ETV Bharat / state

সামাজিক বয়কটের শিকার হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা, জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ

কোরোনা বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে সামাজিক বাধার মুখে স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ নিজেদের সমস্যা জানালেন মালদা মেডিকেলের অধ্যক্ষকে ৷

malda
malda
author img

By

Published : Jun 19, 2020, 6:32 AM IST

মালদা, 18 জুন : কোরোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসা করতে গিয়ে সামাজিক বাধার মুখে পড়ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ প্রত্যেক জায়গায় তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে৷ বেশ কয়েকজন কোরোনা যোদ্ধাদের ইতিমধ্যেই বাড়ি ছাড়ার জন্য প্রতিবেশীদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন৷ এমনকি তাঁদের বাড়ির কাজের লোকজনও সামাজিক বয়কটের শিকার হচ্ছেন৷

বিশেষ করে কোভিড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারগুলিতে কর্মরতদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে হচ্ছে৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই এনিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল জেলার স্বাস্থ্যমহলে৷ আজ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের সমস্যার কথা জানালেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ তবে তাঁরা সেই ছবি সংবাদমাধ্যমকে তুলতে দেননি৷ নিজেরাও সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে আসেননি৷ তাঁদের বক্তব্য, কোনওরকমে সংবাদমাধ্যমে ছবি বেরোলে শুধু তাঁদের নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও সমস্যার মুখে পড়তে হবে৷

কোরোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে যাঁরা লড়াই করে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ দেশে সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷ এর আগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে৷ সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে৷ মালদা জেলায় এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে মানুষের সরাসরি সংঘাতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি৷ কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীরা যে পদে পদে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল৷ শহরের একটি ফ্ল্যাটে এক নার্সকে সেখানকার বাসিন্দারা জানান, যতদিন কোরোনা থাকছে, ততদিন যেন তিনি ফ্ল্যাটে বসবাস না করেন৷ যদিও এনিয়ে কোনও অভিযোগ না থাকায় কিংবা ওই নার্স মুখ না খোলায় বিষয়টির সত্যতা জানা যায়নি৷ তবে আজ এমনই সমস্যায় পড়া বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী মালদা মেডিকেলের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন৷

মালদা মেডিকেলের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছুটা সামাজিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে৷ বিশেষত তাঁদের বাসস্থানের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে৷ তাঁদের অনেকেই সামাজিক বয়কট কিংবা কটুক্তির শিকার হচ্ছেন৷ এনিয়ে আজ তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন৷ আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি৷ গোটা বিষয়টি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকেও জানানো হচ্ছে৷"

তিনি আরও জানান, "তবে এসবের জন্য আমাদের কাজ বন্ধ হয়ে নেই৷ সব জায়গায় স্বাভাবিকভাবে কাজ চলছে৷ সবার মনে রাখা উচিত, কোরোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীরা সামনের সারিতে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন৷ তাঁদের জন্যই কোরোনা সংক্রমিতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন৷ সংক্রামিতদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাচ্ছে৷ স্বাস্থ্যকর্মীরাও মানুষ৷ তাঁরা মানুষের জন্যই কাজ করে চলেছেন ৷"

মালদা, 18 জুন : কোরোনা সংক্রমিতদের চিকিৎসা করতে গিয়ে সামাজিক বাধার মুখে পড়ছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ প্রত্যেক জায়গায় তাঁদের সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে৷ বেশ কয়েকজন কোরোনা যোদ্ধাদের ইতিমধ্যেই বাড়ি ছাড়ার জন্য প্রতিবেশীদের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন৷ এমনকি তাঁদের বাড়ির কাজের লোকজনও সামাজিক বয়কটের শিকার হচ্ছেন৷

বিশেষ করে কোভিড হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারগুলিতে কর্মরতদের এই সমস্যায় বেশি পড়তে হচ্ছে৷ বেশ কয়েকদিন ধরেই এনিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছিল জেলার স্বাস্থ্যমহলে৷ আজ মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের সমস্যার কথা জানালেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ তবে তাঁরা সেই ছবি সংবাদমাধ্যমকে তুলতে দেননি৷ নিজেরাও সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে আসেননি৷ তাঁদের বক্তব্য, কোনওরকমে সংবাদমাধ্যমে ছবি বেরোলে শুধু তাঁদের নয়, তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরও সমস্যার মুখে পড়তে হবে৷

কোরোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে যাঁরা লড়াই করে যাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা৷ দেশে সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নানাবিধ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে৷ এর আগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্বাস্থ্যকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে৷ সেই ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে৷ মালদা জেলায় এখনও পর্যন্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে মানুষের সরাসরি সংঘাতের খবর এখনও পাওয়া যায়নি৷ কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীরা যে পদে পদে সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন, তা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল৷ শহরের একটি ফ্ল্যাটে এক নার্সকে সেখানকার বাসিন্দারা জানান, যতদিন কোরোনা থাকছে, ততদিন যেন তিনি ফ্ল্যাটে বসবাস না করেন৷ যদিও এনিয়ে কোনও অভিযোগ না থাকায় কিংবা ওই নার্স মুখ না খোলায় বিষয়টির সত্যতা জানা যায়নি৷ তবে আজ এমনই সমস্যায় পড়া বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী মালদা মেডিকেলের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের পরিস্থিতির কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ দাবি করেন৷

মালদা মেডিকেলের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায় বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের কিছুটা সামাজিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে৷ বিশেষত তাঁদের বাসস্থানের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে৷ তাঁদের অনেকেই সামাজিক বয়কট কিংবা কটুক্তির শিকার হচ্ছেন৷ এনিয়ে আজ তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন৷ আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি৷ গোটা বিষয়টি জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকেও জানানো হচ্ছে৷"

তিনি আরও জানান, "তবে এসবের জন্য আমাদের কাজ বন্ধ হয়ে নেই৷ সব জায়গায় স্বাভাবিকভাবে কাজ চলছে৷ সবার মনে রাখা উচিত, কোরোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীরা সামনের সারিতে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন৷ তাঁদের জন্যই কোরোনা সংক্রমিতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন৷ সংক্রামিতদের দ্রুত চিহ্নিত করা যাচ্ছে৷ স্বাস্থ্যকর্মীরাও মানুষ৷ তাঁরা মানুষের জন্যই কাজ করে চলেছেন ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.