ETV Bharat / state

পাড় গিলছে নদী, পাকা বাড়িতে ফাটল ; শঙ্কিত হবিবপুর - হবিবপুরে ভাঙন

নদীর ধারে বাস, চিন্তা 12 মাস ৷ এখন এই অবস্থা বাড়ুইপাড়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের ৷ নদী পাড়ের ভাঙনের ফলে তাদের বাড়িতে ফাটল ধরেছে ৷ নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে শৌচালয় ৷ তাদের আশঙ্কা, যে কোনওদিন গোটা বাড়িটাই ধসে যেতে পারে ৷

Malda
নদীপাড়ে ভাঙন
author img

By

Published : Feb 9, 2020, 3:42 AM IST

মালদা, 8 ফেব্রুয়ারি : ভরা শীতেও পাড় গিলছে নদী৷ টাঙনের ভাঙনে শীতেও ঘামছে হবিবপুর ব্লকের বকশিনগর বাড়ুইপাড়া গ্রাম ৷ যে কোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে কয়েকটি পাকাবাড়ি৷ একাধিক বাড়িতে ধরেছে ফাটল৷ এই অবস্থায় প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে গ্রামবাসীরা৷ তাদের অভিযোগ, পরিস্থিতি জানিয়ে এর আগে জেলা সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল৷ কাজ হয়নি৷ তবে বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ওই এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক৷

হবিবপুর ব্লকের আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বকশিনগর বাড়ুইপাড়া গ্রামটি৷ বর্ধিষ্ণু গ্রাম৷ পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে টাঙন নদী৷ খানিক দূরেই এই নদী মিলেছে মহানন্দায়৷ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অমৃত হালদার ফোন মারফৎ জানান, 2012 সাল থেকেই টাঙনের পাড় ভাঙতে শুরু করে৷ ভাঙন রুখতে 2014 সালে আইহো ব্রিজ থেকে বুলবুলচণ্ডী রেল ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় টাঙনের পাড় বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো হয়৷ কিন্তু সেই কাজ হয় অত্যন্ত নিম্নমানের৷ তার উপর নদীপাড়ের মাটি মাফিয়ারা কম দামে বিক্রি করে দেয়৷ ফলে 2015 সাল থেকেই ফের টাঙনের পাড় কাটতে শুরু করে৷ 2019 সালে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে৷ ভয়াবহ বন্যায় ধসতে থাকে নদীর পাড়৷ বিপজ্জনক হয়ে পড়ে প্রায় 20টি বাড়ি৷ সেই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরতে শুরু করেছে৷ এবার শীতের মধ্যেও পাড় ভাঙছে নদীর৷ ফলে যে কোনও মুহূর্তে বাড়িগুলি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ এই অবস্থায় সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে গ্রামবাসীরা৷ কিন্তু এখনও কোনও ফল মেলেনি৷ আগামী কাল গ্রামবাসীরা ফের সেচ দপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

malda River
এভাবেই পাড় গিলছে টাঙন নদী

টাঙনের বুকে ধসে পড়ার দিন গুনছে গ্রামের অজিত দাসের বাড়ি৷ অজিতবাবু পেশায় পান ব্যবসায়ী৷ তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা দাস বলেন, “আতঙ্কে আমাদের খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল৷ আমার বাড়ির শৌচাগার নদীতে ধসে গিয়েছে৷ এবার শীতেও নদীর পাড় ভাঙছে৷ প্রতিবেশী কালাচাঁদ, শ্যামলের বাড়ি ধসে যাওয়ার মুখে৷ ভয়ঙ্কর অবস্থা৷ যখন থেকে নদীর পাড় পাথর দিয়ে বাঁধাই করা হয়েছে, তখন থেকেই নদী ভাঙন শুরু হয়েছে৷ নীচের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে৷ তাই চাপে মাটি সরে যাচ্ছে৷ বাড়ি বাঁচাতে অনেক জায়গায় জানিয়েছি৷ কিন্তু কোনও কাজ হয়নি৷”

Malda
প্রশাসনের কাছে নদীপাড়ের ভাঙনের কথা জানিয়েও লাভ হয়নি, অভিযোগ গ্রামবাসীদের

