ETV Bharat / state

পরিবার মৃতদেহ সৎকারের পর জানতে পারে মৃত কোরোনা আক্রান্ত, উত্তেজনা মালদার শর্বরীতে

author img

By

Published : Jul 23, 2020, 2:27 AM IST

কোরোনা উপসর্গ থাকায় ওই প্রৌঢ়ের শেষকৃত্যে অংশ নেননি এলাকার মানুষজন ৷ শুধুমাত্র পরিবারের 9 সদস্য তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নেন ৷ গতকাল রাতে মৃত ব্যক্তির লালারসের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৷ এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে শর্বরী এলাকায় ৷ কার্যত সামাজিক বয়কটের মুখে মৃতের পরিবারের সদস্যরা ৷ যদিও এনিয়ে পুলিশ, প্রশাসন কিংবা পৌর কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ৷

image
মালদা

মালদা, 22 জুলাই : কোরোনা উপসর্গ নিয়ে গত রবিবার মালদা মেডিকেলে ভরতি করা হয়েছিল এক প্রৌঢ়কে ৷ 57 বছর বয়সী ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি পুরাতন মালদা পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের শর্বরী এলাকায় ৷ তিনি একজন রেলকর্মী ছিলেন ৷ সোমবার মেডিকেলের সারি ওয়ার্ডে মারা যান তিনি ৷ মেডিকেলের পক্ষ থেকে সেদিনই তাঁর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে ৷ যদিও কোরোনা উপসর্গ থাকায় তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নেননি এলাকার মানুষজন ৷ শুধুমাত্র পরিবারের 9 সদস্য তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নেন ৷ গতকাল রাতে মৃত ব্যক্তির লালারসের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৷ এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে শর্বরী এলাকায় ৷ কার্যত সামাজিক বয়কটের মুখে মৃতের পরিবারের সদস্যরা ৷ যদিও এনিয়ে পুলিশ, প্রশাসন কিংবা পৌর কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ৷ আজ পৌরসভার পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির বাড়ির সামনের অংশ স্যানিটাইজ় করা হয়েছে ৷

এই ঘটনায় শর্বরী এলাকার বাসিন্দা গোপী দত্ত বলেন, “এই ঘটনায় 4 ও 5 নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন ভয়ে নিজেদের গৃহবন্দী করে ফেলেছে ৷ পাড়ার এক বাসিন্দা কোরোনা উপসর্গ নিয়ে গত সোমবার মালদা মেডিকেলে মারা যান ৷ মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নাকি জানিয়েছিল, তিনি কোরোনা নেগেটিভ ৷ তাঁর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ৷ সৎকারও করা হয় ৷ পরদিন আমরা জানতে পারি, ওই ব্যক্তি কোরোনা পজিটিভ ছিলেন ৷ আমাদের প্রশ্ন, এমন মৃতদেহ মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ছাড়ল কেন? এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের গাফিলতি রয়েছে বলে আমরা মনে করছি ৷ আমরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করছি ৷ ওই ব্যক্তির সৎকারে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের কাছে আমাদের আবেদন, তাঁরা যেন বাড়ি থেকে না বেরোন ৷ তাঁর সমস্ত প্রয়োজন আমরাই মেটাব ৷ আতঙ্ক থেকেই দোকানদাররা মৃত ব্যক্তির পরিবারকে জিনিসপত্র দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ৷”

মৃত প্রৌঢ়ের ছেলে অভিজিৎ দত্ত অবশ্য স্বীকার করতে রাজি নন, তাঁর বাবা কোরোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, “বাবা ঠাণ্ডা জল খেয়েছিলেন ৷ সেখান থেকে তাঁর কাশি হয় ৷ সঙ্গে শরীরে ব্যাথা ৷ কাশি শুরু হলে তাঁর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল ৷ তবে এটা শ্বাসকষ্ট নয় ৷ বাবা রেলকর্মী ৷ তাই আমরা তাঁকে প্রথমে রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ সেখান থেকে বলা হয়, আগে কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে ৷ তাই আমরা বাবাকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যাই ৷ সেখানে তাঁকে ভরতি করে নেওয়া হয় ৷ লালারসও সংগ্রহ করা হয় ৷ দুঃখের বিষয়, সোমবার সকালে তিনি বেড থেকে পড়ে যান ৷ তাতেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ মৃত্যুর শংসাপত্রে লেখা রয়েছে তাঁর শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ ছিল ৷ কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির কারণেই বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে আমি মনে করি ৷ আমার কাছে তার প্রমাণও রয়েছে ৷ পরে শোনা যাচ্ছে, বাবা কোরোনা পজিটিভ ছিলেন ৷ কোরোনা সংক্রমিত কেউ মারা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মৃতদেহ সৎকার করে ৷ কিন্তু বাবার মৃতদেহ আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ৷ আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সেব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই মৃতদেহ নিয়ে এসেছিলাম ৷ এখন যদি তেমন কিছু হয়, তবে তার দায়িত্ব মেডিকেল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে ৷ কারণ, বাবা কোরোনা সংক্রমিত থাকলে শুধু আমি কিংবা আমার পরিবার নয়, পাড়ার লোকজনও সংক্রমিত হবে৷ এলাকার অবস্থা এখন খুবই খারাপ ৷ পাড়ার দোকানদাররা আমাদের জিনিসপত্র দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ৷ এমন কী জল পর্যন্ত নিতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ আমরা কার্যত সামাজিক বয়কটের শিকার হয়ে গিয়েছি ৷”

