোট নয়, বাজার ছেয়ে যাচ্ছে ৫০০, ২০০, এমনকি ৫০ টাকার জাল নোটেও৷ সাম্প্রতিককালে মালদা জেলা পুলিশ তেমন বহু জাল নোট উদ্ধার করেছে৷ গতকাল কালিয়াচকের সুজাপুরে হানা দিয়ে ২০ লক্ষ টাকার জাল নোট সহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ৷ এই দুই পাচারকারীকে জেরা করে পুলিশ যা জানতে পেরেছে, তাতে চোখ কপালে উঠেছে সবার৷ সামনে এসেছে পাচারকারীদের নয়া নকশা৷
         পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখন টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশ থেকে জাল নোট আমদানি করা বন্ধ করে দিয়েছে দুই দেশের পাচারকারীরা৷ তাদের মধ্যে এনিয়ে চুক্তিও হয়েছে৷ সেই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে জাল নোট আমদানি করতে হলে সেদেশে পাঠাতে হবে মাদক৷ সেই মাদক হেরোইন, ব্রাউন সুগার কিংবা হাল আমলের ইয়াবা ট্যাবলেট হতে পারে৷ তবে চুক্তির প্রথম শর্ত, জাল নোটের আসল দাম নির্ধারণ করে সেই টাকার মাদক প্রথমে ওপারে পাঠাতে হবে৷ তারপরেই ওপার থেকে আসবে জাল নোট৷ একই সঙ্গে দুটি কাজ চলবে৷ কাঁটাতারের এপার থেকে মাদকের প্যাকেট ওপারে ছুড়ে ফেললেই ওপারে থাকা বাংলাদেশি চোরাকারবারীরা সেই প্যাকেট খুলে দেখবে৷ সঙ্গে সঙ্গে সেই মাদকের ওজন করা হবে৷ তারপর সঙ্গে সঙ্গে ওপার থেকে এপারে ছুড়ে ফেলা হবে জাল নোটের প্যাকেট৷ দু’পারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কড়াকড়ি থাকলে রাতের বদলে এই কাজ হবে দিনে৷Conclusion:         দুই দেশের পাচারকারীদের নতুন এই নকশা ভাবিয়ে তুলেছে পুলিশকে৷ পুলিশের একাংশের বক্তব্য, এক্ষেত্রে পুলিশের চাপ আরও বাড়বে৷ সাম্প্রতিককালে দক্ষিণ দিনাজপুর ও দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর ইয়াবা ট্যাবলেট বাংলাদেশে পাচারের আগে ধরা পড়েছে৷ সেই সব ঘটনাতেও জাল নোট জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, জাল নোটের ব্যবসা বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর তাঁরা৷ তাঁদের প্রধান লক্ষ্য, জাল নোট কারবারের পাণ্ডা ও মজুতদারদের গ্রেফতার করা৷ এই কারবারে কোনও মহিলা জড়িয়ে থাকলে রেয়াত করা হবে না তাদেরও৷ তাঁরা জানতে পেরেছেন, এই জেলার বহু মহিলাও এই কারবারে জড়িয়ে পড়েছে৷ এই চক্রে জড়িয়ে পড়েছে কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.