আর এক বাসিন্দা, সত্তরোর্ধ দ্বিজপদ লাহা বলেন, “মাসখানেকের মধ্যে বাড়ির পিছনের অংশ নদীতে ধসে গিয়েছে৷ এখন বাড়ি কার্যত ঝুলছে৷ প্রতিটি ঘরে ফাটল৷ যে কোনও সময় গোটা বাড়িটাই নদীতে ধসে যাবে৷ এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি৷ তিন বছর আগে নদীর পাড়ে বালির বস্তা ফেলা হয়েছিল৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নদীভাঙন৷ শীতের সময় নদীর পাড় সাধারণত কাটে না৷ কিন্তু এবার আমরা সেই ঘটনার সাক্ষী থেকেছি৷ ভাঙনরোধের কাজ ঠিকমতো না হওয়ার জন্যই নীচের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে৷ এই অবস্থা বহাল থাকলে বর্ষায় যে কী হবে, ভেবেই আতঙ্কে রয়েছি৷ সরকার ভাঙনরোধের ব্যবস্থা না করলে আমাদের আর উপায় নেই৷”

malda
ফাটল ধরেছে বাড়ির দেওয়ালে

গতকাল যোগাযোগ করা যায়নি হবিবপুরের BDO কিংবা জেলা সেচ কর্তাদের সঙ্গে ৷ তবে এলাকার বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, “শীতের মধ্যেও যে বকশিনগর বাড়ুইপাড়ায় টাঙনের ভাঙন শুরু হয়েছে তা জানা ছিল না৷ এলাকার কেউ আমাকে এনিয়ে কিছু জানায়নি৷ তবে এর আগে সেখানে কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছিল৷ তবে এর আগে রেলব্রিজ থেকে আইহো ব্রিজ পর্যন্ত নদীর ধারে বোল্ডার পিচিং করা হয়েছিল৷ নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার ঘটনা আপনার মুখেই শুনলাম৷ আমাকে দেখতে হবে৷ তবে নদীর ধারে মাটির নীচের অংশ আলগা হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে৷ আমি দু’একদিনের মধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শনে যাব ৷”

মালদা, 8 ফেব্রুয়ারি : ভরা শীতেও পাড় গিলছে নদী৷ টাঙনের ভাঙনে শীতেও ঘামছে হবিবপুর ব্লকের বকশিনগর বাড়ুইপাড়া গ্রাম ৷ যে কোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে কয়েকটি পাকাবাড়ি৷ একাধিক বাড়িতে ধরেছে ফাটল৷ এই অবস্থায় প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে গ্রামবাসীরা৷ তাদের অভিযোগ, পরিস্থিতি জানিয়ে এর আগে জেলা সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল৷ কাজ হয়নি৷ তবে বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ওই এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক৷

হবিবপুর ব্লকের আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বকশিনগর বাড়ুইপাড়া গ্রামটি৷ বর্ধিষ্ণু গ্রাম৷ পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে টাঙন নদী৷ খানিক দূরেই এই নদী মিলেছে মহানন্দায়৷ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অমৃত হালদার ফোন মারফৎ জানান, 2012 সাল থেকেই টাঙনের পাড় ভাঙতে শুরু করে৷ ভাঙন রুখতে 2014 সালে আইহো ব্রিজ থেকে বুলবুলচণ্ডী রেল ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় টাঙনের পাড় বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো হয়৷ কিন্তু সেই কাজ হয় অত্যন্ত নিম্নমানের৷ তার উপর নদীপাড়ের মাটি মাফিয়ারা কম দামে বিক্রি করে দেয়৷ ফলে 2015 সাল থেকেই ফের টাঙনের পাড় কাটতে শুরু করে৷ 2019 সালে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে৷ ভয়াবহ বন্যায় ধসতে থাকে নদীর পাড়৷ বিপজ্জনক হয়ে পড়ে প্রায় 20টি বাড়ি৷ সেই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরতে শুরু করেছে৷ এবার শীতের মধ্যেও পাড় ভাঙছে নদীর৷ ফলে যে কোনও মুহূর্তে বাড়িগুলি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ এই অবস্থায় সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে গ্রামবাসীরা৷ কিন্তু এখনও কোনও ফল মেলেনি৷ আগামী কাল গ্রামবাসীরা ফের সেচ দপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়রের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