image
পৌঢ়ের ডেথ সার্টিফিকেট

এলাকার বিদায়ি কাউন্সিলর বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী বলেন, “এই ঘটনায় এলাকার লোকজন অসম্ভব আতঙ্কে রয়েছে ৷ এক্ষেত্রে মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষকেই সবাই কাঠগড়ায় তুলেছে ৷ কারণ, প্রথমে কোরোনা নেগেটিভ বলে মৃতদেহটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ পরে জানা গেল, ওই ব্যক্তি কোরোনা পজিটিভ ছিলেন ৷ কেউ বলছে, টাকাপয়সার বিনিময়ে এই মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কেউ আবার বলছে, কোরোনা নেগেটিভ বলেই মৃতদেহ ছাড়া হয়েছে ৷ যাই হোক, এখন আমরা সবাই জেনে ফেলেছি, ওই ব্যক্তি কোরোনা পজিটিভ ছিলেন৷ ফলে যারা তাঁর দেহ সৎকারে গিয়েছিল, যারা দেহ ছুঁয়েছে, তাদের সবাইকে হোম আইসোলেশনে রাখা উচিত ৷ কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশ প্রশাসন এনিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না৷ গতকাল আমি এখানকার বাজার স্যানিটাইজ় করেছি ৷”

পুরাতন মালদা পৌরসভার কোরোনা নোডাল অফিসার সাধনকুমার দাস বলেন, “বিষয়টি আজই আমি শুনতে পেয়েছি৷ ওই ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে ৷ তবে ওই ব্যক্তি যে কোরোনা পজিটিভ ছিলেন, তার কোনও রিপোর্ট আমাদের কাছে এখনও আসেনি৷ ওই ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্রেও কোরোনার উল্লেখ নেই৷ তাই এনিয়ে এলাকায় যাতে কেউ গুজব না ছড়ায়, কিংবা কেউ যাতে গুজবে কান না দেয় তার জন্য আমরা প্রচার করছি৷” এদিকে মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁ জানিয়েছেন, “সরকারি নিয়ম মেনেই ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মৃতদেহ দাবি করা হয়েছিল৷ এক্ষেত্রে আমাদের কোনও ভুল নেই ৷”

মালদা, 22 জুলাই : কোরোনা উপসর্গ নিয়ে গত রবিবার মালদা মেডিকেলে ভরতি করা হয়েছিল এক প্রৌঢ়কে ৷ 57 বছর বয়সী ওই প্রৌঢ়ের বাড়ি পুরাতন মালদা পৌরসভার 4 নম্বর ওয়ার্ডের শর্বরী এলাকায় ৷ তিনি একজন রেলকর্মী ছিলেন ৷ সোমবার মেডিকেলের সারি ওয়ার্ডে মারা যান তিনি ৷ মেডিকেলের পক্ষ থেকে সেদিনই তাঁর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে ৷ যদিও কোরোনা উপসর্গ থাকায় তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নেননি এলাকার মানুষজন ৷ শুধুমাত্র পরিবারের 9 সদস্য তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নেন ৷ গতকাল রাতে মৃত ব্যক্তির লালারসের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে ৷ এই ঘটনায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে শর্বরী এলাকায় ৷ কার্যত সামাজিক বয়কটের মুখে মৃতের পরিবারের সদস্যরা ৷ যদিও এনিয়ে পুলিশ, প্রশাসন কিংবা পৌর কর্তৃপক্ষ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ ৷ আজ পৌরসভার পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির বাড়ির সামনের অংশ স্যানিটাইজ় করা হয়েছে ৷

এই ঘটনায় শর্বরী এলাকার বাসিন্দা গোপী দত্ত বলেন, “এই ঘটনায় 4 ও 5 নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন ভয়ে নিজেদের গৃহবন্দী করে ফেলেছে ৷ পাড়ার এক বাসিন্দা কোরোনা উপসর্গ নিয়ে গত সোমবার মালদা মেডিকেলে মারা যান ৷ মেডিকেল কর্তৃপক্ষ নাকি জানিয়েছিল, তিনি কোরোনা নেগেটিভ ৷ তাঁর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয় ৷ সৎকারও করা হয় ৷ পরদিন আমরা জানতে পারি, ওই ব্যক্তি কোরোনা পজিটিভ ছিলেন ৷ আমাদের প্রশ্ন, এমন মৃতদেহ মেডিকেল কর্তৃপক্ষ ছাড়ল কেন? এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের গাফিলতি রয়েছে বলে আমরা মনে করছি ৷ আমরা এই ঘটনার যথাযথ তদন্ত দাবি করছি ৷ ওই ব্যক্তির সৎকারে যাঁরা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের কাছে আমাদের আবেদন, তাঁরা যেন বাড়ি থেকে না বেরোন ৷ তাঁর সমস্ত প্রয়োজন আমরাই মেটাব ৷ আতঙ্ক থেকেই দোকানদাররা মৃত ব্যক্তির পরিবারকে জিনিসপত্র দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন ৷”