malda River
এভাবেই পাড় গিলছে টাঙন নদী

টাঙনের বুকে ধসে পড়ার দিন গুনছে গ্রামের অজিত দাসের বাড়ি৷ অজিতবাবু পেশায় পান ব্যবসায়ী৷ তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা দাস বলেন, “আতঙ্কে আমাদের খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল৷ আমার বাড়ির শৌচাগার নদীতে ধসে গিয়েছে৷ এবার শীতেও নদীর পাড় ভাঙছে৷ প্রতিবেশী কালাচাঁদ, শ্যামলের বাড়ি ধসে যাওয়ার মুখে৷ ভয়ঙ্কর অবস্থা৷ যখন থেকে নদীর পাড় পাথর দিয়ে বাঁধাই করা হয়েছে, তখন থেকেই নদী ভাঙন শুরু হয়েছে৷ নীচের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে৷ তাই চাপে মাটি সরে যাচ্ছে৷ বাড়ি বাঁচাতে অনেক জায়গায় জানিয়েছি৷ কিন্তু কোনও কাজ হয়নি৷”

Malda
প্রশাসনের কাছে নদীপাড়ের ভাঙনের কথা জানিয়েও লাভ হয়নি, অভিযোগ গ্রামবাসীদের

আর এক বাসিন্দা, সত্তরোর্ধ দ্বিজপদ লাহা বলেন, “মাসখানেকের মধ্যে বাড়ির পিছনের অংশ নদীতে ধসে গিয়েছে৷ এখন বাড়ি কার্যত ঝুলছে৷ প্রতিটি ঘরে ফাটল৷ যে কোনও সময় গোটা বাড়িটাই নদীতে ধসে যাবে৷ এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি৷ তিন বছর আগে নদীর পাড়ে বালির বস্তা ফেলা হয়েছিল৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নদীভাঙন৷ শীতের সময় নদীর পাড় সাধারণত কাটে না৷ কিন্তু এবার আমরা সেই ঘটনার সাক্ষী থেকেছি৷ ভাঙনরোধের কাজ ঠিকমতো না হওয়ার জন্যই নীচের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে৷ এই অবস্থা বহাল থাকলে বর্ষায় যে কী হবে, ভেবেই আতঙ্কে রয়েছি৷ সরকার ভাঙনরোধের ব্যবস্থা না করলে আমাদের আর উপায় নেই৷”

malda
ফাটল ধরেছে বাড়ির দেওয়ালে

গতকাল যোগাযোগ করা যায়নি হবিবপুরের BDO কিংবা জেলা সেচ কর্তাদের সঙ্গে ৷ তবে এলাকার বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, “শীতের মধ্যেও যে বকশিনগর বাড়ুইপাড়ায় টাঙনের ভাঙন শুরু হয়েছে তা জানা ছিল না৷ এলাকার কেউ আমাকে এনিয়ে কিছু জানায়নি৷ তবে এর আগে সেখানে কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছিল৷ তবে এর আগে রেলব্রিজ থেকে আইহো ব্রিজ পর্যন্ত নদীর ধারে বোল্ডার পিচিং করা হয়েছিল৷ নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার ঘটনা আপনার মুখেই শুনলাম৷ আমাকে দেখতে হবে৷ তবে নদীর ধারে মাটির নীচের অংশ আলগা হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে৷ আমি দু’একদিনের মধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শনে যাব ৷”

Intro:মালদা, ০৮ ফেব্রুয়ারি : ভরা শীতেও পাড় গিলছে নদী৷ টাঙনের ভাঙনে শীতেও ঘামছে হবিবপুর ব্লকের বকশিনগর বাড়ুইপাড়া গ্রাম৷ যে কোনও মুহূর্তে ধসে পড়তে পারে বেশ কয়েকটি পাকাবাড়ি৷ একাধিক বাড়িতে ধরেছে ফাটল৷ এই অবস্থায় প্রশাসনের দিকে তাকিয়ে গ্রামবাসীরা৷ তাদের অভিযোগ, পরিস্থিতি জানিয়ে এর আগে জেলা সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল৷ কাজ হয়নি৷ তবে বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত ওই এলাকা পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক৷


Body:         হবিবপুর ব্লকের আইহো গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বকশিনগর বাড়ুইপাড়া গ্রামটি৷ বর্ধিষ্ণু গ্রাম৷ পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে টাঙন নদী৷ খানিক দূরেই এই নদী মিলেছে মহানন্দায়৷ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য অমৃত হালদার ফোন মারফৎ জানান, ২০১২ সাল থেকেই টাঙনের পাড় ভাঙতে শুরু করে৷ ভাঙন রুখতে ২০১৪ সালে আইহো ব্রিজ থেকে বুলবুলচণ্ডী রেল ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকায় টাঙনের পাড় বোল্ডার দিয়ে বাঁধানো হয়৷ কিন্তু সেই কাজ হয় অত্যন্ত নিম্নমানের৷ তার উপর নদীপাড়ের মাটি মাফিয়ারা কম দামে বিক্রি করে দেয়৷ ফলে ২০১৫ সাল থেকেই ফের টাঙনের পাড় কাটতে শুরু করে৷ ২০১৯ সালে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে৷ ভয়াবহ বন্যায় ধসতে থাকে নদীর পাড়৷ বিপজ্জনক হয়ে পড়ে প্রায় ২০টি বাড়ি৷ সেই বাড়িগুলিতে ফাটল ধরতে শুরু করেছে৷ এবার শীতের মধ্যেও পাড় ভাঙছে নদীর৷ ফলে যে কোনও মুহূর্তে বাড়িগুলি ধসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে৷ এই অবস্থায় সেচ দপ্তর ও ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে গ্রামবাসীরা৷ কিন্তু এখনও কোনও ফল মেলেনি৷ আগামী সোমবার গ্রামবাসীরা ফের সেচ দপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
         টাঙনের বুকে ধসে পড়ার দিন গুনছে গ্রামের অজিত দাসের বাড়ি৷ অজিতবাবু পেশায় পান ব্যবসায়ী৷ তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা দাস বলেন, “আতঙ্কে আমাদের খাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ বর্ষার সময় পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছিল৷ আমার বাড়ির শৌচাগার নদীতে ধসে গিয়েছে৷ এবার শীতেও নদীর পাড় ভাঙছে৷ প্রতিবেশী কালাচাঁদ, শ্যামলের বাড়ি ধসে যাওয়ার মুখে৷ ভয়ঙ্কর অবস্থা৷ যখন থেকে নদীর পাড় পাথর দিয়ে বাঁধাই করা হয়েছে, তখন থেকেই নদী ভাঙন শুরু হয়েছে৷ নীচের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে৷ তাই চাপে মাটি সরে যাচ্ছে৷ বাড়ি বাঁচাতে অনেক জায়গায় জানিয়েছি৷ কিন্তু কোনও কাজ হয়নি৷” আরেক বাসিন্দা, সত্তরোর্ধ দ্বিজপদ লাহা বলেন, “মাসখানেকের মধ্যে বাড়ির পিছনের অংশ নদীতে ধসে গিয়েছে৷ এখন বাড়ি কার্যত ঝুলছে৷ প্রতিটি ঘরে ফাটল৷ যে কোনও সময় গোটা বাড়িটাই নদীতে ধসে যাবে৷ এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি৷ তিন বছর আগে নদীর পাড়ে বালির বস্তা ফেলা হয়েছিল৷ তারপর থেকেই শুরু হয়েছে নদীভাঙন৷ শীতের সময় নদীর পাড় সাধারণত কাটে না৷ কিন্তু এবার আমরা সেই ঘটনার সাক্ষী থেকেছি৷ ভাঙনরোধের কাজ ঠিকমতো না হওয়ার জন্যই নীচের মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে৷ এই অবস্থা বহাল থাকলে বর্ষায় যে কী হবে, ভেবেই আতঙ্কে রয়েছি৷ সরকার ভাঙনরোধের ব্যবস্থা না করলে আমাদের আর উপায় নেই৷”


Conclusion:         শনিবার যোগাযোগ করা যায়নি হবিবপুরের বিডিও কিংবা জেলা সেচ কর্তাদের সঙ্গে৷ তবে এলাকার বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার বলেন, “শীতের মধ্যেও যে বকশিনগর বাড়ুইপাড়ায় টাঙনের ভাঙন শুরু হয়েছে তা জানা ছিল না৷ এলাকার কেউ আমাকে এনিয়ে কিছু জানায়নি৷ তবে এর আগে সেখানে কিছু বাড়িতে ফাটল ধরেছিল৷ তবে এর আগে রেলব্রিজ থেকে আইহো ব্রিজ পর্যন্ত নদীর ধারে বোল্ডার পিচিং করা হয়েছিল৷ নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ার ঘটনা আপনার মুখেই শুনলাম৷ আমাকে দেখতে হবে৷ তবে নদীর ধারে মাটির নীচের অংশ আলগা হলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে৷ আমি দু’একদিনের মধ্যেই ওই এলাকা পরিদর্শনে যাব৷”
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.