মৃত প্রৌঢ়ের ছেলে অভিজিৎ দত্ত অবশ্য স্বীকার করতে রাজি নন, তাঁর বাবা কোরোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছেন ৷ তিনি বলেন, “বাবা ঠাণ্ডা জল খেয়েছিলেন ৷ সেখান থেকে তাঁর কাশি হয় ৷ সঙ্গে শরীরে ব্যাথা ৷ কাশি শুরু হলে তাঁর নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল ৷ তবে এটা শ্বাসকষ্ট নয় ৷ বাবা রেলকর্মী ৷ তাই আমরা তাঁকে প্রথমে রেলওয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই ৷ সেখান থেকে বলা হয়, আগে কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে ৷ তাই আমরা বাবাকে মালদা মেডিকেলে নিয়ে যাই ৷ সেখানে তাঁকে ভরতি করে নেওয়া হয় ৷ লালারসও সংগ্রহ করা হয় ৷ দুঃখের বিষয়, সোমবার সকালে তিনি বেড থেকে পড়ে যান ৷ তাতেই হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয় ৷ মৃত্যুর শংসাপত্রে লেখা রয়েছে তাঁর শ্বাসযন্ত্রের সমস্যার সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ ছিল ৷ কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির কারণেই বাবার মৃত্যু হয়েছে বলে আমি মনে করি ৷ আমার কাছে তার প্রমাণও রয়েছে ৷ পরে শোনা যাচ্ছে, বাবা কোরোনা পজিটিভ ছিলেন ৷ কোরোনা সংক্রমিত কেউ মারা গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই মৃতদেহ সৎকার করে ৷ কিন্তু বাবার মৃতদেহ আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ৷ আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে সেব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই মৃতদেহ নিয়ে এসেছিলাম ৷ এখন যদি তেমন কিছু হয়, তবে তার দায়িত্ব মেডিকেল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে ৷ কারণ, বাবা কোরোনা সংক্রমিত থাকলে শুধু আমি কিংবা আমার পরিবার নয়, পাড়ার লোকজনও সংক্রমিত হবে৷ এলাকার অবস্থা এখন খুবই খারাপ ৷ পাড়ার দোকানদাররা আমাদের জিনিসপত্র দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ৷ এমন কী জল পর্যন্ত নিতে দেওয়া হচ্ছে না ৷ আমরা কার্যত সামাজিক বয়কটের শিকার হয়ে গিয়েছি ৷”

image
পৌঢ়ের ডেথ সার্টিফিকেট

এলাকার বিদায়ি কাউন্সিলর বৈশিষ্ঠ্য ত্রিবেদী বলেন, “এই ঘটনায় এলাকার লোকজন অসম্ভব আতঙ্কে রয়েছে ৷ এক্ষেত্রে মালদা মেডিকেল কর্তৃপক্ষকেই সবাই কাঠগড়ায় তুলেছে ৷ কারণ, প্রথমে কোরোনা নেগেটিভ বলে মৃতদেহটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ পরে জানা গেল, ওই ব্যক্তি কোরোনা পজিটিভ ছিলেন ৷ কেউ বলছে, টাকাপয়সার বিনিময়ে এই মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৷ কেউ আবার বলছে, কোরোনা নেগেটিভ বলেই মৃতদেহ ছাড়া হয়েছে ৷ যাই হোক, এখন আমরা সবাই জেনে ফেলেছি, ওই ব্যক্তি কোরোনা পজিটিভ ছিলেন৷ ফলে যারা তাঁর দেহ সৎকারে গিয়েছিল, যারা দেহ ছুঁয়েছে, তাদের সবাইকে হোম আইসোলেশনে রাখা উচিত ৷ কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ কিংবা পুলিশ প্রশাসন এনিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না৷ গতকাল আমি এখানকার বাজার স্যানিটাইজ় করেছি ৷”

পুরাতন মালদা পৌরসভার কোরোনা নোডাল অফিসার সাধনকুমার দাস বলেন, “বিষয়টি আজই আমি শুনতে পেয়েছি৷ ওই ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে ৷ তবে ওই ব্যক্তি যে কোরোনা পজিটিভ ছিলেন, তার কোনও রিপোর্ট আমাদের কাছে এখনও আসেনি৷ ওই ব্যক্তির মৃত্যুর শংসাপত্রেও কোরোনার উল্লেখ নেই৷ তাই এনিয়ে এলাকায় যাতে কেউ গুজব না ছড়ায়, কিংবা কেউ যাতে গুজবে কান না দেয় তার জন্য আমরা প্রচার করছি৷” এদিকে মালদা মেডিকেলের সহকারী অধ্যক্ষ ও হাসপাতাল সুপার অমিত দাঁ জানিয়েছেন, “সরকারি নিয়ম মেনেই ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পরিবারের লোকজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মৃতদেহ দাবি করা হয়েছিল৷ এক্ষেত্রে আমাদের কোনও ভুল নেই ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.